বিপিও শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের সংযোগ সাধন এবং স্টার্ট-আপের প্রসারকে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক বিকাশের মূল সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল ইনিশিয়েটিভ পাথওয়ের সাথে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-র যৌথভাবে প্রকাশিত এক স্ট্র্যাটেজিক ডকুমেন্টে এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়। গত ৫ এপ্রিল “লঞ্চিং অফ স্ট্র্যাটেজি প্রাইমার: দ্য ফিউচার অফ ডিজিটাল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডকুমেন্টটি প্রকাশ হয়। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় এবং গতিশীল গবেষণার মাধ্যমে এ ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু সংলাপের আয়োজন করা হয়। সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সুধীসমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
গবেষণা ও সেই সংলাপের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলভিত্তিক অগ্রাধিকারের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। এ লক্ষ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কী ধরণের কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন, সরকারের বাইরে এবং ভেতরে অংশীদারদের কার দায়িত্ব কেমন হবে ইত্যাদির একটি রূপরেখা এই স্ট্র্যাটেজিক ডকুমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মেলাতে হলে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি ও মানবসম্পদে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। তাই অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের প্রস্তুতি সুনিশ্চিত করার ব্যাপারেও জোর দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এছাড়া আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডঃ বিকর্ন কুমার ঘোষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের ব্লাভাটনিক স্কুল অফ গভর্নমেন্ট-এর অধ্যাপক ও এফসিডিও’র পররাষ্ট্র সচিবের উন্নয়ননীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ স্টেফান ডেরকনও আলোচনায় অংশ নেন।
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে তা এই স্ট্র্যাটেজি ডকুমেন্টে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি আশা করি ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়, অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমরা একত্রে কাজ করে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।”
বিআইজিডি’র রিসার্চ ফেলো ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর, জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী আবদুল্লাহ হাসান সাফির এবং গবেষণা সহযোগী শামায়েল আহমেদও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকারি ও বেসরকারি খাতে সহযোগিতা ও যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর ব্যাপারে আলোকপাত করেন।
বিআইজিডি’র নির্বাহী পরিচালক ডঃ ইমরান মতিন অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে বলেন, প্রযুক্তিগত আবিষ্কারের সাথে সামাজিক বিজ্ঞানের মিথস্ক্রিয়ায় সৃষ্টি হতে পারে নানা ধরনের সুযোগ। যা একটি রুপান্তরিত ও বিস্তৃত বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে। নিকট ভবিষ্যতে জ্ঞানের উন্মেষ এবং কার্যকরী গবেষণায় অংশীদারদের সহায়তা ও সাহায্য করতে বিআইজিডি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিআইজিডি’র জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীপরিষদ সচিব এম. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১
বিপিও শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের সংযোগ সাধন এবং স্টার্ট-আপের প্রসারকে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক বিকাশের মূল সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল ইনিশিয়েটিভ পাথওয়ের সাথে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-র যৌথভাবে প্রকাশিত এক স্ট্র্যাটেজিক ডকুমেন্টে এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়। গত ৫ এপ্রিল “লঞ্চিং অফ স্ট্র্যাটেজি প্রাইমার: দ্য ফিউচার অফ ডিজিটাল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডকুমেন্টটি প্রকাশ হয়। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় এবং গতিশীল গবেষণার মাধ্যমে এ ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু সংলাপের আয়োজন করা হয়। সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সুধীসমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
গবেষণা ও সেই সংলাপের ভিত্তিতে পরবর্তীতে এদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলভিত্তিক অগ্রাধিকারের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়। এ লক্ষ্যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কী ধরণের কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন, সরকারের বাইরে এবং ভেতরে অংশীদারদের কার দায়িত্ব কেমন হবে ইত্যাদির একটি রূপরেখা এই স্ট্র্যাটেজিক ডকুমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মেলাতে হলে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি ও মানবসম্পদে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। তাই অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের প্রস্তুতি সুনিশ্চিত করার ব্যাপারেও জোর দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এছাড়া আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডঃ বিকর্ন কুমার ঘোষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের ব্লাভাটনিক স্কুল অফ গভর্নমেন্ট-এর অধ্যাপক ও এফসিডিও’র পররাষ্ট্র সচিবের উন্নয়ননীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ স্টেফান ডেরকনও আলোচনায় অংশ নেন।
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে তা এই স্ট্র্যাটেজি ডকুমেন্টে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি আশা করি ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়, অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমরা একত্রে কাজ করে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।”
বিআইজিডি’র রিসার্চ ফেলো ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর, জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী আবদুল্লাহ হাসান সাফির এবং গবেষণা সহযোগী শামায়েল আহমেদও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকারি ও বেসরকারি খাতে সহযোগিতা ও যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমানোর ব্যাপারে আলোকপাত করেন।
বিআইজিডি’র নির্বাহী পরিচালক ডঃ ইমরান মতিন অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে বলেন, প্রযুক্তিগত আবিষ্কারের সাথে সামাজিক বিজ্ঞানের মিথস্ক্রিয়ায় সৃষ্টি হতে পারে নানা ধরনের সুযোগ। যা একটি রুপান্তরিত ও বিস্তৃত বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে। নিকট ভবিষ্যতে জ্ঞানের উন্মেষ এবং কার্যকরী গবেষণায় অংশীদারদের সহায়তা ও সাহায্য করতে বিআইজিডি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিআইজিডি’র জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীপরিষদ সচিব এম. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।