আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রতারণা করে, ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে এবং মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস: ভূমিকা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ফ্যাসিবাদের ভিত্তি বলা হয়েছে—এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং এর সঙ্গে প্রতারণা করেই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"
তিনি বলেন, ধর্মীয় নিপীড়নকে কাজে লাগিয়ে, জনগণের সম্পদ লুট করে এবং বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা করে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সংবিধানের মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, "পাইকারি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে, অথচ বড় গোষ্ঠীগুলো সরকারের সঙ্গে বৈঠক করছে। এই বৈপরীত্য চলতে পারে না।"
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আগের মতোই এখনো রাজনৈতিক প্রভাবের অধীনেই আদালত চলছে। মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি এবং এলএনজি আমদানির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "জাতীয় সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের গ্যাস সম্পদ নিজেরাই ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে। এলএনজি আমদানির পরিবর্তে দেশে গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো উচিত।"
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গবেষক মাহা মির্জা, চিকিৎসক হারুন-অর-রশিদ, সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা, শ্রমিকনেতা সত্যজিৎ বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও ছাত্রনেতারা।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রতারণা করে, ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে এবং মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস: ভূমিকা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ফ্যাসিবাদের ভিত্তি বলা হয়েছে—এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতার মাধ্যমে নয়, বরং এর সঙ্গে প্রতারণা করেই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"
তিনি বলেন, ধর্মীয় নিপীড়নকে কাজে লাগিয়ে, জনগণের সম্পদ লুট করে এবং বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা করে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সংবিধানের মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, "পাইকারি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে, অথচ বড় গোষ্ঠীগুলো সরকারের সঙ্গে বৈঠক করছে। এই বৈপরীত্য চলতে পারে না।"
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আগের মতোই এখনো রাজনৈতিক প্রভাবের অধীনেই আদালত চলছে। মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি এবং এলএনজি আমদানির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "জাতীয় সক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের গ্যাস সম্পদ নিজেরাই ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে। এলএনজি আমদানির পরিবর্তে দেশে গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো উচিত।"
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গবেষক মাহা মির্জা, চিকিৎসক হারুন-অর-রশিদ, সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা, শ্রমিকনেতা সত্যজিৎ বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও ছাত্রনেতারা।