alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নদ-নদীর পানিতে বাড়ছে লবণাক্ততা

: বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

মানব সভ্যতার আদিলগ্ন থেকে কৃষিকাজ, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন থেকে শুরু করে অনেক কাজেই মানুষ নদ-নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। নদ-নদী শুধু মানুষ নয়, জীববৈচিত্র্যের অপরিহার্য অংশ। নদ-নদীর এই পানি লবণাক্ত হয়ে পড়লে সমূহ বিপদ ঘটে। লবণাক্ততার প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, কৃষি ও মৎস্যসম্পদ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের চাষযোগ্য জমির ৪০ ভাগই রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে। লবণাক্ততার প্রভাবে এই এলাকায় কমছে চাষযোগ্য জমি।

দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার সমস্যা নতুন নয়। যত দিন যাচ্ছে সমস্যাটি তত প্রকট হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের মধ্যভাগের নদ-নদীর পানির লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বরিশালের কির্তনখোলা নদীতে লবণাক্ততার মাত্রা ছিল প্রায় ৯শ’ পিপিএম, যা ২০০৬ সালে ছিল ৬১০-৬৩০ পার্সেন্ট পার মিলিয়ন-পিপিএম। উজান থেকে পানি আসছে প্রয়োজনের তুলনায় কম। নদ-নদীর নাব্য কমেছে। বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এই অবস্থায় সাগরের পানি ঢুকে নদ-নদীর লবণাক্ততা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের সময় বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত পানি সাগর মোহনা থেকে ১০০ কিলোমিটার উজানে চাঁদপুরের মেঘনা পর্যন্ত প্রবেশ করে।

ভাটির দেশ হিসেবে নদ-নদীতে পানির পানির প্রবাহের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় উজানের দেশগুলোর ওপর। ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেলে দেশের নদ-নদীর এমন দূরবস্থা হতো না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। উজানে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই বলে তারা মত দিয়েছেন। তিস্তার মতো আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকার আশা করছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে লবণাক্ততার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব হবে। নদ-নদীর নাব্য বাড়ানোর জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পরিকল্পিত বনায়ন করা সম্ভব হলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। কাজগুলো করা না গেলে লবণাক্ততা বাড়তেই থাকবে।

পাশাপাশি লবণ সহিষ্ণু ফসল আবাদ করায় জোর দিতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বৃষ্টির পানির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নদ-নদীর পানিতে বাড়ছে লবণাক্ততা

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

মানব সভ্যতার আদিলগ্ন থেকে কৃষিকাজ, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন থেকে শুরু করে অনেক কাজেই মানুষ নদ-নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। নদ-নদী শুধু মানুষ নয়, জীববৈচিত্র্যের অপরিহার্য অংশ। নদ-নদীর এই পানি লবণাক্ত হয়ে পড়লে সমূহ বিপদ ঘটে। লবণাক্ততার প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, কৃষি ও মৎস্যসম্পদ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের চাষযোগ্য জমির ৪০ ভাগই রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে। লবণাক্ততার প্রভাবে এই এলাকায় কমছে চাষযোগ্য জমি।

দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার সমস্যা নতুন নয়। যত দিন যাচ্ছে সমস্যাটি তত প্রকট হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের মধ্যভাগের নদ-নদীর পানির লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বরিশালের কির্তনখোলা নদীতে লবণাক্ততার মাত্রা ছিল প্রায় ৯শ’ পিপিএম, যা ২০০৬ সালে ছিল ৬১০-৬৩০ পার্সেন্ট পার মিলিয়ন-পিপিএম। উজান থেকে পানি আসছে প্রয়োজনের তুলনায় কম। নদ-নদীর নাব্য কমেছে। বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এই অবস্থায় সাগরের পানি ঢুকে নদ-নদীর লবণাক্ততা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত পূর্ণিমার ভরা জোয়ারের সময় বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত পানি সাগর মোহনা থেকে ১০০ কিলোমিটার উজানে চাঁদপুরের মেঘনা পর্যন্ত প্রবেশ করে।

ভাটির দেশ হিসেবে নদ-নদীতে পানির পানির প্রবাহের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় উজানের দেশগুলোর ওপর। ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেলে দেশের নদ-নদীর এমন দূরবস্থা হতো না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। উজানে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই বলে তারা মত দিয়েছেন। তিস্তার মতো আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

সরকার আশা করছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে লবণাক্ততার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব হবে। নদ-নদীর নাব্য বাড়ানোর জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পরিকল্পিত বনায়ন করা সম্ভব হলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। কাজগুলো করা না গেলে লবণাক্ততা বাড়তেই থাকবে।

পাশাপাশি লবণ সহিষ্ণু ফসল আবাদ করায় জোর দিতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বৃষ্টির পানির সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।

back to top