alt

opinion » editorial

শিল্পকারখানা খোলার ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি কী

: শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার ৩০-এর আশপাশে। গত এক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মারা গেছে দুইশ’র বেশি মানুষ। সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো হবে সেটা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিন্তিত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান বিধিনিষেধ ৫ আগস্টের পরও আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একদিকে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে অন্যদিকে সরকার ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসহ দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকলকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধে চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প ছাড়া সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে এতদিন। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায়ও এমন সিদ্ধান্ত হয় যে, ৫ আগস্ট পর্যন্ত পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে। অথচ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরকার শিল্পকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিল। শিল্পকারখানা আর দু-চার দিন বন্ধ থাকলে অর্থনীতির কি ক্ষতি হতো তার সুস্পষ্ট কোন পরিসংখ্যান কি সরকারের কাছে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কিসের ভিত্তিতে শ্রমঘন শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব শিল্পকারখানায় কর্মরত সবার কি করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। এমন কোন নিশ্চয়তা কি মিলেছে যে, কারখানায় কর্মরতদের করোনার সংক্রমণ ঘটবে না বা তাদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ছড়াবে না।

শ্রমিকদের বড় একটি অংশই রয়ে গেছে টিকা কর্মসূচির আওতায় বাইরে। কারখানা খোলার কথা জানার পর শ্রমিকদের কর্মস্থলমুখী স্রোতে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। এর ফলে কারখানা খোলার আগেই করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

একদিকে লকডাউন চলছে, গণপরিবহন বন্ধ অন্যদিকে শিল্পকলকারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে। অতীতেও একই ধরনের ভ্রান্তিতে সরকারকে ঘুরপাক খেতে দেখা গেছে। শিল্পকলকারখানা খুললে শ্রমিকরা গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফিরবেন কিভাবে সেটা এবারও ভেবে দেখা হয়নি। আকস্মিকভাবে একেকটি ঘোষণা দিয়ে পথে পথে ভিড় তৈরি করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি সেখানেই ভেঙে পড়ছে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অবর্ণনীয় কষ্ট আর অর্থের শ্রাদ্ধ তো আছেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ করতে হলে অন্তত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন মানতে হবে। তাহলে করোনা বিস্তারের চেইনটি ভাঙা সম্ভব হয়। লকডাউন দেয়ার পর দুই সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই কলকারখানা খুলে দেয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়াবে। গণহারে টিকা দিয়ে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেও উন্নত অনেক দেশের পক্ষে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পকারখানা খোলার পর করোনার সংক্রমণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো হবে, এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী? করোনার সংক্রমণ আগামীতে আরও বাড়লে তার চাপ সামলানোর সক্ষমতা স্বাস্থ্য খাতের কি আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে মানুষদের জানাতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

শিল্পকারখানা খোলার ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি কী

শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার ৩০-এর আশপাশে। গত এক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই মারা গেছে দুইশ’র বেশি মানুষ। সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো হবে সেটা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিন্তিত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান বিধিনিষেধ ৫ আগস্টের পরও আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একদিকে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে অন্যদিকে সরকার ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টসহ দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পকলকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধে চামড়া, ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প ছাড়া সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে এতদিন। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায়ও এমন সিদ্ধান্ত হয় যে, ৫ আগস্ট পর্যন্ত পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ থাকবে। অথচ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরকার শিল্পকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিল। শিল্পকারখানা আর দু-চার দিন বন্ধ থাকলে অর্থনীতির কি ক্ষতি হতো তার সুস্পষ্ট কোন পরিসংখ্যান কি সরকারের কাছে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কিসের ভিত্তিতে শ্রমঘন শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব শিল্পকারখানায় কর্মরত সবার কি করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। এমন কোন নিশ্চয়তা কি মিলেছে যে, কারখানায় কর্মরতদের করোনার সংক্রমণ ঘটবে না বা তাদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ছড়াবে না।

শ্রমিকদের বড় একটি অংশই রয়ে গেছে টিকা কর্মসূচির আওতায় বাইরে। কারখানা খোলার কথা জানার পর শ্রমিকদের কর্মস্থলমুখী স্রোতে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। এর ফলে কারখানা খোলার আগেই করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

একদিকে লকডাউন চলছে, গণপরিবহন বন্ধ অন্যদিকে শিল্পকলকারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে। অতীতেও একই ধরনের ভ্রান্তিতে সরকারকে ঘুরপাক খেতে দেখা গেছে। শিল্পকলকারখানা খুললে শ্রমিকরা গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফিরবেন কিভাবে সেটা এবারও ভেবে দেখা হয়নি। আকস্মিকভাবে একেকটি ঘোষণা দিয়ে পথে পথে ভিড় তৈরি করা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি সেখানেই ভেঙে পড়ছে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অবর্ণনীয় কষ্ট আর অর্থের শ্রাদ্ধ তো আছেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ করতে হলে অন্তত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন মানতে হবে। তাহলে করোনা বিস্তারের চেইনটি ভাঙা সম্ভব হয়। লকডাউন দেয়ার পর দুই সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই কলকারখানা খুলে দেয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়াবে। গণহারে টিকা দিয়ে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেও উন্নত অনেক দেশের পক্ষে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পকারখানা খোলার পর করোনার সংক্রমণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে সামলানো হবে, এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী? করোনার সংক্রমণ আগামীতে আরও বাড়লে তার চাপ সামলানোর সক্ষমতা স্বাস্থ্য খাতের কি আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে মানুষদের জানাতে হবে।

back to top