alt

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বাধা দূর করুন

: বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে আবারও। গতকাল মঙ্গলবার জামালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এই অভিযোগ করেন। বক্তারা আইনটি বাতিল ও দেশের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতে হয়। হুমকি ও হয়রানি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার। যার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন ঝালকাঠির সাংবাদিক আক্কাস সিকদার।

গত ১৫ জুলাই একজনের ফেসবুক পোস্টে পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে করা তার কমেন্টের সূত্র ধরে উক্ত আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা বলছেন, সাংবাদিক আক্কাস সিকদারের কমেন্টে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে।

দলের ভাবমূর্তি বা কোন ব্যক্তির মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কোন মত বা মন্তব্য ক্ষমতাসীন দলের কোন নেতার বিপক্ষে গেলে দলের যে কোন নেতাকর্মী এই আইনে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। এমনকি কোন পোস্টে মন্তব্য করা, লাইক দেয়া, শেয়ার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জেলে আটকে রাখা হচ্ছে। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয় বলেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্টসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এই আইনের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। এমনকি ডিজিটাল অক্ষরজ্ঞানহীন কৃষককেও এই মামলার শিকার হতে দেখা গেছে।

মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি বলেছে, মানহানির অপরাধকে ডিজিটাল নিরপত্তা আইনে যেভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাতে ‘মারাত্মক ত্রুটি’ রয়েছে। এর মাধ্যমে আইনটি ‘ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে’ পরিণত হয়েছে। সংস্থাটি মানহানির অভিযোগকে ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে দেওয়ানি আইনে বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ক্ষমতাশালী কারো সমালোচনা করা হলে মামলা করা, বিনা বিচারে আটকে রাখা, নির্যাতন করা গ্রহণযোগ্য নয়। কোন ব্যক্তির ‘মান’ বা কোন দলের ‘ভাবমূর্তি’ রক্ষার কথা বলে নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য নয়। আমরা বলতে চাই, দেশে এমন কোন আইন থাকা উচিত নয় যা স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বাধা দূর করা হবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বাধা দূর করুন

বুধবার, ০৪ আগস্ট ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া ও গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উঠেছে আবারও। গতকাল মঙ্গলবার জামালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এই অভিযোগ করেন। বক্তারা আইনটি বাতিল ও দেশের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতে হয়। হুমকি ও হয়রানি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার। যার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন ঝালকাঠির সাংবাদিক আক্কাস সিকদার।

গত ১৫ জুলাই একজনের ফেসবুক পোস্টে পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে করা তার কমেন্টের সূত্র ধরে উক্ত আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা বলছেন, সাংবাদিক আক্কাস সিকদারের কমেন্টে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে।

দলের ভাবমূর্তি বা কোন ব্যক্তির মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কোন মত বা মন্তব্য ক্ষমতাসীন দলের কোন নেতার বিপক্ষে গেলে দলের যে কোন নেতাকর্মী এই আইনে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। এমনকি কোন পোস্টে মন্তব্য করা, লাইক দেয়া, শেয়ার করা ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, জেলে আটকে রাখা হচ্ছে। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয় বলেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্টসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এই আইনের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। এমনকি ডিজিটাল অক্ষরজ্ঞানহীন কৃষককেও এই মামলার শিকার হতে দেখা গেছে।

মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি বলেছে, মানহানির অপরাধকে ডিজিটাল নিরপত্তা আইনে যেভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাতে ‘মারাত্মক ত্রুটি’ রয়েছে। এর মাধ্যমে আইনটি ‘ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে’ পরিণত হয়েছে। সংস্থাটি মানহানির অভিযোগকে ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে দেওয়ানি আইনে বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ক্ষমতাশালী কারো সমালোচনা করা হলে মামলা করা, বিনা বিচারে আটকে রাখা, নির্যাতন করা গ্রহণযোগ্য নয়। কোন ব্যক্তির ‘মান’ বা কোন দলের ‘ভাবমূর্তি’ রক্ষার কথা বলে নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য নয়। আমরা বলতে চাই, দেশে এমন কোন আইন থাকা উচিত নয় যা স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে বাধা দূর করা হবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

back to top