alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পরিকল্পনাহীনতায় মানুষের ভোগান্তি

: শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও শুক্রবার ও তার পরও বহু মানুষ যেমন রাজধানীতে এসেছেন, তেমনি অনেকে রাজধানী ছেড়েছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অন্যবারের মতো এবারও ঢাকামুখী মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ক্ষণে রোদ ক্ষণে বৃষ্টি- এমন বৈরী আবহাওয়ায় বাক্স-পেটরা ও পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের যাত্রাপথে পদে পদে সইতে হয়েছে দুর্ভোগ। রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান প্রভৃতিতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। মানুষের পথে নামা বন্ধ করা যায়নি, স্বাস্থ্যবিধিও রক্ষা করা যায়নি।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার কথা বলেছে সরকার। তবে রাজধানীতে ফিরতে থাকা অনেক মানুষই বলছেন, ঈদের ছুটির পর থেকে তাদের কর্মস্থল খোলা। কর্মস্থলে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। চাকরি বাঁচাতে তারা ঢাকায় ফিরছেন। ‘কঠোর লকডাউনেও’ কোন কোন কর্মস্থল খোলা থাকতে পারে এমনটা জেনে কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসছেন অনেকে।

অতীতেও বিধিনিষেধ জারি করার পর মানুষের মধ্যে কর্মস্থল ছেড়ে বাসস্থানে আবার বাসস্থান ছেড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার পর মানুষ কিভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে সরকারের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এবার ১৪ দিনের বিধিনিষেধে সব কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরপরই লকডাউন দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সবাই যেন নিজ নিজ বাসস্থানে থাকে। তবে এ বিষয়ে মানুষকে সরকার স্পষ্ট কোন বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষদের সুস্পষ্টভাবে বলা দরকার ছিল যে, লকডাউন চলাকালে তারা যেন বাসস্থান ছেড়ে না যায়। অথবা লকডাউনের আগে যারা কর্মস্থলে ফিরতে চায় তাদের ফেরার জন্য সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা থাকা দরকার ছিল। বিচ্ছিন্নভাবে নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ লকডাউনে গ্রামে থাকার কথা বললেও সেটা মানুষকে হৃদয়ঙ্গম করানো বা মানানো যায়নি।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলা করার জন্য দফায় দফায় বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে, আবার শিথিল করা হচ্ছে। প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে। তবে কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর দু-একদিন পরেই তা অঘোষিতভাবে শিথিল হতে শুরু করে বা মানুষ তা অমান্য করে। গত ১ জুলাই থেকে দেয়া দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধেও এমনটা দেখা গেছে। ফলে বিধিনিষেধের কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। করোনার সংক্রমণের হার বেড়েই যাচ্ছে।

করোনা মোকাবিলায় কঠোর লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যান্ত প্রতিটি স্তরে কাজ করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। শুধু একটি সিদ্ধান্ত জারি করলেই চলে না। মানুষের বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে লকডাউন ঘোষণা করে সুফল মিলবে না।

করোনা মোকাবিলায় যে কোন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চত করতে হবে। মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। টিকাদানের গতি বাড়াতে হবে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পরিকল্পনাহীনতায় মানুষের ভোগান্তি

শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও শুক্রবার ও তার পরও বহু মানুষ যেমন রাজধানীতে এসেছেন, তেমনি অনেকে রাজধানী ছেড়েছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অন্যবারের মতো এবারও ঢাকামুখী মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ক্ষণে রোদ ক্ষণে বৃষ্টি- এমন বৈরী আবহাওয়ায় বাক্স-পেটরা ও পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের যাত্রাপথে পদে পদে সইতে হয়েছে দুর্ভোগ। রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান প্রভৃতিতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে। মানুষের পথে নামা বন্ধ করা যায়নি, স্বাস্থ্যবিধিও রক্ষা করা যায়নি।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার কথা বলেছে সরকার। তবে রাজধানীতে ফিরতে থাকা অনেক মানুষই বলছেন, ঈদের ছুটির পর থেকে তাদের কর্মস্থল খোলা। কর্মস্থলে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। চাকরি বাঁচাতে তারা ঢাকায় ফিরছেন। ‘কঠোর লকডাউনেও’ কোন কোন কর্মস্থল খোলা থাকতে পারে এমনটা জেনে কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসছেন অনেকে।

অতীতেও বিধিনিষেধ জারি করার পর মানুষের মধ্যে কর্মস্থল ছেড়ে বাসস্থানে আবার বাসস্থান ছেড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার পর মানুষ কিভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে সরকারের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এবার ১৪ দিনের বিধিনিষেধে সব কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পরপরই লকডাউন দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সবাই যেন নিজ নিজ বাসস্থানে থাকে। তবে এ বিষয়ে মানুষকে সরকার স্পষ্ট কোন বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষদের সুস্পষ্টভাবে বলা দরকার ছিল যে, লকডাউন চলাকালে তারা যেন বাসস্থান ছেড়ে না যায়। অথবা লকডাউনের আগে যারা কর্মস্থলে ফিরতে চায় তাদের ফেরার জন্য সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা থাকা দরকার ছিল। বিচ্ছিন্নভাবে নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ লকডাউনে গ্রামে থাকার কথা বললেও সেটা মানুষকে হৃদয়ঙ্গম করানো বা মানানো যায়নি।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলা করার জন্য দফায় দফায় বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে, আবার শিথিল করা হচ্ছে। প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে। তবে কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর দু-একদিন পরেই তা অঘোষিতভাবে শিথিল হতে শুরু করে বা মানুষ তা অমান্য করে। গত ১ জুলাই থেকে দেয়া দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধেও এমনটা দেখা গেছে। ফলে বিধিনিষেধের কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। করোনার সংক্রমণের হার বেড়েই যাচ্ছে।

করোনা মোকাবিলায় কঠোর লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যান্ত প্রতিটি স্তরে কাজ করতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে। শুধু একটি সিদ্ধান্ত জারি করলেই চলে না। মানুষের বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে লকডাউন ঘোষণা করে সুফল মিলবে না।

করোনা মোকাবিলায় যে কোন পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চত করতে হবে। মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। টিকাদানের গতি বাড়াতে হবে।

back to top