সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর বেসরকারি টেলিভিশন দীপ্ত টিভি সংবাদ সম্প্রচার বন্ধ করে এবং তিনটি টিভির সাংবাদিককে বরখাস্ত বা অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সোমবার সচিবালয়ে ফারুকীর সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন, মোটিফে রাজনৈতিক চরিত্র ব্যবহার এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এসব প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুকীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মধ্যে দীর্ঘ ও কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ কথোপকথন হয়, যা পরে ‘বাহাসে’ রূপ নেয়।
এরপর মঙ্গলবার দুপুর থেকে দীপ্ত টিভি তাদের নিয়মিত পাঁচটি সংবাদ বুলেটিন বন্ধ রাখে। রাত ১১টায় সংবাদ সম্প্রচারে ফেরে তারা। একইসঙ্গে চ্যানেলটির সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট মিজানুর রহমানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়া ফারুকীর প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বীকেও বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। চ্যানেলটি বলছে, অতীতে অফিস শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চ্যানেল আই-ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক রফিকুল বাসারকে ‘পেশাদারিত্বের অভাব’ দেখিয়ে অব্যাহতি দেয় বলে তাদের ফেইসবুক পেইজে জানানো হয়।
এ ঘটনার পর ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি ফেইসবুক পেইজে ওই তিন সাংবাদিকের ছবি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে তিন টিভি স্টেশনের দিকে ‘মার্চ’ করার হুমকিও দেওয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, সরকার সংবাদ বন্ধে বা কাউকে চাকরিচ্যুত করতে কোনো নির্দেশ দেয়নি। টিভি চ্যানেলগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার পর নিজের ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে ফারুকী বলেন, “তিন সাংবাদিকের কিছু প্রশ্ন জুলাইয়ের গণহত্যার ব্যথিত মানুষদের আহত করতে পারে।” তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তে তার বা সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর বেসরকারি টেলিভিশন দীপ্ত টিভি সংবাদ সম্প্রচার বন্ধ করে এবং তিনটি টিভির সাংবাদিককে বরখাস্ত বা অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সোমবার সচিবালয়ে ফারুকীর সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন, মোটিফে রাজনৈতিক চরিত্র ব্যবহার এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এসব প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুকীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মধ্যে দীর্ঘ ও কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ কথোপকথন হয়, যা পরে ‘বাহাসে’ রূপ নেয়।
এরপর মঙ্গলবার দুপুর থেকে দীপ্ত টিভি তাদের নিয়মিত পাঁচটি সংবাদ বুলেটিন বন্ধ রাখে। রাত ১১টায় সংবাদ সম্প্রচারে ফেরে তারা। একইসঙ্গে চ্যানেলটির সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট মিজানুর রহমানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়া ফারুকীর প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বীকেও বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। চ্যানেলটি বলছে, অতীতে অফিস শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চ্যানেল আই-ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক রফিকুল বাসারকে ‘পেশাদারিত্বের অভাব’ দেখিয়ে অব্যাহতি দেয় বলে তাদের ফেইসবুক পেইজে জানানো হয়।
এ ঘটনার পর ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি ফেইসবুক পেইজে ওই তিন সাংবাদিকের ছবি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে তিন টিভি স্টেশনের দিকে ‘মার্চ’ করার হুমকিও দেওয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, সরকার সংবাদ বন্ধে বা কাউকে চাকরিচ্যুত করতে কোনো নির্দেশ দেয়নি। টিভি চ্যানেলগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার পর নিজের ফেইসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে ফারুকী বলেন, “তিন সাংবাদিকের কিছু প্রশ্ন জুলাইয়ের গণহত্যার ব্যথিত মানুষদের আহত করতে পারে।” তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তে তার বা সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।