alt

কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলা : নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ সময়ে এসে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয় একই পরিবারের ১০ সদস্য। রাজধানী কাবুলে চালানো ওই হামলাকে ভুল হিসেবে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এতে সন্তুষ্ট নন নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়রা। তাঁরা এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আফগানিস্তানে এসে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন। গতকাল শনিবার তাঁরা এমন দাবি করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত ২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য সন্দেহে কাবুলে একটি গাড়িতে ওই ড্রোন হামলা চালান মার্কিন গোয়েন্দারা। এতে গাড়িটিতে থাকা এজমারাই আহমাদিসহ তিন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাত শিশু নিহত হয়। এর আগে ২৬ আগস্ট রাজধানীর হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ আফগান নিহত হয়।

সেদিনের ড্রোন হামলার পর এএফপির সঙ্গে কথা বলেছেন ফারশাদ হায়দারি (২২)। ড্রোন হামলায় নিহত এজমারাই আহমাদি সম্পর্কে তাঁর চাচা। কাবুলে নিজ বাসা থেকে হায়দারি বলেন, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। মার্কিনদের আফগানিস্তানে আসতে হবে এবং সামনাসামনি ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া তাদের অবশ্যই এ ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হায়দারির ভাই নাসেরও ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের পক্ষে তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের কেউ যে সন্ত্রাসী ছিল না, এটা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরিষ্কার। সারা বিশ্বের মানুষও এখন এটা জানবে। এ সময় তিনি হামলার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের আটক করে শাস্তির দাবি করেন।

মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন হায়দারি। তাঁর ভাই নাসের যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১০ বছরের মতো সময় কাজ করেছেন। চাচা আহমাদিও মৃত্যুর সময় একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছিলেন। তালেবান কাবুল দখলের পর তাঁদের সবার কাছে আফগানিস্তান ত্যাগের ছাড়পত্র ছিল। তাঁরা খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেওয়ার আশায় ছিলেন বলে জানান হায়দারি।

হামলায় নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে এএফপি কথা বলেছে আহমাদির ভাই আইমালের সঙ্গে। সেদিন গাড়িতে অন্যদের সঙ্গে ছিল তাঁর তিন বছরের মেয়ে মালেকাও। ড্র্রোন হামলা তার প্রাণও কেড়ে নেয়। আইমাল বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বিচার চাই...এরপর আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই।’

এদিকে ড্রোন হামলাটিকে ভুল বলে স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও। তিনি বলেন, নিহত আহমাদির সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে কোনো সংযোগ ছিল না। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ছবি

৩০ প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা

ছবি

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

ছবি

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া-চীন-ইরানের দ্বারে মাদুরো

ছবি

‘না যুদ্ধ’, ‘না শান্তির’ মরণফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের মধ্যেও খাদ্য সহায়তা দিতে আদালতের নির্দেশ

ছবি

গৃহযুদ্ধে নাকাল সুদান

ছবি

প্রিন্স উপাধি হারালেও আপাতত রয়েল লজেই থাকছেন অ্যান্ড্রু

এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান আফগানিস্তান

ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদির নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদী প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

নতুন পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন

ছবি

পাকিস্তান–আফগানিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত

ছবি

গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর

ছবি

নেটোর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া, সমন্বয়ের অভাব ইউরোপে

ছবি

ট্রাম্পের আগমন ঘিরে দ. কোরিয়ায় বিক্ষোভ

ছবি

কানাডায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে খুন করল বিষ্ণোই গ্যাং

ছবি

ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

ছবি

এক মাসে রেকর্ড ১ কোটি ১৭ লাখ মানুষের ওমরাহ পালন

ছবি

ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’র তাণ্ডব, নিহত ১

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত অন্তত ৩৩, যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা

ছবি

গাজায় সেনা পাঠাচ্ছে পাকিস্তান!

ছবি

অ্যামাজনে চাকরি হারাচ্ছে আরও ৩০ হাজার কর্মী

ছবি

ইউরোপীয় আদালতের জলবায়ু রায়ের মুখোমুখি নরওয়ে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিংয়ের বৈঠকে ঘিরে বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতির আশা

ছবি

চ্যালেঞ্জের’ মুখে ভারত, সীমান্তে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ‘শেল্টার’ বানিয়েছে চীন

ছবি

হামাস ফেরত দিল আরও এক জিম্মির দেহ, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২ ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

tab

কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলা : নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ সময়ে এসে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হয় একই পরিবারের ১০ সদস্য। রাজধানী কাবুলে চালানো ওই হামলাকে ভুল হিসেবে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এতে সন্তুষ্ট নন নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়রা। তাঁরা এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আফগানিস্তানে এসে ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন। গতকাল শনিবার তাঁরা এমন দাবি করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত ২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য সন্দেহে কাবুলে একটি গাড়িতে ওই ড্রোন হামলা চালান মার্কিন গোয়েন্দারা। এতে গাড়িটিতে থাকা এজমারাই আহমাদিসহ তিন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাত শিশু নিহত হয়। এর আগে ২৬ আগস্ট রাজধানীর হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ আফগান নিহত হয়।

সেদিনের ড্রোন হামলার পর এএফপির সঙ্গে কথা বলেছেন ফারশাদ হায়দারি (২২)। ড্রোন হামলায় নিহত এজমারাই আহমাদি সম্পর্কে তাঁর চাচা। কাবুলে নিজ বাসা থেকে হায়দারি বলেন, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। মার্কিনদের আফগানিস্তানে আসতে হবে এবং সামনাসামনি ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া তাদের অবশ্যই এ ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হায়দারির ভাই নাসেরও ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের পক্ষে তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের কেউ যে সন্ত্রাসী ছিল না, এটা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরিষ্কার। সারা বিশ্বের মানুষও এখন এটা জানবে। এ সময় তিনি হামলার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের আটক করে শাস্তির দাবি করেন।

মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন হায়দারি। তাঁর ভাই নাসের যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১০ বছরের মতো সময় কাজ করেছেন। চাচা আহমাদিও মৃত্যুর সময় একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছিলেন। তালেবান কাবুল দখলের পর তাঁদের সবার কাছে আফগানিস্তান ত্যাগের ছাড়পত্র ছিল। তাঁরা খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেওয়ার আশায় ছিলেন বলে জানান হায়দারি।

হামলায় নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে এএফপি কথা বলেছে আহমাদির ভাই আইমালের সঙ্গে। সেদিন গাড়িতে অন্যদের সঙ্গে ছিল তাঁর তিন বছরের মেয়ে মালেকাও। ড্র্রোন হামলা তার প্রাণও কেড়ে নেয়। আইমাল বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বিচার চাই...এরপর আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই।’

এদিকে ড্রোন হামলাটিকে ভুল বলে স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও। তিনি বলেন, নিহত আহমাদির সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে কোনো সংযোগ ছিল না। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

back to top