alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আইসিইউ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কেন মানা হয়নি

: রোববার, ২৫ জুলাই ২০২১

কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের হাসপাতালগুলোর নানান সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গ্রামে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় জেলা হাসপাতালগুলো রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকার বাইরে আইসিইউ, সাধারণ শয্যা, চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট আগে থেকেই ছিল। এখন এই মহামারীকালে এসবের সংকট আরও তীব্রভাবে চোখে পড়ছে। করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রয়োজন আইসিইউ। কিন্তু অনেক হাসপাতালে আইসিইউ নেই। যেসব হাসপাতালে আইসিইউ আছে তা রোগীর তুলনায় যথেষ্ট নয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সংক্রমণ কমে যাওয়ার সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বর্তমানে সংক্রমণ ৬-৭ গুণ আর মৃত্যু ১০ গুণ বেড়েছে। এখন হাসপাতালে শয্যার চাহিদা ১০ গুণ ও অক্সিজেনের চাহিদা ৪-৫ গুণ বেড়েছে।

করোনার সংক্রমণ বাড়লে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংকট বাড়বে সেটা জানা কথা। প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার সংক্রমণ বাড়লে যে চিকিৎসা সংকট বাড়বে সে সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিভাগ জানতো কিনা, জানলে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৭ এপ্রিল দেশের সব জেলায় আইসিইউ স্থাপন করার কথা বলেন। গত বছরের ২ জুন একনেকের সভায় তিনি প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন তিনি সব হাসপাতালে ভেন্টিলেটর স্থাপন ও উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গত এক বছর কী করেছে সেটা জানা জরুরি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশের ১০০টি হাসপাতালের ৫২টিতেই নেই আইসিইউ সুবিধা। আইসিইউ সুবিধা না থাকা জেলা সদর হাসপাতালের সংখ্যা ৩৫। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে জেলা পর্যায়ে আইসিইউ ইউনিট করার মতো যন্ত্রপাতি, শয্যার ব্যবস্থা করা সম্ভব। প্রশ্ন হচ্ছে, এতো অল্প সময়ে আইসিইউ স্থাপন করা সম্ভব হলে গত এক বছরে তারা দেশে কয়টি আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করেছেন।

অন্তত জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সুবিধা থাকলে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু কমানো সম্ভব হতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পরও প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন না করার দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পরিপালন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির ব্যবস্থা করা হবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাও এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আইসিইউ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কেন মানা হয়নি

রোববার, ২৫ জুলাই ২০২১

কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের হাসপাতালগুলোর নানান সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গ্রামে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় জেলা হাসপাতালগুলো রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকার বাইরে আইসিইউ, সাধারণ শয্যা, চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট আগে থেকেই ছিল। এখন এই মহামারীকালে এসবের সংকট আরও তীব্রভাবে চোখে পড়ছে। করোনায় আক্রান্ত জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রয়োজন আইসিইউ। কিন্তু অনেক হাসপাতালে আইসিইউ নেই। যেসব হাসপাতালে আইসিইউ আছে তা রোগীর তুলনায় যথেষ্ট নয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সংক্রমণ কমে যাওয়ার সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বর্তমানে সংক্রমণ ৬-৭ গুণ আর মৃত্যু ১০ গুণ বেড়েছে। এখন হাসপাতালে শয্যার চাহিদা ১০ গুণ ও অক্সিজেনের চাহিদা ৪-৫ গুণ বেড়েছে।

করোনার সংক্রমণ বাড়লে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংকট বাড়বে সেটা জানা কথা। প্রশ্ন হচ্ছে, করোনার সংক্রমণ বাড়লে যে চিকিৎসা সংকট বাড়বে সে সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিভাগ জানতো কিনা, জানলে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২৭ এপ্রিল দেশের সব জেলায় আইসিইউ স্থাপন করার কথা বলেন। গত বছরের ২ জুন একনেকের সভায় তিনি প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন তিনি সব হাসপাতালে ভেন্টিলেটর স্থাপন ও উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গত এক বছর কী করেছে সেটা জানা জরুরি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত দেশের ১০০টি হাসপাতালের ৫২টিতেই নেই আইসিইউ সুবিধা। আইসিইউ সুবিধা না থাকা জেলা সদর হাসপাতালের সংখ্যা ৩৫। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে জেলা পর্যায়ে আইসিইউ ইউনিট করার মতো যন্ত্রপাতি, শয্যার ব্যবস্থা করা সম্ভব। প্রশ্ন হচ্ছে, এতো অল্প সময়ে আইসিইউ স্থাপন করা সম্ভব হলে গত এক বছরে তারা দেশে কয়টি আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করেছেন।

অন্তত জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সুবিধা থাকলে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু কমানো সম্ভব হতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পরও প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন না করার দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পরিপালন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির ব্যবস্থা করা হবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাও এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

back to top