alt

opinion » editorial

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

: মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১

দফায় দফায় ব্যয় আর সময় বাড়ছে। বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তৈরি করছে অসহনীয় যানজট। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) চলমান প্রকল্পকে এখন ‘গলার কাঁটা’ মানছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রকল্পটিকে নতুন করে না বাড়িয়ে দ্রুত শেষ করতে বলেছেন।

গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন দেয়া হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চার বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু নয় বছরেও শেষ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তিন দফা ব্যয় ও চার দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা গেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, দেশে এমন আরও অনেক প্রকল্পই রয়েছে যেগুলো নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে সম্পন্ন করা যায় না। উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। একদিকে প্রকল্পের সময় বাড়ছে, ব্যয় বাড়ছে, কাজের মান খারাপ হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ঢালাওভাবে মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে না পারলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

আবার নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করলে পুরস্কৃত করাও উচিত। ঠিকাদাররা যাতে সময়মতো প্রকল্প শেষ করার প্রতি মনোযোগী হন, শুধু আনুষঙ্গিক কাজ ও নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত না থাকেন সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১

দফায় দফায় ব্যয় আর সময় বাড়ছে। বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তৈরি করছে অসহনীয় যানজট। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) চলমান প্রকল্পকে এখন ‘গলার কাঁটা’ মানছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রকল্পটিকে নতুন করে না বাড়িয়ে দ্রুত শেষ করতে বলেছেন।

গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন দেয়া হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চার বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু নয় বছরেও শেষ হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তিন দফা ব্যয় ও চার দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা গেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, দেশে এমন আরও অনেক প্রকল্পই রয়েছে যেগুলো নির্ধারিত সময় ও ব্যয়ে সম্পন্ন করা যায় না। উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। একদিকে প্রকল্পের সময় বাড়ছে, ব্যয় বাড়ছে, কাজের মান খারাপ হচ্ছে, জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ঢালাওভাবে মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করতে না পারলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

আবার নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করলে পুরস্কৃত করাও উচিত। ঠিকাদাররা যাতে সময়মতো প্রকল্প শেষ করার প্রতি মনোযোগী হন, শুধু আনুষঙ্গিক কাজ ও নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত না থাকেন সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

back to top