পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের সংযোগস্থলে চাওয়াই নদীর উপর নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো ভেঙে গেছে। ফলে দুই ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। গ্রামবাসীকে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকে ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা এলাকার বংশীঘাটেও সাঁকো ভেঙেছে। সাঁকোটির ওপর নির্ভরশীল মানুষদের এখন শিল্প-কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যেসব স্থানে সেতু তৈরি করা জরুরি সেসব স্থানে সেটা তৈরি করা হয় না। দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যালয়গামী শিশু, হাসপাতালগামী অসুস্থ ব্যক্তি, পণ্য নিয়ে বাজারমুখী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা বা নড়বড়ে সাঁকো পার হয়। জরাজীর্ণ সেতুর কারণে কখনও কখনও দুর্ঘটনার কথাও জানা যায়।
অথচ অপ্রয়োজনে অনেক সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ফসলের মাঠে, সড়কবিহীন বিরাণভূমিতে, বনে-জঙ্গলে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাড়ির কাছে অপ্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ করা হয়। দুইপাশে সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতুও তৈরি করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু তৈরির প্রকল্প নেয়া হয় সমীক্ষা ছাড়াই।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে সেতু তৈরি করা জরুরি। পঞ্চগড় ও গাজীপুরের উল্লিখিত সাঁকো দ্রুত সংস্কার করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে হবে। দেশের সব পুরনো ও জরাজীর্ণ সেতু সংস্কার করতে হবে। যেগুলো সংস্কারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সেগুলো পুনঃনির্মাণ করতে হবে। সেতুগুলো মানুষ ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৯ জুলাই ২০২১
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের সংযোগস্থলে চাওয়াই নদীর উপর নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো ভেঙে গেছে। ফলে দুই ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন। গ্রামবাসীকে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেকে ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা এলাকার বংশীঘাটেও সাঁকো ভেঙেছে। সাঁকোটির ওপর নির্ভরশীল মানুষদের এখন শিল্প-কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যেসব স্থানে সেতু তৈরি করা জরুরি সেসব স্থানে সেটা তৈরি করা হয় না। দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যালয়গামী শিশু, হাসপাতালগামী অসুস্থ ব্যক্তি, পণ্য নিয়ে বাজারমুখী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা বা নড়বড়ে সাঁকো পার হয়। জরাজীর্ণ সেতুর কারণে কখনও কখনও দুর্ঘটনার কথাও জানা যায়।
অথচ অপ্রয়োজনে অনেক সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ফসলের মাঠে, সড়কবিহীন বিরাণভূমিতে, বনে-জঙ্গলে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাড়ির কাছে অপ্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ করা হয়। দুইপাশে সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতুও তৈরি করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু তৈরির প্রকল্প নেয়া হয় সমীক্ষা ছাড়াই।
স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে সেতু তৈরি করা জরুরি। পঞ্চগড় ও গাজীপুরের উল্লিখিত সাঁকো দ্রুত সংস্কার করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে হবে। দেশের সব পুরনো ও জরাজীর্ণ সেতু সংস্কার করতে হবে। যেগুলো সংস্কারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সেগুলো পুনঃনির্মাণ করতে হবে। সেতুগুলো মানুষ ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে।