alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মজুদ আইন সংস্কার করা জরুরি

: বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

বড় অটো রাইস মিলগুলোতে ধান-চাল মজুদের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও এসব অটো রাইস মিলগুলোকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশের মজুদ আইন অনুযায়ী তারা কোন আইন ভঙ্গের অপরাধের মধ্যে পড়ে না। আইন অনুযায়ী একেকটি মিলে যে পরিমাণ ধান-চাল মজুদ করার কথা বলা হয়েছে, সেই পরিমাণ মজুদ করলেও তাদের কাছে অনেক ধান-চাল মজুদ থাকবে। গত রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মজুদদার ও মিল মালিকদের মজুতের যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করা কঠিন। মজুদ আইন অনুযায়ী, একটি রাইস মিল ১৫ দিনে যে পরিমাণ ধান থেকে চাল প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম, তার পাঁচগুণ ধান এবং দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত মজুদ করতে হবে। কিছু কিছু অটো-রাইস মিল বিশালাকার হওয়ার কারণে আইন মেনেই ব্যাপক পরিমাণ ধান ও চাল উদ্ধৃত রাখতে সক্ষম। সেখানে তাদের দোষারোপের জায়গা নেই।

এক্ষেত্রে সরকারকে মজুদ আইন সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি অটো রাইস মিলের আকার কত বড় হবে, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। রাইস মিলের আকার নির্ধারণ করে দিলে মিলাররা অতিরিক্ত মজুদ করতে পারবেন না।

সরকারের ধান-চাল মজুত করার সক্ষমতা কম হওয়ার কারণে বেশিরভাগ সময়ই সরকারের পক্ষে বাজার প্রভাবিত করার সুযোগ থাকে না। এই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি গুদামে কৃষকদের ফসল সংরক্ষণ করার সুযোগ করে দিতে হবে, যেন ফসল উঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষককে অল্প দামে ফসল বিক্রি না করতে হয়।

ধান চালের ন্যায্য মূল্য যেন উৎপাদকের কাছে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, চালের দাম যেন নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি না করে তা খেয়াল রাখতে হবে।

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মজুদ আইন সংস্কার করা জরুরি

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

বড় অটো রাইস মিলগুলোতে ধান-চাল মজুদের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও এসব অটো রাইস মিলগুলোকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশের মজুদ আইন অনুযায়ী তারা কোন আইন ভঙ্গের অপরাধের মধ্যে পড়ে না। আইন অনুযায়ী একেকটি মিলে যে পরিমাণ ধান-চাল মজুদ করার কথা বলা হয়েছে, সেই পরিমাণ মজুদ করলেও তাদের কাছে অনেক ধান-চাল মজুদ থাকবে। গত রোববার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মজুদদার ও মিল মালিকদের মজুতের যে অভিযোগ রয়েছে তা প্রমাণ করা কঠিন। মজুদ আইন অনুযায়ী, একটি রাইস মিল ১৫ দিনে যে পরিমাণ ধান থেকে চাল প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম, তার পাঁচগুণ ধান এবং দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত মজুদ করতে হবে। কিছু কিছু অটো-রাইস মিল বিশালাকার হওয়ার কারণে আইন মেনেই ব্যাপক পরিমাণ ধান ও চাল উদ্ধৃত রাখতে সক্ষম। সেখানে তাদের দোষারোপের জায়গা নেই।

এক্ষেত্রে সরকারকে মজুদ আইন সংস্কার করতে হবে। পাশাপাশি অটো রাইস মিলের আকার কত বড় হবে, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। রাইস মিলের আকার নির্ধারণ করে দিলে মিলাররা অতিরিক্ত মজুদ করতে পারবেন না।

সরকারের ধান-চাল মজুত করার সক্ষমতা কম হওয়ার কারণে বেশিরভাগ সময়ই সরকারের পক্ষে বাজার প্রভাবিত করার সুযোগ থাকে না। এই সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারি গুদামে কৃষকদের ফসল সংরক্ষণ করার সুযোগ করে দিতে হবে, যেন ফসল উঠার সঙ্গে সঙ্গে কৃষককে অল্প দামে ফসল বিক্রি না করতে হয়।

ধান চালের ন্যায্য মূল্য যেন উৎপাদকের কাছে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, চালের দাম যেন নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি না করে তা খেয়াল রাখতে হবে।

back to top