alt

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

: সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

স্বাস্থ্য বিভাগ আশা করছে চলতি সপ্তাহে করানা সংক্রমণ কমবে। আশা করার কারণও আছে, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। যা আগামীকাল শেষ হবে। কঠোর বিধিনিষেধের প্রভাবে করোনা সংক্রমণের ‘চেইন’ ভেঙে যাবে।

আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি শঙ্কার কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কোন কারণে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত করুণ’ হবে। কারণ সংক্রমণ বাড়লে রোগী বাড়বে, হাসপাতালে কোন শয্যা আর খালি থাকবে না।

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গতকাল রোববার (শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৪ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশ।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সুফল দেখতে হলে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ অনেকেই উপেক্ষা করছেন। জীবিকার প্রয়োজনে পথে নেমেছে বহুমানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে উদাসীনতা।

দেশের বিভিন্ন স্থানে গরুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেচা-কেনা চলছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই খবর আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। কারণ এখনও কোরবানির হাট বসা শুরু হয়নি। শ্রমজীবী মানুষসহ জীবিকার দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, গণপরিবহনসহ সবকিছু চালু করার অনুমোদন দেয়া হবে। আর কোরবানির হাট তো চলবেই। এসব হাটে জনসমাগম বাড়বে। সেখানেও যদি স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা থাকে তাহলে সংক্রমণ কমার যে আশা করা হয়েছে তার গুড়েবালি পড়বে।

যে কোন উপায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই।

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

স্বাস্থ্য বিভাগ আশা করছে চলতি সপ্তাহে করানা সংক্রমণ কমবে। আশা করার কারণও আছে, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। যা আগামীকাল শেষ হবে। কঠোর বিধিনিষেধের প্রভাবে করোনা সংক্রমণের ‘চেইন’ ভেঙে যাবে।

আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি শঙ্কার কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কোন কারণে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত করুণ’ হবে। কারণ সংক্রমণ বাড়লে রোগী বাড়বে, হাসপাতালে কোন শয্যা আর খালি থাকবে না।

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গতকাল রোববার (শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৪ জন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশ।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সুফল দেখতে হলে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ অনেকেই উপেক্ষা করছেন। জীবিকার প্রয়োজনে পথে নেমেছে বহুমানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে উদাসীনতা।

দেশের বিভিন্ন স্থানে গরুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেচা-কেনা চলছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই খবর আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। কারণ এখনও কোরবানির হাট বসা শুরু হয়নি। শ্রমজীবী মানুষসহ জীবিকার দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, গণপরিবহনসহ সবকিছু চালু করার অনুমোদন দেয়া হবে। আর কোরবানির হাট তো চলবেই। এসব হাটে জনসমাগম বাড়বে। সেখানেও যদি স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা থাকে তাহলে সংক্রমণ কমার যে আশা করা হয়েছে তার গুড়েবালি পড়বে।

যে কোন উপায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই।

back to top