alt

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের গরমিল

: মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১

করোনা চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৯৬টি সরকারি হাসপাতালের তথ্য প্রতিদিন বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালগুলোর সাধারণ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা, ভর্তি রোগী, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলাসহ কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার তথ্য থাকে। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দেশের মাঠপর্যায়ের হাসপাতালগুলোর দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে- ভোলা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং জামালপুর জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব হাসপাতালে গত রোববার পর্যন্ত সচল কোনো আইসিইউ শয্যাই ছিল না। রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫৫৪টি সাধারণ শয্যার সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় প্রতিদিনই প্রায় ৫০০টি শয্যা খালি থাকছে। গত রোবাবার সেখানেও ৪৮২টি শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তির তথ্যও নেই বিজ্ঞপ্তিতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য জানাচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কী সংশ্লিষ্টদের অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি। তারা যদি জেনে-শুনে তথ্য বিকৃত করে থাকে, তাহলে এর পেছেনের কারণও জানতে হবে। খুঁজে দেখতে হবে তারা কী নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য এমন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করছে, নাকি সরকার বা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য করছে।

কাগজে-কলমে উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বা কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাগজে-কলমে আইসিইউ শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেন খালি, সেটা কি তারা দেখিয়েছে? এ তথ্য দেখে নীতি-নির্ধারকরা ভাবতে পারেন যে, রোগীর চাপ নেই, তাই শয্যা খালি।

অনেক হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবল দেওয়া হয়নি। আবার সরঞ্জাম দিলেও তা নষ্ট হয়ে আছে, মোরামত করা হচ্ছে না। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার ১২টি বিকল, আর দুটি স্থাপনই করা হয়নি।

হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তির উপযোগী নয়, সাধারণ শয্যা রোগী রাখার মতো না, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা থাকলেও বিকল, অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও তা শূন্য-এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দিনের পর দিন চলতে পারে না। দেশে করোনা মহামারীর সংকটকালে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও উপস্থাপন করতে হবে বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে। নির্দিষ্ট সময় পর পর তা হালনাগাদ করতে হবে; যাতে পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা কোন কঠিন কাজ নয়। সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করা কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরি।

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের গরমিল

মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১

করোনা চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের ৯৬টি সরকারি হাসপাতালের তথ্য প্রতিদিন বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে হাসপাতালগুলোর সাধারণ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা, ভর্তি রোগী, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলাসহ কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থার তথ্য থাকে। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে দেশের মাঠপর্যায়ের হাসপাতালগুলোর দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে- ভোলা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং জামালপুর জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব হাসপাতালে গত রোববার পর্যন্ত সচল কোনো আইসিইউ শয্যাই ছিল না। রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫৫৪টি সাধারণ শয্যার সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় প্রতিদিনই প্রায় ৫০০টি শয্যা খালি থাকছে। গত রোবাবার সেখানেও ৪৮২টি শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তির তথ্যও নেই বিজ্ঞপ্তিতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য জানাচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার কোন মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কী সংশ্লিষ্টদের অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে- সেটা জানা জরুরি। তারা যদি জেনে-শুনে তথ্য বিকৃত করে থাকে, তাহলে এর পেছেনের কারণও জানতে হবে। খুঁজে দেখতে হবে তারা কী নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য এমন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করছে, নাকি সরকার বা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য করছে।

কাগজে-কলমে উপস্থাপিত তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের মিল না থাকলে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বা কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাগজে-কলমে আইসিইউ শয্যা খালি দেখানো হয়েছে। কিন্তু কেন খালি, সেটা কি তারা দেখিয়েছে? এ তথ্য দেখে নীতি-নির্ধারকরা ভাবতে পারেন যে, রোগীর চাপ নেই, তাই শয্যা খালি।

অনেক হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবল দেওয়া হয়নি। আবার সরঞ্জাম দিলেও তা নষ্ট হয়ে আছে, মোরামত করা হচ্ছে না। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার ১২টি বিকল, আর দুটি স্থাপনই করা হয়নি।

হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তির উপযোগী নয়, সাধারণ শয্যা রোগী রাখার মতো না, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা থাকলেও বিকল, অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও তা শূন্য-এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দিনের পর দিন চলতে পারে না। দেশে করোনা মহামারীর সংকটকালে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও উপস্থাপন করতে হবে বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে। নির্দিষ্ট সময় পর পর তা হালনাগাদ করতে হবে; যাতে পরিস্থিতি বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা কোন কঠিন কাজ নয়। সমস্যা দ্রুত চিহ্নিত করে সমাধান করা কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরি।

back to top