alt

তালেবানের ভয়ে আফগান সঙ্গীতশিল্পীরা পালিয়ে গেছেন পাকিস্তানে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর সহিংসতার শিকার হওয়য়ায় আশঙ্কায় পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন সংগীতশিল্পীরা।

সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে পাকিস্তানে ঢুকেছেন এবং এখন আত্মগোপনে আছেন- এমন ছয় আফগান সংগীতশিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।

পাকিস্তানে পালানো এই সংগীতশিল্পীদের একজন বিবিসি-কে বলেছেন, আফগানিস্তানে থেকে গেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কিত ছিলেন তিনি।

তালেবান সংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এমনকী গতমাসের আগস্টে বাঘলান প্রদেশে এক লোকসঙ্গীত শিল্পীকে হত্যা করারও অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে তালেবান এখনও কোনওকিছু বলেনি।

যাকে হত্যা করা হয়েছিল, তার নাম ফাওয়াদ আনদারাবি। তার ছেলে জাওয়াদ বার্তা সংস্থা এপি কে বলেছিলেন, আনদারাব উপত্যকায় তাদের কৃষি খামার আছে। সেখানে তার বাবাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে তালেবান।

আফগানিস্তান থেকে যে ক’জন শিল্পী পাকিস্তানে পালিয়েছেন, তাদের একজনের নাম খান (ছদ্মনাম)। ২০ ধরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মূলত বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইতেন তিনি। পশতুদের বিয়েতে লোকসংগীত শিল্পীরা বেশ জনপ্রিয়।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তালেবান সরকারের পতনের গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন খান। তার আগে এ সুযোগ ছিল না। কারণ, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শাসনামলে তালেবান সংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

এবার আফগানিস্তান দখলে তালবানের অগ্রযাত্রার সময়ও গান নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না খানসহ অন্য শিল্পীরা। তাদের ধারণা ছিল, হয়ত তালেবান বদলে গেছে। তারা হয়ত এবার গান করা কিংবা গান কম্পোজ করার সুযোগ দেবে।

কিন্তু তাদের এই ধারণা ছিল ভুল। গত মাসে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অস্ত্রধারীরা খানের সব বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলে। তারা খানকে খুঁজেও বেড়াচ্ছিল। খানের ধারণা, ওই অস্ত্রধারীরা তালেবান যোদ্ধা।

খান বলেন, “মধ্যরাতে আমার কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী আমাকে টেলিফোনে জানায়, কয়েকজন বন্দুকধারী এসে বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলেছে। তারা এখনো এখানে আছে। আপনাকে খুঁজছে।”

এর পরদিন ভোরেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাবুল ছেড়ে চলে যান খান। তালেবান সম্পর্কে যা ভেবেছিলেন তা ভুল ছিল, এখন সেকথাই বলছেন তিনি।

এই গায়ক ও সংগীত পরিচালকরা তোরখাম ও চামান সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারের শহরতলিতে লুকিয়ে আছেন তারা। পাকিস্তানের বাইরে কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পথ খুঁজছেন তারা।

এমনই আরেক শিল্পী হাসান (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, তালেবান তাকে ধরতে পারলে মেরে ফেলত। কারণ, কাবুলের পতনের আগে তিনি আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর জন্য গান গেয়েছিলেন। বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডিতে এক বন্ধুর কাছে আছেন তিনি। তালেবানের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের আফগানিস্তানে রেখেই তিনি পালিয়ে যান।

পলাতক আরেক শিল্পীর নাম আখতার (আসল নাম নয়)। বন্ধু ও স্বজনদের পাঁচ পরিবারের সঙ্গে তিনি পালিয়ে পাকিস্তানের পেশোয়ারে চলে গেছন। সেখানে যেতে তার পাঁচ দিন লেগেছে। বিবিসি-কে তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি এই যাত্রা করেছিলেন। তার সাত বছরের মেয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত। আখতার বলেন, “পথ পাড়ি দিতে আমি আমার জীবনের কথা চিন্তা করিনি। মেয়ের জীবন নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।”

আখতার জানান, তার মতো এমন আরও অনেক গায়ক এবং সঙ্গীতশিল্পী পাকিস্তানে চলে যাচ্ছেন নতুন একটি আবাস পাওয়ার আশায়, যেখানে তারা সঙ্গীতচর্চা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং নির্ভয়ে বাস করতে পারবেন।

আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের পশ্চিমা-সমর্থিত সরকার ব্যবস্থায় রাজধানী কাবুল ও অন্যান্য নগরীতে গড়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত এক জনপ্রিয় সংস্কৃতি। বডিবিল্ডিং, রকমারি চুলের স্টাইল, জোর আওয়াজে পপ গান কত কীই না চলেছে! তুর্কি সোপ অপেরা থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠান এবং টিভিতে ‘আফগান স্টার শো’ হয়েছে বহুল জনপ্রিয়।

এখন রাতারাতি বদলে যেতে শুরু করেছে সে সবকিছুই। গানে গানে মুখরিত থাকত যে আফগানিস্তান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিক, ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে যেখানে গান শিখত; সেই স্কুলের দরজা এখন বন্ধ। স্তব্ধ হলরুমে পড়ে আছে বাদ্যযন্ত্র। সেখানে এখন তালেবানের আনাগোনা।

শরিয়া আইন অনুযায়ী যেন সব হয় তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে তালেবান। কাবুলের কাছের লেগমান প্রদেশের এক সাংবাদিক জানান, তালেবানের স্থানীয় সাংস্কৃতিক কমিশন রাষ্ট্র-পরিচালতি একটি রেডিও এবং ৬ টি বেসরকারি রেডিও স্টেশনকে শরিয়া আইনানুযায়ী অনুষ্ঠান করতে বলেছে।

কান্দাহারে তালেবান কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্দেশ দিয়ে রেডিও স্টেশনগুলোকে গান-বাজনা এবং নারী কণ্ঠের ঘোষণা বন্ধ করতে বলেছে।

ভারতে মাটিচাপা দেয়া কন্যাশিশু উদ্ধার, বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চিকিৎসকদের

ছবি

বন্যা, দুর্নীতি আর ‘নেপো বেবি’দের নিয়ে ক্ষোভ ফিলিপাইনেও

ছবি

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

এমপিদের নতুন গাড়ি ও বাড়তি সুবিধার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব তিমুর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবিতে পিটিশন ইসরায়েলে

ছবি

আক্রান্ত হলে পরস্পরকে রক্ষা করবে সৌদি আরব-পাকিস্তান

ছবি

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প

ছবি

নেপালে জেন-জিরা কেন প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল

ছবি

সৌদি-পাকিস্তান যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি, একজনের ওপর হামলা হবে ‘উভয়ের ওপর আক্রমণ’

ছবি

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

tab

তালেবানের ভয়ে আফগান সঙ্গীতশিল্পীরা পালিয়ে গেছেন পাকিস্তানে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর সহিংসতার শিকার হওয়য়ায় আশঙ্কায় পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন সংগীতশিল্পীরা।

সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে পাকিস্তানে ঢুকেছেন এবং এখন আত্মগোপনে আছেন- এমন ছয় আফগান সংগীতশিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।

পাকিস্তানে পালানো এই সংগীতশিল্পীদের একজন বিবিসি-কে বলেছেন, আফগানিস্তানে থেকে গেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে শঙ্কিত ছিলেন তিনি।

তালেবান সংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, এমনকী গতমাসের আগস্টে বাঘলান প্রদেশে এক লোকসঙ্গীত শিল্পীকে হত্যা করারও অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে তালেবান এখনও কোনওকিছু বলেনি।

যাকে হত্যা করা হয়েছিল, তার নাম ফাওয়াদ আনদারাবি। তার ছেলে জাওয়াদ বার্তা সংস্থা এপি কে বলেছিলেন, আনদারাব উপত্যকায় তাদের কৃষি খামার আছে। সেখানে তার বাবাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে তালেবান।

আফগানিস্তান থেকে যে ক’জন শিল্পী পাকিস্তানে পালিয়েছেন, তাদের একজনের নাম খান (ছদ্মনাম)। ২০ ধরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মূলত বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইতেন তিনি। পশতুদের বিয়েতে লোকসংগীত শিল্পীরা বেশ জনপ্রিয়।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তালেবান সরকারের পতনের গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন খান। তার আগে এ সুযোগ ছিল না। কারণ, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শাসনামলে তালেবান সংগীতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

