alt

মতামত » সম্পাদকীয়

লঞ্চডুবির কারণ অনুসন্ধান করুন

দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন

: মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১

নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জন হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল সাবিত আল হাসান’ কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। লঞ্চের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন বেশিরভাগ যাত্রী। পরে উদ্ধার হওয়া লঞ্চের ভেতরই বেশিরভাগ লাশ পাওয়া গেছে।

লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। লঞ্চডুবির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক সেটা আমরা চাই।

নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা এবং সরকারের দায়িত্ব দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। তবে অতীতে অনেক দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কী অনুসন্ধান করেছে, কী সুপারিশ করেছে, তা রহস্যজনক কারণে অজানা থেকে গেছে। নৌপথে নৌযানের সংঘর্ষ এটিই একমাত্র উদাহরণ নয়। গত বছরের ২৯ জুন সদরঘাটের কাছাকাছি এমনই একটি দুর্ঘটনায় একটি ছোট লঞ্চ ডুবে যায়। এবং সেখান থেকেও ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রভাবশালী লঞ্চ মালিকরা যেমন তদন্তকাজে, তেমনি কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নেও বাধা দিয়ে আসছেন। কোন উদ্যোগেই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা যায়নি। লঞ্চ চালকদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক লঞ্চেই মাস্টার নেই। অধিকাংশ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়। যাত্রীরা প্রায়ই মাস্টার-চালকের খামখেয়ালির করুণ শিকারে পরিণত হন।

রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের খপ্পর থেকে নৌ পরিবহন খাতকে রক্ষা করা দরকার। লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রতিটি মামলার বিচার হতে হবে। মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করলে চলবে না। নৌযানগুলোতে দক্ষ চালক নিয়োগ দিতে হবে। লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদি আছে কি না তা নিশ্চিত করা দরকার। সেই সঙ্গে কর্মরত মাস্টার, ড্রাইভার, সুকানি ও আনসারদের জন্য নিয়মিতভাবে নৌ নিরাপত্তা কর্মশালার আয়োজন করা আবশ্যক।

আমরা আশা করব, লঞ্চডুবির এবারের তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা না গেলে কিংবা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে নৌপথে শৃঙ্খলা আনা যাবে না।

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

লঞ্চডুবির কারণ অনুসন্ধান করুন

দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন

মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১

নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জন হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল সাবিত আল হাসান’ কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। লঞ্চের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন বেশিরভাগ যাত্রী। পরে উদ্ধার হওয়া লঞ্চের ভেতরই বেশিরভাগ লাশ পাওয়া গেছে।

লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। লঞ্চডুবির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক সেটা আমরা চাই।

নারায়ণগঞ্জের দুর্ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা এবং সরকারের দায়িত্ব দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। তবে অতীতে অনেক দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কী অনুসন্ধান করেছে, কী সুপারিশ করেছে, তা রহস্যজনক কারণে অজানা থেকে গেছে। নৌপথে নৌযানের সংঘর্ষ এটিই একমাত্র উদাহরণ নয়। গত বছরের ২৯ জুন সদরঘাটের কাছাকাছি এমনই একটি দুর্ঘটনায় একটি ছোট লঞ্চ ডুবে যায়। এবং সেখান থেকেও ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রভাবশালী লঞ্চ মালিকরা যেমন তদন্তকাজে, তেমনি কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নেও বাধা দিয়ে আসছেন। কোন উদ্যোগেই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা যায়নি। লঞ্চ চালকদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক লঞ্চেই মাস্টার নেই। অধিকাংশ লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়। যাত্রীরা প্রায়ই মাস্টার-চালকের খামখেয়ালির করুণ শিকারে পরিণত হন।

রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের খপ্পর থেকে নৌ পরিবহন খাতকে রক্ষা করা দরকার। লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রতিটি মামলার বিচার হতে হবে। মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করলে চলবে না। নৌযানগুলোতে দক্ষ চালক নিয়োগ দিতে হবে। লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদি আছে কি না তা নিশ্চিত করা দরকার। সেই সঙ্গে কর্মরত মাস্টার, ড্রাইভার, সুকানি ও আনসারদের জন্য নিয়মিতভাবে নৌ নিরাপত্তা কর্মশালার আয়োজন করা আবশ্যক।

আমরা আশা করব, লঞ্চডুবির এবারের তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখবে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা না গেলে কিংবা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে নৌপথে শৃঙ্খলা আনা যাবে না।

back to top