alt

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য ও জীবিকা দুটোই রক্ষা করার পথ খুঁজতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১

দেশে মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ঘোষিত বিধিনিষেধ মানায় জনসাধারণের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিধিনিষেধ বা স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রশাসনের মধ্যেও রয়েছে গা-ছাড়া ভাব। বোধগম্য কারণেই মানুষ এবার ‘লকডাউন’ মানতে চাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুতে অজানা ভয়ে ঘরবন্দী থাকলেও এবার তারা ঘরে থাকতে নারাজ। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে কোথা থেকে- এ চিন্তায় তারা অস্থির।

কাজ না করলে খেটে খাওয়া মানুষের পেটে ভাত জুটবে না। জীবিকার প্রয়োজনে অনেকেই পথে নেমেছেন। অফিস-আদালত, ব্যাংক, কল-কারখানা খোলা। কর্মস্থলে হাজির না হতে পারলে থাকবে না চাকরি। যে কোন উপায়েই হোক সাধারণ চাকরিজীবীরা ছুটছেন কর্মস্থলে। কর্মস্থলে যেতে হবে অথচ সেখানে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবহন নেই, গণপরিবহন বন্ধ। যানবাহনের জন্য তারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা তৈরি করছেন। রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, ভ্যান প্রভৃতিতে ভাগাভাগি করে গাদাগাদি করে তারা কাজে যাচ্ছেন বাড়তি ভাড়া গুণে। এতে যেমন স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা হচ্ছে না, তেমনি মানুষের ভোগান্তি ও খরচ দুইই বেড়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে তাদের ক্ষোভ। তাদের প্রশ্ন- এ কেমন ‘লকডাউন’।

বিধিনিষেধের মূল একটি লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা। মাস্ক পরার হার বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা পথে নেমে দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভও করছেন। এতে সামাজিক দূরত্ব আর বজায় থাকছে না। ব্যাংকিং কার্যকক্রমের সময়সীমা কমানো হয়েছে। ব্যাংক খোলা না রাখলেই নয়। আবার সময় কমিয়ে দেয়ায় সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, সময় না কমিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সহজ হতো।

জীবিকার পথ রুদ্ধ হওয়ার কারণে সংকটে পড়া সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না। লকডাউনে জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হলো আবার স্বাস্থ্যবিধিরও বালাই রইল না- এমন হলে না অর্থনীতি রক্ষা পাবে, না রক্ষা পাবে জীবন বা স্বাস্থ্য। অথচ সরকারকে এমন এক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে স্বাস্থ্য রক্ষা পায় আবার অর্থনীতিও রক্ষা পায়। অন্ততপক্ষে এ দুটো যেন কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে মানুষ পেটের ক্ষুধা মেটানোর জন্য কাজ করে যেতে পারেন সেই উপায় খুঁজতে হবে। কর্মস্থল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে বা অফিস-আদালত আংশিক খোলা রেখে জায়গায় জায়গায় মানুষের ভিড় বা জটলা তৈরি করা কোন সমাধান হতে পারে না। এর চেয়ে বরং মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অফিস-আদালত, কর্মস্থল, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখা শ্রেয় হতে পারে।

অবস্থা যাই হোক সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। শুধু কাগজে কঠোর কিছু নির্দেশনা লিপিবদ্ধ করাই যথেষ্ট নয়। গত বছর করোনার সংক্রমণের শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। এবারও তাদের মাঠে নামানো যেতে পারে।

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য ও জীবিকা দুটোই রক্ষা করার পথ খুঁজতে হবে

মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১

দেশে মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ঘোষিত বিধিনিষেধ মানায় জনসাধারণের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিধিনিষেধ বা স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রশাসনের মধ্যেও রয়েছে গা-ছাড়া ভাব। বোধগম্য কারণেই মানুষ এবার ‘লকডাউন’ মানতে চাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুতে অজানা ভয়ে ঘরবন্দী থাকলেও এবার তারা ঘরে থাকতে নারাজ। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে কোথা থেকে- এ চিন্তায় তারা অস্থির।

কাজ না করলে খেটে খাওয়া মানুষের পেটে ভাত জুটবে না। জীবিকার প্রয়োজনে অনেকেই পথে নেমেছেন। অফিস-আদালত, ব্যাংক, কল-কারখানা খোলা। কর্মস্থলে হাজির না হতে পারলে থাকবে না চাকরি। যে কোন উপায়েই হোক সাধারণ চাকরিজীবীরা ছুটছেন কর্মস্থলে। কর্মস্থলে যেতে হবে অথচ সেখানে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবহন নেই, গণপরিবহন বন্ধ। যানবাহনের জন্য তারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা তৈরি করছেন। রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, ভ্যান প্রভৃতিতে ভাগাভাগি করে গাদাগাদি করে তারা কাজে যাচ্ছেন বাড়তি ভাড়া গুণে। এতে যেমন স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা হচ্ছে না, তেমনি মানুষের ভোগান্তি ও খরচ দুইই বেড়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে তাদের ক্ষোভ। তাদের প্রশ্ন- এ কেমন ‘লকডাউন’।

বিধিনিষেধের মূল একটি লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা। মাস্ক পরার হার বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা পথে নেমে দোকান খোলার দাবিতে বিক্ষোভও করছেন। এতে সামাজিক দূরত্ব আর বজায় থাকছে না। ব্যাংকিং কার্যকক্রমের সময়সীমা কমানো হয়েছে। ব্যাংক খোলা না রাখলেই নয়। আবার সময় কমিয়ে দেয়ায় সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, সময় না কমিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সহজ হতো।

জীবিকার পথ রুদ্ধ হওয়ার কারণে সংকটে পড়া সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না। লকডাউনে জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হলো আবার স্বাস্থ্যবিধিরও বালাই রইল না- এমন হলে না অর্থনীতি রক্ষা পাবে, না রক্ষা পাবে জীবন বা স্বাস্থ্য। অথচ সরকারকে এমন এক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে স্বাস্থ্য রক্ষা পায় আবার অর্থনীতিও রক্ষা পায়। অন্ততপক্ষে এ দুটো যেন কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে মানুষ পেটের ক্ষুধা মেটানোর জন্য কাজ করে যেতে পারেন সেই উপায় খুঁজতে হবে। কর্মস্থল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে বা অফিস-আদালত আংশিক খোলা রেখে জায়গায় জায়গায় মানুষের ভিড় বা জটলা তৈরি করা কোন সমাধান হতে পারে না। এর চেয়ে বরং মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অফিস-আদালত, কর্মস্থল, ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখা শ্রেয় হতে পারে।

অবস্থা যাই হোক সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। শুধু কাগজে কঠোর কিছু নির্দেশনা লিপিবদ্ধ করাই যথেষ্ট নয়। গত বছর করোনার সংক্রমণের শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। এবারও তাদের মাঠে নামানো যেতে পারে।

back to top