alt

মতামত » সম্পাদকীয়

করোনা মোকাবিলায় নাগরিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে

: শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। টেস্ট কমলেও আক্রান্তের হার বেড়েছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ মানছে না সাধারণ মানুষ। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের ছোট সড়ক, গলি ও বাজারগুলোয় মানুষ চলাচল করছে অবাধে।

মসজিদে জুমা এবং তারাবিতে সর্বোচ্চ ২০ জন করে মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়ানোর ঘোষণা মানা হচ্ছে না। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অফিস-আদালত, গণপরিবহন প্রভৃতি বন্ধ রেখে বা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম সীমিত রেখে বিধিনিষেধ আরোপ করার অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার কারণেই কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে ভবিষ্যতে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তারা সতর্ক করছেন।

কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুখে মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিজেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যায় তেমন অন্যদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। মানুষকে নিজের স্বার্থেই সতর্ক হতে হবে।

সরকারের একার পক্ষে কোভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা আশা করব, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নাগরিকরা ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তাহলে হয়তো একটা সময় মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

করোনা মোকাবিলায় নাগরিকদের দায়িত্বশীল হতে হবে

শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। টেস্ট কমলেও আক্রান্তের হার বেড়েছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ মানছে না সাধারণ মানুষ। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের ছোট সড়ক, গলি ও বাজারগুলোয় মানুষ চলাচল করছে অবাধে।

মসজিদে জুমা এবং তারাবিতে সর্বোচ্চ ২০ জন করে মুসল্লি নিয়ে নামাজ পড়ানোর ঘোষণা মানা হচ্ছে না। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকলেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অফিস-আদালত, গণপরিবহন প্রভৃতি বন্ধ রেখে বা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম সীমিত রেখে বিধিনিষেধ আরোপ করার অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। বাস্তবে সেটা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করার কারণেই কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে ভবিষ্যতে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে তারা সতর্ক করছেন।

কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগ। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুখে মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে নিজেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যায় তেমন অন্যদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। মানুষকে নিজের স্বার্থেই সতর্ক হতে হবে।

সরকারের একার পক্ষে কোভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা আশা করব, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নাগরিকরা ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তাহলে হয়তো একটা সময় মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

back to top