alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোকে দ্রুত প্রস্তুত করুন

: সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ (ডেডিকেটেড) করে দেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে চারটিই চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য অপ্রস্তুত। শুধু স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সূত্র অনুযায়ী, ডেঙ্গু ইউনিটের ৮০টি শয্যার বিপরীতে গত শনিবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ২২৬ জন। সঙ্গত কারণে অনেকে হাসপাতালের মেঝে বা বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীতে ডেঙ্গু দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ মাসে দুই হাজারের বেশি রোগী আক্রান্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৫৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। তাদের মধ্যে আগস্টেই (২৮ তারিখ পর্যন্ত) আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯১১ জন, যা মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর ৭০ শতাংশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গত জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু রোগের যে বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে তা আমলে নিলে আরও আগে ডেঙ্গুর রোগীর জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল। দেরিতে হলেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও পাঁচটি হাসপাতাল যথেষ্ট কি না-তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া অন্যগুলো প্রস্তত নয়।

ডেঙ্গুর বিস্তার থেমে নেই। রোগীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তদের ৭১ শতাংশই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছু উদ্যোগ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। রাজধানীর দুটি সিটি করপোরেশন মিলে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এডিস মশার বংশবিস্তার করায় বাসিন্দারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন যদি আক্রান্তদের চিকিৎসা না দেয়া যায় তাহলে মানুষকে আরেক মহামারীর কবলে পড়তে হতে পারে। আর সেটা যে শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকবে- তা ভাবার কোন কারণ নেই। এর আগে ২০১৯ সালে রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পরে। এবারও রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী শহর গাজীপুরের আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালে ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে ডেঙ্গু রোগীর জন্য বরাদ্দ করা আছে ৫০ শয্যা। শয্যা না পেয়ে ১১ জন বারান্দায় আর মেঝেতে আশ্রয় চিকিৎসা নিচ্ছে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নিধন অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় শয্যা, চিকিৎসক-নার্সসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোকে দ্রুত প্রস্তুত করুন

সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ (ডেডিকেটেড) করে দেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে চারটিই চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য অপ্রস্তুত। শুধু স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সূত্র অনুযায়ী, ডেঙ্গু ইউনিটের ৮০টি শয্যার বিপরীতে গত শনিবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ২২৬ জন। সঙ্গত কারণে অনেকে হাসপাতালের মেঝে বা বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীতে ডেঙ্গু দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ মাসে দুই হাজারের বেশি রোগী আক্রান্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৫৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। তাদের মধ্যে আগস্টেই (২৮ তারিখ পর্যন্ত) আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯১১ জন, যা মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর ৭০ শতাংশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গত জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু রোগের যে বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে তা আমলে নিলে আরও আগে ডেঙ্গুর রোগীর জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল প্রস্তুত হওয়ার কথা ছিল। দেরিতে হলেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও পাঁচটি হাসপাতাল যথেষ্ট কি না-তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া অন্যগুলো প্রস্তত নয়।

ডেঙ্গুর বিস্তার থেমে নেই। রোগীরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তদের ৭১ শতাংশই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছু উদ্যোগ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। রাজধানীর দুটি সিটি করপোরেশন মিলে ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এডিস মশার বংশবিস্তার করায় বাসিন্দারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন যদি আক্রান্তদের চিকিৎসা না দেয়া যায় তাহলে মানুষকে আরেক মহামারীর কবলে পড়তে হতে পারে। আর সেটা যে শুধু রাজধানীতে সীমাবদ্ধ থাকবে- তা ভাবার কোন কারণ নেই। এর আগে ২০১৯ সালে রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পরে। এবারও রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী শহর গাজীপুরের আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালে ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে ডেঙ্গু রোগীর জন্য বরাদ্দ করা আছে ৫০ শয্যা। শয্যা না পেয়ে ১১ জন বারান্দায় আর মেঝেতে আশ্রয় চিকিৎসা নিচ্ছে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নিধন অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গুর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় শয্যা, চিকিৎসক-নার্সসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

back to top