alt

opinion » editorial

প্রণোদনার অর্থ বিতরণে নয়ছয় কাম্য নয়

: মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১

করোনা মহামারীর কারণে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ চাপে পড়েছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নেই যারা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যার আঁচ পড়েছে জাতীয় অর্থনীতিতেও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, মহামারীর সময় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩.৫১ শতাংশ। এক বছর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৮.১৫ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এখনও চাপে আছে।

মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে প্রণোদনা ঘোষণা করে। আশা করা হচ্ছিল, প্রণোদনা কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট খাতগুলো অন্তত এবারের জন্য এ লড়াইয়ে টিকে যাবে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে কাক্সিক্ষত গতি ফিরে পাবে।

করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গত বছরের শুরুতে সরকার ঋণ আকারে কয়েক দফায় খাতভিত্তিক ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্যাকেজ ঘোষণার এক বছরেরও বেশি সময় পরে জানা যাচ্ছে যে, ৭৯ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা পায়নি। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ‘কোভিড-১৯ এবং বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আবার প্রণোদনার টাকা যারা পেয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে বা দাবি করা হয়েছে।

একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রণোদনার অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থ কাউকে এমনি এমনি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে না, ঋণ হিসেবে দেয়া হচ্ছে। যারা ঋণ পাচ্ছে তাদের হার কম হলেও সুদসহ আসল ফেরত দিতে হবে। তাহলে সেটা পেতে বাড়তি অর্থ বা ঘুষ দিতে হবে কেন?

প্রণোদনার অর্থ দেয়া নিয়ে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেটাকে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া একটি পরিকল্পনা কাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যেতে বসছে- সেট জানা জরুরি। প্রণোদনার প্যাকেজ বাস্তবায়নে অনীহার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাই। ঋণখেলাপিদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তো আগ্রহের কমতি দেখা যায় না। ‘জেনে শুনে বিষ পান’ করার মতো ফেরত পাওয়া যাবে না জেনেও মন্দ ঋণ গ্রহীতাদের একশ্রেণীর ব্যাংক কর্মকর্তা যেচেপরে ঋণ দেন বলে অভিযোগ আছে। গ্রাহকদের আমানতের টাকা খেলাপিদের হাতে তুলে দিয়ে ব্যাংক খাতকে ডুবানোর জন্য তাদের উৎস-আগ্রহের কমতি নেই। অনীহা শুধু জাতীয় অর্থনীতি উদ্ধারের ক্ষেত্রে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যারা নয়ছয় করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

প্রণোদনার অর্থ বিতরণে নয়ছয় কাম্য নয়

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১

করোনা মহামারীর কারণে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ চাপে পড়েছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নেই যারা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যার আঁচ পড়েছে জাতীয় অর্থনীতিতেও। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, মহামারীর সময় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩.৫১ শতাংশ। এক বছর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৮.১৫ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এখনও চাপে আছে।

মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে প্রণোদনা ঘোষণা করে। আশা করা হচ্ছিল, প্রণোদনা কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট খাতগুলো অন্তত এবারের জন্য এ লড়াইয়ে টিকে যাবে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে কাক্সিক্ষত গতি ফিরে পাবে।

করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গত বছরের শুরুতে সরকার ঋণ আকারে কয়েক দফায় খাতভিত্তিক ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্যাকেজ ঘোষণার এক বছরেরও বেশি সময় পরে জানা যাচ্ছে যে, ৭৯ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই প্রণোদনা প্যাকেজের টাকা পায়নি। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) ‘কোভিড-১৯ এবং বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আবার প্রণোদনার টাকা যারা পেয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে বা দাবি করা হয়েছে।

একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে প্রণোদনার অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থ কাউকে এমনি এমনি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে না, ঋণ হিসেবে দেয়া হচ্ছে। যারা ঋণ পাচ্ছে তাদের হার কম হলেও সুদসহ আসল ফেরত দিতে হবে। তাহলে সেটা পেতে বাড়তি অর্থ বা ঘুষ দিতে হবে কেন?

প্রণোদনার অর্থ দেয়া নিয়ে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেটাকে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া একটি পরিকল্পনা কাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ভেস্তে যেতে বসছে- সেট জানা জরুরি। প্রণোদনার প্যাকেজ বাস্তবায়নে অনীহার কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাই। ঋণখেলাপিদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তো আগ্রহের কমতি দেখা যায় না। ‘জেনে শুনে বিষ পান’ করার মতো ফেরত পাওয়া যাবে না জেনেও মন্দ ঋণ গ্রহীতাদের একশ্রেণীর ব্যাংক কর্মকর্তা যেচেপরে ঋণ দেন বলে অভিযোগ আছে। গ্রাহকদের আমানতের টাকা খেলাপিদের হাতে তুলে দিয়ে ব্যাংক খাতকে ডুবানোর জন্য তাদের উৎস-আগ্রহের কমতি নেই। অনীহা শুধু জাতীয় অর্থনীতি উদ্ধারের ক্ষেত্রে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যারা নয়ছয় করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।

back to top