ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বহুল আলোচিত বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ও কর ফাঁকির অভিযোগে এবার মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক মুখ্যসচিব ও বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়েছি। সবকিছু খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করব।”
এর আগে এনবিআরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর একটি প্রতিবেদনে জানায়, আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিপরীতে প্রায় ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের শুল্ক ও কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২৮ কোটি ডলারের বিদ্যুৎ আমদানি হলেও এনবিআরের অনুমতি ছাড়াই শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে।
এনবিআরের দাবি, আদানি পাওয়ার থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের জন্য কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি এবং তা নিষ্পত্তিও করা হয়নি আইনি পন্থায়। এমনকি ২০২২ সালে শুল্ক ও কর মওকুফের জন্য আবেদন করা হলেও এনবিআর এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জানানো হয়, আগের একটি ভারতীয় কোম্পানিকে (এনটিপিসি) দেওয়া শুল্ক ছাড়ের নজির দেখিয়েই আদানিকেও ছাড় চাওয়া হয়। তবে শুল্ক অব্যাহতির ব্যাপারে কোনো প্রজ্ঞাপন বা এনবিআরের লিখিত অনুমোদন নেই।
দুদকের চিঠিতে আদানি বিদ্যুৎ চুক্তি, এনবিআরের মতামত, শুল্ক ও কর মওকুফ সংক্রান্ত দলিল, এবং শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপি চাওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব চুক্তি পর্যালোচনার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ভারতের আদানি গ্রুপসহ ১১টি বিতর্কিত চুক্তি খতিয়ে দেখছে।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বহুল আলোচিত বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ও কর ফাঁকির অভিযোগে এবার মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক মুখ্যসচিব ও বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়েছি। সবকিছু খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিল করব।”
এর আগে এনবিআরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর একটি প্রতিবেদনে জানায়, আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিপরীতে প্রায় ৩৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের শুল্ক ও কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। চুক্তির আওতায় ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২৮ কোটি ডলারের বিদ্যুৎ আমদানি হলেও এনবিআরের অনুমতি ছাড়াই শুল্ক মওকুফ করা হয়েছে।
এনবিআরের দাবি, আদানি পাওয়ার থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের জন্য কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি এবং তা নিষ্পত্তিও করা হয়নি আইনি পন্থায়। এমনকি ২০২২ সালে শুল্ক ও কর মওকুফের জন্য আবেদন করা হলেও এনবিআর এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জানানো হয়, আগের একটি ভারতীয় কোম্পানিকে (এনটিপিসি) দেওয়া শুল্ক ছাড়ের নজির দেখিয়েই আদানিকেও ছাড় চাওয়া হয়। তবে শুল্ক অব্যাহতির ব্যাপারে কোনো প্রজ্ঞাপন বা এনবিআরের লিখিত অনুমোদন নেই।
দুদকের চিঠিতে আদানি বিদ্যুৎ চুক্তি, এনবিআরের মতামত, শুল্ক ও কর মওকুফ সংক্রান্ত দলিল, এবং শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত প্রতিবেদনের ফটোকপি চাওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব চুক্তি পর্যালোচনার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ভারতের আদানি গ্রুপসহ ১১টি বিতর্কিত চুক্তি খতিয়ে দেখছে।