জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান পাল্টাপাল্টি ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছেন। এনসিপির আলোচিত নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ এবং তা ঘিরে পারস্পরিক বক্তব্য-বিবৃতি নিয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।
গতকাল রোববার সারজিস আলম একটি দীর্ঘ ফেইসবুক পোস্টে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে ‘অপপ্রচার’, ‘মনগড়া’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও ‘নোংরা মানসিকতা’ ও ‘বিবেকবোধহীন আচরণ’ করছেন।
সারজিস লেখেন, গাজী সালাউদ্দিন তানভীর তাঁর আত্মীয় নন এবং দল গঠনের সময় একাধিক নেতার প্রস্তাবে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। তানভীর কোনো অন্যায় করলে তা তদন্তসাপেক্ষে শাস্তির মুখে পড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ফেইসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে রাশেদ খানকে রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
এর জবাবে সোমবার সন্ধ্যায় রাশেদ খান নিজের ফেইসবুক পেজে ‘সারজিস আলমের পোস্টের জবাব’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, কিছুদিন আগে সারজিস তাঁকে ফোন করে ভুল ধারণা ভাঙাতে এবং একটি ইতিবাচক পোস্ট দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে নিজ বক্তব্যের পক্ষে পর্যাপ্ত আলামত ও তথ্য থাকার দাবি করে তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে অভিযোগ করেন, এনসিপি নেতা সারজিস আলম নিজেই গাজী সালাউদ্দিন তানভীর ও হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষায়, এই দুই নেতার সুপারিশেই তানভীর ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে জড়িয়ে পড়েন এবং এনসিটিবিতে কাজ করার সুযোগ পান।
তানভীরকে কেন্দ্র করে যেসব অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তার পূর্ণ তদন্ত দাবি করে রাশেদ লেখেন, “তদন্ত হলে বোঝা যাবে সারজিস দোষী না নির্দোষ।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেন তদন্ত কমিটি গঠন করছে না?”
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ডিসি নিয়োগে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’ ও এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপায় ‘কমিশন বাণিজ্যের’ অভিযোগ ওঠার পর এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য এবং পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিয়ে আসছেন রাজনৈতিক এই দুই নেতা।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান পাল্টাপাল্টি ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছেন। এনসিপির আলোচিত নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ এবং তা ঘিরে পারস্পরিক বক্তব্য-বিবৃতি নিয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।
গতকাল রোববার সারজিস আলম একটি দীর্ঘ ফেইসবুক পোস্টে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে ‘অপপ্রচার’, ‘মনগড়া’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও ‘নোংরা মানসিকতা’ ও ‘বিবেকবোধহীন আচরণ’ করছেন।
সারজিস লেখেন, গাজী সালাউদ্দিন তানভীর তাঁর আত্মীয় নন এবং দল গঠনের সময় একাধিক নেতার প্রস্তাবে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। তানভীর কোনো অন্যায় করলে তা তদন্তসাপেক্ষে শাস্তির মুখে পড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ফেইসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে রাশেদ খানকে রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
এর জবাবে সোমবার সন্ধ্যায় রাশেদ খান নিজের ফেইসবুক পেজে ‘সারজিস আলমের পোস্টের জবাব’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, কিছুদিন আগে সারজিস তাঁকে ফোন করে ভুল ধারণা ভাঙাতে এবং একটি ইতিবাচক পোস্ট দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তবে নিজ বক্তব্যের পক্ষে পর্যাপ্ত আলামত ও তথ্য থাকার দাবি করে তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি।
রাশেদ খান তাঁর পোস্টে অভিযোগ করেন, এনসিপি নেতা সারজিস আলম নিজেই গাজী সালাউদ্দিন তানভীর ও হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর ভাষায়, এই দুই নেতার সুপারিশেই তানভীর ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে জড়িয়ে পড়েন এবং এনসিটিবিতে কাজ করার সুযোগ পান।
তানভীরকে কেন্দ্র করে যেসব অনিয়ম ও প্রভাব বিস্তার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তার পূর্ণ তদন্ত দাবি করে রাশেদ লেখেন, “তদন্ত হলে বোঝা যাবে সারজিস দোষী না নির্দোষ।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেন তদন্ত কমিটি গঠন করছে না?”
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ডিসি নিয়োগে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’ ও এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপায় ‘কমিশন বাণিজ্যের’ অভিযোগ ওঠার পর এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য এবং পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিয়ে আসছেন রাজনৈতিক এই দুই নেতা।