alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সাধারণ মানুষের জীবিকার কথাও ভাবতে হবে

: সোমবার, ০৫ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সোমবার থেকে সাত দিনব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জীবিকার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করে। আজও তারা বিক্ষোভ করেছে। তারা বলছেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক। লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গণপরিবহন না পেয়ে বিক্ষোভ করেছে কারখানা শ্রমিকেরা। তাদের কর্মস্থল খোলা কিন্তু কর্মস্থলে যাওয়ার কোন উপায় নেই। তারা বলছে, পণ্যবাহী গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি, বিভিন্ন অফিসের গাড়ি চলতে পারলে গণপরিবহন কেন চলবে না।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতো এবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণের চেয়ে জীবিকা নিয়ে উদ্বেগ বেশি। দেশ উন্নয়নশীলের কাতারে পৌঁছলেও এখনো অনেক মানুষ দিন এনে দিন খায়। একবেলা বা একদিন কাজ করতে না পারলে তাদের অন্ন জোগাড় করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গতবার অচেনা করোনার ভয়ে অনেকেই সাধারণ ছুটি মেনে চললেও এবার তারা চিরচেনা ক্ষুধার তাড়নায় লকডাউন আর মানতে চাইছে না। জীবিকার দুশ্চিন্তায় তারা বলতে বাধ্য হচ্ছে- ‘লকডাউন মানি না’। দোকান খোলা রাখা বা গণপরিবহন চালু রাখার দাবিতে অনেক স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মানুষের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

করোনার প্রভাবে গত বছর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেটাই তারা এখনও পুষিয়ে নিতে পারেনি। অনেক চাকরিজীবী কাজ হারিয়েছে, পুঁজি হারিয়েছে অনেক ব্যবসায়ী। ধার-কর্জ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। এবারের লকডাউনে ব্যবসা-বণিজ্য বন্ধ থাকলে অনেকেরই অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে না।

গতবার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হলেও এবার কি কর্মসূচি নেওয়া হবে সেটা অনিশ্চিত। ত্রাণ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ নেই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। কাজ ছাড়া বা সরকারের সাহায্য ছাড়া সাধারণ মানুষ এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ত্রাণ ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম দুর্নীতি আরেকটি বড় সমস্যা। এ অবস্থায় অনেকে স্মার্ট লকডাউনের কথা বলছেন। তারা বলছেন, অফিস বা ব্যবসা বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যেতে পারে। সেখানে জনসমাগম কঠোরভাবে সীমিত রাখতে হবে। মহামারি থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করা যেমন জরুরি, তাদের জীবিকার সংস্থান করাও জরুরি। দুটোকে একসঙ্গে কীভাবে সামাল দেয়া যায় সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকারকে দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে; নইলে জীবিকার সংকটে থাকা মানুষের ক্ষোভ আরো বাড়বে।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সাধারণ মানুষের জীবিকার কথাও ভাবতে হবে

সোমবার, ০৫ এপ্রিল ২০২১

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সোমবার থেকে সাত দিনব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জীবিকার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করে। আজও তারা বিক্ষোভ করেছে। তারা বলছেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক। লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গণপরিবহন না পেয়ে বিক্ষোভ করেছে কারখানা শ্রমিকেরা। তাদের কর্মস্থল খোলা কিন্তু কর্মস্থলে যাওয়ার কোন উপায় নেই। তারা বলছে, পণ্যবাহী গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি, বিভিন্ন অফিসের গাড়ি চলতে পারলে গণপরিবহন কেন চলবে না।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতো এবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণের চেয়ে জীবিকা নিয়ে উদ্বেগ বেশি। দেশ উন্নয়নশীলের কাতারে পৌঁছলেও এখনো অনেক মানুষ দিন এনে দিন খায়। একবেলা বা একদিন কাজ করতে না পারলে তাদের অন্ন জোগাড় করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গতবার অচেনা করোনার ভয়ে অনেকেই সাধারণ ছুটি মেনে চললেও এবার তারা চিরচেনা ক্ষুধার তাড়নায় লকডাউন আর মানতে চাইছে না। জীবিকার দুশ্চিন্তায় তারা বলতে বাধ্য হচ্ছে- ‘লকডাউন মানি না’। দোকান খোলা রাখা বা গণপরিবহন চালু রাখার দাবিতে অনেক স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মানুষের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

করোনার প্রভাবে গত বছর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেটাই তারা এখনও পুষিয়ে নিতে পারেনি। অনেক চাকরিজীবী কাজ হারিয়েছে, পুঁজি হারিয়েছে অনেক ব্যবসায়ী। ধার-কর্জ করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। এবারের লকডাউনে ব্যবসা-বণিজ্য বন্ধ থাকলে অনেকেরই অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে না।

গতবার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হলেও এবার কি কর্মসূচি নেওয়া হবে সেটা অনিশ্চিত। ত্রাণ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ নেই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। কাজ ছাড়া বা সরকারের সাহায্য ছাড়া সাধারণ মানুষ এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ত্রাণ ও আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম দুর্নীতি আরেকটি বড় সমস্যা। এ অবস্থায় অনেকে স্মার্ট লকডাউনের কথা বলছেন। তারা বলছেন, অফিস বা ব্যবসা বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যেতে পারে। সেখানে জনসমাগম কঠোরভাবে সীমিত রাখতে হবে। মহামারি থেকে মানুষের জীবন রক্ষা করা যেমন জরুরি, তাদের জীবিকার সংস্থান করাও জরুরি। দুটোকে একসঙ্গে কীভাবে সামাল দেয়া যায় সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকারকে দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে; নইলে জীবিকার সংকটে থাকা মানুষের ক্ষোভ আরো বাড়বে।

back to top