নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের মাসুদ নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদসম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, "সবার আগে পরিবার ও নিরাপত্তা। আমার পরিবার আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। বিগত কিছুদিনের ঘটনায় পরিবারের সদস্যা ব্যথিত। এছাড়া কিছু নিরাপত্তাজনিত ইস্যু আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, দলীয় সিদ্ধান্ত না।"
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, আমি নির্বাচন করবো না। আমি মনোনয়ন কিনবো না। এ জন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দল যাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেবে আমি তার পক্ষ হয়ে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, গত ৫-৬ মাসে আমি অনেক স্থানে গিয়েছি ও নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছি। সেখানে সবার সাড়া পেয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ ও কিছু পারিপার্শ্বিক কারণে আমাকে এ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে আমার পরিবার চাচ্ছে না আমি নির্বাচন করি। আমি আপনাদের সবার কাছে ক্ষমা চাই।
তিনি বলেন, “ প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব।”
শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই শঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই মাসুদুজ্জামান মাসুদের হঠাৎ প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও। তার একাধিক কর্মী সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।”
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, “কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক আরিফ আলম দিপুসহ মাসুদুজ্জামানের বিপুল সংখ্যক কর্মী।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সারা দেশে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে নারায়ণগঞ্জর ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
চারটি আসনে ঘোষণা করা প্রার্থীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: বাজারে গিগাবাইটের নতুন মাদারবোর্ড এক্স৮৭০ইঅ্যারো এক্স থ্রিডি উড
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ভিভো এক্স৩০০ প্রো’তে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি
আন্তর্জাতিক: গাজায় শুধু এক ভবনের ধ্বংসস্তূপে মিলল ৪৫ মরদেহ
অর্থ-বাণিজ্য: অর্ধেকের বেশি খেলাপি ঋণ ১৭ ব্যাংকে