alt

আইএস নির্মূলে আমেরিকার সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন নেই: তালেবান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার জানিয়েছেন, উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএস জঙ্গিদের মোকাবেলার ক্ষমতা তারা রাখে এবং এ ক্ষেত্রে আমেরিকার সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন তাদের নেই।

জাতিসংঘে তালেবানের প্রস্তাবিত প্রতিনিধি সোহেল শাহিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, তালেবান নিজেরাই স্বাধীনভাবে আইএসসহ যেকোনো উগ্র গোষ্ঠীকে মোকাবেলা করবে এবং ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার কোনো চিন্তা তাদের নেই। আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের ধ্বংস করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে।

এদিকে, তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আইএস জঙ্গিরা উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ শহরে শিয়া মসজিদে হামলা চালানোসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। শিয়া মসজিদে হামলায় অন্তত ৩০০ মুসল্লি হতাহত হয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, আইএস জঙ্গিদেরকে তিনি আফগানিস্তানের জন্য তেমন একটা হুমকি মনে করেন না। তার এ বক্তব্যের পর দিনই কুন্দুজে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে আইএস জঙ্গিরা এখনো সেদেশের জনগণ বিশেষ করে শিয়া মুসলমানদের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে আছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা এবং সাম্প্রদায়িক ফেতনা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাধানো।

এর আগে সৌদি সমর্থিত সন্ত্রাসী দায়েশ বা আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ায় তথাকথিত ইসলামি খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনেক বছর ধরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যর্থ হওয়ার পর আইএস জঙ্গিরা এখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশে তৎপরতা চালাচ্ছে। আইএস জঙ্গিরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো অনেক দেশেও সক্রিয় রয়েছে। বলা যায় তারা ওই অঞ্চলে প্রধান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।

তালেবান এমন সময় আইএস জঙ্গিদের দমনে আমেরিকার কাছ থেকে সহযোগিতা না নেয়ার কথা জানিয়েছে যখন তারা স্বীকৃতি আদায়ের জন্য হোয়াইট হাউজের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় কতদিন পর্যন্ত তারা নিজেদের অবস্থানে অটল থাকতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ছবি

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়

ছবি

ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের’ সমতুল্য: জাতিসংঘ

ছবি

আফগানিস্তানে ডায়রিয়ায় বছরে মৃত্যু ৯৭ হাজারের অধিক

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের সায়

ছবি

যুদ্ধবিরতি হলেও ভিন্ন আতঙ্কে গাজার বাসিন্দারা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩৫

ছবি

ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার কঠোর অবস্থান, অনিশ্চয়তায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক

ছবি

বিরল খনিজের সরবরাহে চীনা দাপট ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি

ছবি

শক্তিধরদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অবসানের পর ইরান এখন কী করবে

ছবি

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

ছবি

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল, নাকি ভেস্তে গেছে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে তো?

ছবি

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

ছবি

ইইউ: ২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

বলিভিয়ায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী পাজ

ছবি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ছবি

ফের জেলেনস্কিকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দোহায় আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র হচ্ছে

ইসরায়েলের হামলা চলছেই, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

ছবি

বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ, দুই দশকের বামপন্থি শাসনের অবসান

ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে সোনার ৯ আইটেম নিয়ে গেছে ডাকাতরা

ছবি

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে আসছে নতুন নিয়ম

ছবি

শিগরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে সৌদি, আশা ট্রাম্পের

tab

আইএস নির্মূলে আমেরিকার সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন নেই: তালেবান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার জানিয়েছেন, উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএস জঙ্গিদের মোকাবেলার ক্ষমতা তারা রাখে এবং এ ক্ষেত্রে আমেরিকার সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন তাদের নেই।

জাতিসংঘে তালেবানের প্রস্তাবিত প্রতিনিধি সোহেল শাহিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, তালেবান নিজেরাই স্বাধীনভাবে আইএসসহ যেকোনো উগ্র গোষ্ঠীকে মোকাবেলা করবে এবং ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার কোনো চিন্তা তাদের নেই। আফগানিস্তানে আইএস জঙ্গিদের ধ্বংস করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে।

এদিকে, তালেবান রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আইএস জঙ্গিরা উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ শহরে শিয়া মসজিদে হামলা চালানোসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। শিয়া মসজিদে হামলায় অন্তত ৩০০ মুসল্লি হতাহত হয়েছে।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, আইএস জঙ্গিদেরকে তিনি আফগানিস্তানের জন্য তেমন একটা হুমকি মনে করেন না। তার এ বক্তব্যের পর দিনই কুন্দুজে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে আইএস জঙ্গিরা এখনো সেদেশের জনগণ বিশেষ করে শিয়া মুসলমানদের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে আছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা এবং সাম্প্রদায়িক ফেতনা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাধানো।

এর আগে সৌদি সমর্থিত সন্ত্রাসী দায়েশ বা আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ায় তথাকথিত ইসলামি খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনেক বছর ধরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যর্থ হওয়ার পর আইএস জঙ্গিরা এখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশে তৎপরতা চালাচ্ছে। আইএস জঙ্গিরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো অনেক দেশেও সক্রিয় রয়েছে। বলা যায় তারা ওই অঞ্চলে প্রধান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।

তালেবান এমন সময় আইএস জঙ্গিদের দমনে আমেরিকার কাছ থেকে সহযোগিতা না নেয়ার কথা জানিয়েছে যখন তারা স্বীকৃতি আদায়ের জন্য হোয়াইট হাউজের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় কতদিন পর্যন্ত তারা নিজেদের অবস্থানে অটল থাকতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

back to top