alt

মতামত » সম্পাদকীয়

করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে উদ্যোগ নিন

: সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে কিন্তু কমছে নমুনা পরীক্ষা। গত ১৮ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০৪টি আর ১২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৪৫ শতাংশ।

কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা ও কোয়ারেন্টিনে রাখা এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। টেস্টের পরিমাণ কমলে কাজগুলো নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

দেশে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার যে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে সেটা অনেক বেশি সংক্রামক, এর তীব্রতাও ভয়াবহ। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনায় সংক্রমিত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ৩৮ ভাগই মারা গেছেন উপসর্গ প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে। এ কারণে ঠিক সময়ে নমুনা পরীক্ষা করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। অথচ দেশে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ দিন দিন কমছে।

মানুষ যেন অবাধে টেস্ট করতে পারে তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত কাজ করতে হবে

করোনার নমুনা পরীক্ষা কমছে কেন সেটি একটা প্রশ্ন। কিটের সংকট নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মানুষ চাইলেই নমুনা পরীক্ষা করাতে পারে। কিন্তু চলমান সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অনেক মানুষ পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারছে না। গত বছর এক পর্যায়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, এর ফলে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করানোর প্রবণতা কমবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত অনেক মানুষের কোন উপসর্গ থাকে না। এটা অন্যদের জন্য বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। কাজেই করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ অবারিত করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

করোনার টেস্ট করানো টিকা নেয়া বা মাস্ক পরার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ আরও বিস্তৃত করতে হবে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। গ্রাম বা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে টেস্ট করার সুযোগ তৈরি করা জরুরি ছিল। গত এক বছরেরও বেশি সময়ে কাজটি কেন করা যায়নি সেটি একটা প্রশ্ন। মানুষ যেন অবাধে টেস্ট করতে পারে তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত কাজ করতে হবে।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে উদ্যোগ নিন

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে কিন্তু কমছে নমুনা পরীক্ষা। গত ১৮ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০৪টি আর ১২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৪৫ শতাংশ।

কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সংক্রমিত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা ও কোয়ারেন্টিনে রাখা এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। টেস্টের পরিমাণ কমলে কাজগুলো নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

দেশে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার যে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে সেটা অনেক বেশি সংক্রামক, এর তীব্রতাও ভয়াবহ। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনায় সংক্রমিত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ৩৮ ভাগই মারা গেছেন উপসর্গ প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে। এ কারণে ঠিক সময়ে নমুনা পরীক্ষা করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। অথচ দেশে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ দিন দিন কমছে।

মানুষ যেন অবাধে টেস্ট করতে পারে তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত কাজ করতে হবে

করোনার নমুনা পরীক্ষা কমছে কেন সেটি একটা প্রশ্ন। কিটের সংকট নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, মানুষ চাইলেই নমুনা পরীক্ষা করাতে পারে। কিন্তু চলমান সরকারি বিধিনিষেধের কারণে অনেক মানুষ পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারছে না। গত বছর এক পর্যায়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, এর ফলে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করানোর প্রবণতা কমবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত অনেক মানুষের কোন উপসর্গ থাকে না। এটা অন্যদের জন্য বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। কাজেই করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ অবারিত করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

করোনার টেস্ট করানো টিকা নেয়া বা মাস্ক পরার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। করোনার নমুনা পরীক্ষার সুযোগ আরও বিস্তৃত করতে হবে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। গ্রাম বা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে টেস্ট করার সুযোগ তৈরি করা জরুরি ছিল। গত এক বছরেরও বেশি সময়ে কাজটি কেন করা যায়নি সেটি একটা প্রশ্ন। মানুষ যেন অবাধে টেস্ট করতে পারে তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে দ্রুত কাজ করতে হবে।

back to top