alt

অনিশ্চতার মধ্যে বিদেশেই আশ্রয় খুঁজছে আফগান কূটনীতিকরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

তালেবান অপ্রত্যাশিতভাবে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেয়ায় বিদেশের বিভিন্ন দূর্তাবাসে বেকায়দায় পড়েছেন দায়িত্বরত শত শত আফগান কূটনীতিক। একদিকে তাদের কাজ চালানোর অর্থ ফুরিয়ে যাচ্ছে। আরেক দিকে দেশে থাকা পরিবার নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। মরিয়া হয়ে তারা এখন বিদেশেই আশ্রয় খুঁজতে শুরু করেছেন।

আফগানিস্তানে তালেবান গত ১৫ অগাস্ট পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর গত মঙ্গলবার বলেছে, তারা সব দেশেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে আফগান কূটনীতিকদেরকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ দূতাবাসকর্মী নিজ নিজ দূতাবাসে স্থবিরতা এবং হতাশা দেখা দেয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে কানাডা, জার্মানি ও জাপানের আফগান দূতাবাসের কর্মীরাও রয়েছেন।

বার্লিনে নিযুক্ত এক আফগান কূটনীতিক বলেন, এখানে আমার সহকর্মীরা এবং আরও বহু দেশের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মিনতি করছেন।

কাবুলে থেকে যাওয়া স্ত্রী ও চার মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন এই কূটনীতিক বলেন, আমি আক্ষরিক অর্থেই ভিক্ষা চাইছি।কূটনীতিকরা এখন শরণার্থী হয়ে যেতে ইচ্ছুক। কাবুলের একটি বড় বাড়িসহ নিজের যা কিছু আছে তা বিক্রি করে দিয়ে আবার নতুন করে সব শুরু করতে হবে।

বিশ্বের অনেক দেশই এখনও আফগানিস্তানের নতুন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকায় সেইসব দেশে অবস্থিত আফগান দূতাবাসগুলোও নিদারণ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আফজাল আশরাফ।

তিনি বলেন, এই দূতাবাসগুলো কীই বা করতে পারে? তারা একটা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। বাস্তবায়নের জন্য তাদের কোনও নীতি নেই। কিন্তু দূতাবাসের কর্মীরা আফগানিস্তানে ফিরে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই তারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পারে বলে জানান আশরাফ।

আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি অবশ্য গত মঙ্গলবার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব আফগান দূতাবাসেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা পাঠিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তান আপনাদের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করেছে, আপনারা আফগানিস্তানের সম্পদ।

ঊধ্র্বতন এক আফগান কূটনীতিক আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের আফগান দূতাবাসগুলোতে প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছে কিংবা তাদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল হয়ে আছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর আশরাফ গণির উৎখাত হওয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তালেবান সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে দূতাবাসগুলোকে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এসব আহ্বানে মাঠ পর্যায়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কোনও দিশা পাচ্ছেন না কূটনীতিকরা।

কানাডার রাজধানীতে অবস্থিত আফগান দূতাবাসের এক কর্মী বলেন, অর্থ নেই। এ অবস্থায় কাজ চালানো সম্ভব নয়। এ মুহূর্তে আমাকে বেতন দেয়া হচ্ছে না।

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের দুই কর্মীও বলেছেন, কাজ চালানোর মতো অর্থ তাদের নেই। তারা এও বলছেন যে, তারা আফগানিস্তানে ফিরে যাবেন না। কারণ, আগের আফগান সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তারা তালেবানের নিশানা হতে পারেন বলে শঙ্কা আছে। তাই ভারতেই আশ্রয় পেতে চান তারা।

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

ছবি

নিউইয়র্কে আজ মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি

ছবি

বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনকে আপাতত টমাহক দেওয়া হবে না : ট্রাম্প

ছবি

আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২০

ছবি

দুই সপ্তাহের মধ্যে তীব্র খাবার পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছে তেহরান

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যয়ের মুখে ফিলিস্তিনিরা

ছবি

জেন জি’ ও পরবর্তী সব প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

ছবি

আরএসএফের নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

ছবি

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

tab

অনিশ্চতার মধ্যে বিদেশেই আশ্রয় খুঁজছে আফগান কূটনীতিকরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

তালেবান অপ্রত্যাশিতভাবে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে নেয়ায় বিদেশের বিভিন্ন দূর্তাবাসে বেকায়দায় পড়েছেন দায়িত্বরত শত শত আফগান কূটনীতিক। একদিকে তাদের কাজ চালানোর অর্থ ফুরিয়ে যাচ্ছে। আরেক দিকে দেশে থাকা পরিবার নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তা। মরিয়া হয়ে তারা এখন বিদেশেই আশ্রয় খুঁজতে শুরু করেছেন।

আফগানিস্তানে তালেবান গত ১৫ অগাস্ট পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর গত মঙ্গলবার বলেছে, তারা সব দেশেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে আফগান কূটনীতিকদেরকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ দূতাবাসকর্মী নিজ নিজ দূতাবাসে স্থবিরতা এবং হতাশা দেখা দেয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে কানাডা, জার্মানি ও জাপানের আফগান দূতাবাসের কর্মীরাও রয়েছেন।

বার্লিনে নিযুক্ত এক আফগান কূটনীতিক বলেন, এখানে আমার সহকর্মীরা এবং আরও বহু দেশের কর্মীরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মিনতি করছেন।

কাবুলে থেকে যাওয়া স্ত্রী ও চার মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন এই কূটনীতিক বলেন, আমি আক্ষরিক অর্থেই ভিক্ষা চাইছি।কূটনীতিকরা এখন শরণার্থী হয়ে যেতে ইচ্ছুক। কাবুলের একটি বড় বাড়িসহ নিজের যা কিছু আছে তা বিক্রি করে দিয়ে আবার নতুন করে সব শুরু করতে হবে।

বিশ্বের অনেক দেশই এখনও আফগানিস্তানের নতুন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকায় সেইসব দেশে অবস্থিত আফগান দূতাবাসগুলোও নিদারণ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আফজাল আশরাফ।

তিনি বলেন, এই দূতাবাসগুলো কীই বা করতে পারে? তারা একটা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। বাস্তবায়নের জন্য তাদের কোনও নীতি নেই। কিন্তু দূতাবাসের কর্মীরা আফগানিস্তানে ফিরে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই তারা বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পারে বলে জানান আশরাফ।

আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি অবশ্য গত মঙ্গলবার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সব আফগান দূতাবাসেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা পাঠিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তান আপনাদের জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করেছে, আপনারা আফগানিস্তানের সম্পদ।

ঊধ্র্বতন এক আফগান কূটনীতিক আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের আফগান দূতাবাসগুলোতে প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছে কিংবা তাদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল হয়ে আছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর আশরাফ গণির উৎখাত হওয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তালেবান সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে দূতাবাসগুলোকে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এসব আহ্বানে মাঠ পর্যায়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কোনও দিশা পাচ্ছেন না কূটনীতিকরা।

কানাডার রাজধানীতে অবস্থিত আফগান দূতাবাসের এক কর্মী বলেন, অর্থ নেই। এ অবস্থায় কাজ চালানো সম্ভব নয়। এ মুহূর্তে আমাকে বেতন দেয়া হচ্ছে না।

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের দুই কর্মীও বলেছেন, কাজ চালানোর মতো অর্থ তাদের নেই। তারা এও বলছেন যে, তারা আফগানিস্তানে ফিরে যাবেন না। কারণ, আগের আফগান সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তারা তালেবানের নিশানা হতে পারেন বলে শঙ্কা আছে। তাই ভারতেই আশ্রয় পেতে চান তারা।

back to top