alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যপ্রাণী ও ফসল দুটোই রক্ষা পাক

: বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ধোয়াপালং গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে একটি বন্যহাতিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার পর হাতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে মাটিকে পুঁতে ফেলা হয়। স্থানীয় কাঠুরিয়ারা হাতির বিচ্ছিন্ন মাথা ও পা মাটিচাপা দিতে দেখে বন বিভাগকে জানান।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরিকল্পিতভাবে হাতি হত্যা করায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

হাতি বা এমন অনেক বন্যপ্রাণী খাবারের সন্ধানে বন থেকে লোকালয়ে আসে। অনেক সময় তারা কৃষকের ফসলহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকরা ফসল রক্ষা করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রামুতে বন্যহাতির কবল থেকে ফসল রক্ষা করতে তারা যে বর্বর পথ বেছে নিয়েছে সেটা কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়।

হাতিটিকে তারা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি সেটাকে কেটে টুকরো টুকরো করে গুম করার অপচেষ্টাও চালিয়েছে। জানা যায়, নিহত হাতিটি মহাবিপন্ন এশিয়ান মা হাতি। তার সাথে বাচ্চাসহ আরও কয়েকটি হাতি ছিল। সেসব হাতিও কৃষকদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে একই পরিণতি বরণ করতে পারত।

গত তিন বছরে কক্সবাজার ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ১৬টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’। এর মধ্যে বেশির ভাগ হাতির মৃত্যু হয়েছিল গুলি ও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে।

কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চলে রেললাইন, রোহিঙ্গা বসতি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ অবৈধ জবরদখল চলছে। বন নিধনের কারণে বন্যপ্রাণীর খাদ্য চক্র দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। খাদ্যসংকট দেখা দেয় বলেই হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে এবং মানুষের নিষ্ঠুরতার বলি হয়। এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।

বন্য পশু-পাখির হাত থেকে ফল-ফসল রক্ষা করার অনেক পদ্ধতি আছে। সেগুলো কৃষকরা জানে কিনা- বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। দেশের অনেক এলাকার কৃষক ফসল রক্ষায় বিদ্যুতের ফাদ তৈরির মতো বিপজ্জনক পদ্ধতি অবলম্বন করে। সেই ফাঁদে যে শুধু পশু-পাখি হতাহত হয় তা নয়; অনেক সময় কৃষকের হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

আবার দেশীয় অস্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করে লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতিকে মেরে ফেলার নজিরও রয়েছে। কৃষকদের ফসল রক্ষা বা বন্যপ্রাণী তাড়ানোর আধুনিক কৌশল বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে কৃষকের ফসলও যেমন রক্ষা পাবে, বন্যপ্রাণীও প্রাণে বাঁচবে।

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যপ্রাণী ও ফসল দুটোই রক্ষা পাক

বৃহস্পতিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ধোয়াপালং গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে একটি বন্যহাতিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার পর হাতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে মাটিকে পুঁতে ফেলা হয়। স্থানীয় কাঠুরিয়ারা হাতির বিচ্ছিন্ন মাথা ও পা মাটিচাপা দিতে দেখে বন বিভাগকে জানান।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরিকল্পিতভাবে হাতি হত্যা করায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

হাতি বা এমন অনেক বন্যপ্রাণী খাবারের সন্ধানে বন থেকে লোকালয়ে আসে। অনেক সময় তারা কৃষকের ফসলহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকরা ফসল রক্ষা করতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রামুতে বন্যহাতির কবল থেকে ফসল রক্ষা করতে তারা যে বর্বর পথ বেছে নিয়েছে সেটা কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়।

হাতিটিকে তারা হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি সেটাকে কেটে টুকরো টুকরো করে গুম করার অপচেষ্টাও চালিয়েছে। জানা যায়, নিহত হাতিটি মহাবিপন্ন এশিয়ান মা হাতি। তার সাথে বাচ্চাসহ আরও কয়েকটি হাতি ছিল। সেসব হাতিও কৃষকদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে একই পরিণতি বরণ করতে পারত।

গত তিন বছরে কক্সবাজার ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ১৬টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’। এর মধ্যে বেশির ভাগ হাতির মৃত্যু হয়েছিল গুলি ও বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে।

কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চলে রেললাইন, রোহিঙ্গা বসতি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ অবৈধ জবরদখল চলছে। বন নিধনের কারণে বন্যপ্রাণীর খাদ্য চক্র দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। খাদ্যসংকট দেখা দেয় বলেই হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে এবং মানুষের নিষ্ঠুরতার বলি হয়। এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।

বন্য পশু-পাখির হাত থেকে ফল-ফসল রক্ষা করার অনেক পদ্ধতি আছে। সেগুলো কৃষকরা জানে কিনা- বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। দেশের অনেক এলাকার কৃষক ফসল রক্ষায় বিদ্যুতের ফাদ তৈরির মতো বিপজ্জনক পদ্ধতি অবলম্বন করে। সেই ফাঁদে যে শুধু পশু-পাখি হতাহত হয় তা নয়; অনেক সময় কৃষকের হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

আবার দেশীয় অস্ত্র ও কৌশল ব্যবহার করে লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতিকে মেরে ফেলার নজিরও রয়েছে। কৃষকদের ফসল রক্ষা বা বন্যপ্রাণী তাড়ানোর আধুনিক কৌশল বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে কৃষকের ফসলও যেমন রক্ষা পাবে, বন্যপ্রাণীও প্রাণে বাঁচবে।

back to top