image

সরকার ভয় পায় বলেই, খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না: মির্জা ফখরুল

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সরকার ভয় পায় বলেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) রবিবার বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা সবাই জানেন, উনি তো অসুস্থ ছিলেন। তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন যেটা সরকার দেয়নি।

“আমরা খুব আর্শ্চয হয়নি যে, এখনও সরকার এই কয় মাসের মধ্যে বিদেশ যেতে পারবেন না-এই একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছে।“

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, “মূল বিষয়টা হচ্ছে যে, তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এত বেশি ভয় পান যে, তাকে কোনো মতেই তারা দেশের বাইরে যাওয়া বা মুক্ত করার বিষয়টা তারা ভাবতেই পারে না।

“এজন্য তার এত অসুস্থতার পরও চিকিতসার জন্য যখন তার ডাক্তাররা বলছেন, হাসপাতাল বলছে, এডভান্স টিট্রমেন্টের জন্য তাকে এডভান্স সেন্টারে নিয়ে যাওয়া দরকার। তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার যেটাতে একমত হচ্ছে এবং মতামত দিচ্ছে না, তাকে আটকিয়ে রাখছে।”

ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা ও বিদেশে যেতে পারবেন না- আগের শর্ত বহাল রেখেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ-ের কার্যকারিতা সরকার আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার পরিবার মানে তার ছোট ভাই শর্ত সাপেক্ষে ৃ সময়টা বর্ধিত করার একটি আবেদন করেছিলেন। আমরা সেই আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দিয়েছি।

“তিনি (খালেদা জিয়া) নিজের বাসায় থেকে যেভাবে চিকিৎসা নিতে চান, সেভাবে চিকিৎসা নেবেন। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। আগে যেসব শর্ত ছিল, সেসব শর্ত বহাল থাকবে।”

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা দুটি মামলায় দ-িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

তখন দ-ের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর সাজার স্থগিতের মেয়াদ গত বছরের সেপ্টেম্বরে এবং এই বছরের মার্চে আরও দুই দফায় ছয় মাস করে বাড়ানো হয় । এ নিয়ে মোট তিন দফায় ১৮ মাস সেই মেয়াদ বাড়ানো হল।

৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছে।

গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং পরে পোস্ট কোভিড জটিলতায় বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫৪ দিন।

‘রাজনীতি’ : আরও খবর

» ঢাকা-বগুড়ায় খালেদা ও তারেকের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিলো বিএনপি

» নির্বাচনে অংশ নেবে না জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি

সম্প্রতি