image

তারেক রহমানের ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন, তালিকায় অন্তর্ভুক্তিতে আরও একদিন লাগবে

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন। তবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে আরও একদিন সময় লাগবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তারেক রহমান ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নির্বাচন ভবন ত্যাগ করার পর নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, "জনাব তারেক রহমান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি এবং উনার মেয়ে জাইমা রহমান উনারা দুজনে আজকে ভোটার নিবন্ধন ফর্ম জমা দিয়ে এখানে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। ভোটার তালিকা আইনের ২০০৯ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী কমিশনের এখতিয়ার আছে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার সক্ষম ব্যক্তিকে ভোটার করতে পারেন। এবং সেই বিবেচনায় উনারা ঢাকা ১৯, এই ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নিবন্ধন হয়েছেন।"

ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে আখতার আহমেদ বলেন, "এটা আজকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া যেটা আছে, সেটা আমাদের বলা হয় যে- ফর্ম ২। ওই ফর্ম পূরণ করে উনারা ছবি তুলেছেন, বায়োমেট্রিক দিয়েছেন এবং দিয়ে উনারা আবেদন করেছেন যে উনাদেরকে যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন আগামীকাল কমিশনে এটা পেশ করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্তের পরে উনাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হবে।"

এ সিদ্ধান্ত নিতে পুরো কমিশন বৈঠকে বসবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইসি সচিব বলেন, "নিবন্ধনটা চলমান প্রক্রিয়া। নিবন্ধন কমপ্লিট করেছেন তিনি। ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, যেটা আগামী আপনার ১২-ই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত। সেক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত লাগবে। কমিশন তো আছেন সবাই এখানে। আপনারা জানেন, কমিশনের সিদ্ধান্ত—কমিশনের অনুমতি দুইভাবে পাওয়া যায়। একটা হচ্ছে আনুষ্ঠানিক সভা করে, আরেকটা হচ্ছে নথির মাধ্যমে। এখন কমিশন যেটা যে পদ্ধতিতে অনুমোদন করবেন সেটা; আমরা নথি উপস্থাপন করব নিষ্পত্তির জন্য। কমিশন যদি বলেন যে সভা করবেন, তাহলে সভা করবেন। আর যদি মনে হয় যে, নথিতে প্রক্রিয়াজাত করে দেবেন, দেবেন। এটা তো কমিশনের এখতিয়ার। আমার দায়িত্বটা হচ্ছে কমিশন পর্যন্ত পৌঁছানো। এটা আগামীকাল করব।"

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এখন নিবন্ধন কমপ্লিট করে গেলেও এখানে আমাদের প্রসেসের জন্যে সময় লাগে। কারণ এটা আপলোড করে ওনাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং সিগনেচার ম্যাচিং, ফেস-আইরিশ এগুলোকে ম্যাচিং করতে হয়। ম্যাচিং করার পরে কনফার্ম হলে, তখন আরকি উনাদেরকে একটা ভোটার আমরা এনআইডি নাম্বার যেটা বলি, সেই নাম্বারটা দেওয়া হয়। তো এটা করতে কিছু সময় লাগবে, তো আই বিলিভ এটা আজকের ভেতরে কমপ্লিট হয়ে যাবে।"

শনিবার দুপুর ১টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে গিয়ে আঙুলের ছাপ, আইরিশ স্ক্যান ও বায়োমেট্রিক তথ্য দেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। এসময় ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১২টা ২৬ মিনিটে ওই ভবনে প্রবেশ করেন তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। এরপর জাইমা রহমান আঙুলের ছাপ, আইরিশ স্ক্যান ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়। তারেক রহমান তখন কারাগারে ছিলেন। ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এরপর দীর্ঘদিন দেশে না ফেরায় তার এনআইডি কার্ড তৈরি হয়নি।

তবে গত সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান দেশে এসে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।

‘রাজনীতি’ : আরও খবর

সম্প্রতি