সরকারের মেয়াদ নিয়ে এক উপদেষ্টার মন্তব্যে ‘খটকা’ তৈরী হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আলোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উপদেষ্টাদের কথায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে একজন উপদেষ্টা বলেছেন, সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত, যা নিয়ে আমাদের মধ্যে খটকা তৈরি হয়েছে।’
‘আমাদের সম্ভবত লোকাল গভর্নমেন্টে অ্যাডভাইজার সাহেব (এ এফ হাসান আরিফ) বলেছেন যে, ‘চার বছর সরকারের মেয়াদ।’
‘এটা তার বলার কথা নয়। তারা কমিশন গঠন করেছেন সেই কমিশন প্রস্তাব দেবেন, তারপরে না ঠিক হবে। কিন্তু যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন তিনি যদি বলেন যে, ‘সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে’ তাহলে একটা চাপ পড়ে যায়।… অনুরোধ করব, এমন কথাবার্তা না বলা যেটাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।’
দ্রুত নির্বাচনের গুরুত্ব
মির্জা ফখরুল জানান, “নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণকে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। আমাদের কিছু প্রতিপক্ষ আমাদের অধিকারগুলোকে দখল করে বিপ্লবের লক্ষ্যকে ব্যর্থ করতে চায়। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় স্থাপন করা জরুরি।”
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন যে আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা সম্ভব এবং এজন্য দ্রুত নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিরোধী দলগুলো দাবি তুলেছে ‘যৌক্তিক সময়ে’ নির্বাচন আয়োজনের। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সংসদ ভেঙে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সেটি আরও ৯০ দিন বাড়ানো যেতে পারে।
ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, কিছু সম্প্রদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “সম্প্রতি ভারতের সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করেন ড. ইউনুস কী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছেন, আমি বলি দেশের মানুষ তার ওপর আস্থাশীল। জনগণের সমর্থিত ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই।”
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির তানিয়া রবসহ আরও নেতারা বক্তব্য রাখেন।
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
সরকারের মেয়াদ নিয়ে এক উপদেষ্টার মন্তব্যে ‘খটকা’ তৈরী হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক আলোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উপদেষ্টাদের কথায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে একজন উপদেষ্টা বলেছেন, সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত, যা নিয়ে আমাদের মধ্যে খটকা তৈরি হয়েছে।’
‘আমাদের সম্ভবত লোকাল গভর্নমেন্টে অ্যাডভাইজার সাহেব (এ এফ হাসান আরিফ) বলেছেন যে, ‘চার বছর সরকারের মেয়াদ।’
‘এটা তার বলার কথা নয়। তারা কমিশন গঠন করেছেন সেই কমিশন প্রস্তাব দেবেন, তারপরে না ঠিক হবে। কিন্তু যিনি ক্ষমতায় বসে আছেন তিনি যদি বলেন যে, ‘সরকারের মেয়াদ চার বছর হবে’ তাহলে একটা চাপ পড়ে যায়।… অনুরোধ করব, এমন কথাবার্তা না বলা যেটাতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়।’
দ্রুত নির্বাচনের গুরুত্ব
মির্জা ফখরুল জানান, “নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণকে আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। আমাদের কিছু প্রতিপক্ষ আমাদের অধিকারগুলোকে দখল করে বিপ্লবের লক্ষ্যকে ব্যর্থ করতে চায়। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় স্থাপন করা জরুরি।”
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন যে আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা সম্ভব এবং এজন্য দ্রুত নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।
সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিরোধী দলগুলো দাবি তুলেছে ‘যৌক্তিক সময়ে’ নির্বাচন আয়োজনের। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সংসদ ভেঙে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সেটি আরও ৯০ দিন বাড়ানো যেতে পারে।
ফখরুল আরও অভিযোগ করেন, কিছু সম্প্রদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “সম্প্রতি ভারতের সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করেন ড. ইউনুস কী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারছেন, আমি বলি দেশের মানুষ তার ওপর আস্থাশীল। জনগণের সমর্থিত ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই।”
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির তানিয়া রবসহ আরও নেতারা বক্তব্য রাখেন।