এবার আফগানিস্তান দখলে তালবানের অগ্রযাত্রার সময়ও গান নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না খানসহ অন্য শিল্পীরা। তাদের ধারণা ছিল, হয়ত তালেবান বদলে গেছে। তারা হয়ত এবার গান করা কিংবা গান কম্পোজ করার সুযোগ দেবে।

কিন্তু তাদের এই ধারণা ছিল ভুল। গত মাসে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অস্ত্রধারীরা খানের সব বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলে। তারা খানকে খুঁজেও বেড়াচ্ছিল। খানের ধারণা, ওই অস্ত্রধারীরা তালেবান যোদ্ধা।

খান বলেন, “মধ্যরাতে আমার কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী আমাকে টেলিফোনে জানায়, কয়েকজন বন্দুকধারী এসে বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলেছে। তারা এখনো এখানে আছে। আপনাকে খুঁজছে।”

এর পরদিন ভোরেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাবুল ছেড়ে চলে যান খান। তালেবান সম্পর্কে যা ভেবেছিলেন তা ভুল ছিল, এখন সেকথাই বলছেন তিনি।

এই গায়ক ও সংগীত পরিচালকরা তোরখাম ও চামান সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারের শহরতলিতে লুকিয়ে আছেন তারা। পাকিস্তানের বাইরে কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পথ খুঁজছেন তারা।

এমনই আরেক শিল্পী হাসান (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, তালেবান তাকে ধরতে পারলে মেরে ফেলত। কারণ, কাবুলের পতনের আগে তিনি আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর জন্য গান গেয়েছিলেন। বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডিতে এক বন্ধুর কাছে আছেন তিনি। তালেবানের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের আফগানিস্তানে রেখেই তিনি পালিয়ে যান।

পলাতক আরেক শিল্পীর নাম আখতার (আসল নাম নয়)। বন্ধু ও স্বজনদের পাঁচ পরিবারের সঙ্গে তিনি পালিয়ে পাকিস্তানের পেশোয়ারে চলে গেছন। সেখানে যেতে তার পাঁচ দিন লেগেছে। বিবিসি-কে তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি এই যাত্রা করেছিলেন। তার সাত বছরের মেয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত। আখতার বলেন, “পথ পাড়ি দিতে আমি আমার জীবনের কথা চিন্তা করিনি। মেয়ের জীবন নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।”

আখতার জানান, তার মতো এমন আরও অনেক গায়ক এবং সঙ্গীতশিল্পী পাকিস্তানে চলে যাচ্ছেন নতুন একটি আবাস পাওয়ার আশায়, যেখানে তারা সঙ্গীতচর্চা চালিয়ে যেতে পারবেন এবং নির্ভয়ে বাস করতে পারবেন।

আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের পশ্চিমা-সমর্থিত সরকার ব্যবস্থায় রাজধানী কাবুল ও অন্যান্য নগরীতে গড়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত এক জনপ্রিয় সংস্কৃতি। বডিবিল্ডিং, রকমারি চুলের স্টাইল, জোর আওয়াজে পপ গান কত কীই না চলেছে! তুর্কি সোপ অপেরা থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠান এবং টিভিতে ‘আফগান স্টার শো’ হয়েছে বহুল জনপ্রিয়।

এখন রাতারাতি বদলে যেতে শুরু করেছে সে সবকিছুই। গানে গানে মুখরিত থাকত যে আফগানিস্তান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিক, ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে যেখানে গান শিখত; সেই স্কুলের দরজা এখন বন্ধ। স্তব্ধ হলরুমে পড়ে আছে বাদ্যযন্ত্র। সেখানে এখন তালেবানের আনাগোনা।

শরিয়া আইন অনুযায়ী যেন সব হয় তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে তালেবান। কাবুলের কাছের লেগমান প্রদেশের এক সাংবাদিক জানান, তালেবানের স্থানীয় সাংস্কৃতিক কমিশন রাষ্ট্র-পরিচালতি একটি রেডিও এবং ৬ টি বেসরকারি রেডিও স্টেশনকে শরিয়া আইনানুযায়ী অনুষ্ঠান করতে বলেছে।

কান্দাহারে তালেবান কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্দেশ দিয়ে রেডিও স্টেশনগুলোকে গান-বাজনা এবং নারী কণ্ঠের ঘোষণা বন্ধ করতে বলেছে।

back to top