চীনে বিগত কয়েক মাস ধরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির আরও দুই এলাকায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এসবের মধ্যে তিন কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার একটি মেগাসিটিও রয়েছে। শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। খবর বাসস, এএফপি’র।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ফুজিয়ান প্রদেশ ও চংকিং পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ৫৫ জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। এছাড়া আরও চারটি প্রদেশ এবং বেইজিংয়েও এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, করোনা ভাইরাসে ইতোমধ্যে দেশব্যাপী দুই শতাধিক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এদের সাথে পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশে গুচ্ছ সংক্রমণের একটি যোগসূত্র রয়েছে। গত ২০ জুলাই এ প্রদেশের ৯ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। এতে তাদের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারা সকলে নানজিং নগরীর একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করেন বলে জানা যায়।
নানজিং নগরী কর্তৃপক্ষ সকল পর্যটন স্থান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র শনিবার থেকে না খোলার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় তারা এমন নির্দেশ জারি করলো। জিয়াংসু প্রদেশে ইতোমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে নানজিং নগরীর ৯২ লাখ বাসিন্দার দুইবার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে।
অপরদিকে সরকারি নোটিশ অনুযায়ী, হুনান প্রদেশের পর্যটন নগরী ঝংজিয়াজির ১৫ লাখ বাসিন্দা লকডাউনে রয়েছেন এবং শুক্রবার থেকে সেখানের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে একটি নাট্যশালায় অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বেইজিংয়ের চাংপিং এলাকার নয়টি হাউজিংয়ের প্রায় ৪১ হাজার বাসিন্দা বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউনের আওতায় রয়েছে। সেখানে স্থানীয় দু’টি এলাকায় ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
সারাদেশ: খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ‘সিইও অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা অর্জন করলো বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী