alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

: শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্ত মানুষকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সুপেয় পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদিপশু হারিয়েছে অনেকে। পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাজনিত অসুখে ভুগছেন অনেকে।

সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, এমনও অনেক পরিবার আছে যারা সপ্তাহাধিককাল ধরে ত্রাণের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু তাদের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। দিন এনে দিন খান এমন মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেককে চেয়েচিন্তে বা ধারকর্জ করে চলতে হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আশা করছে পানি দ্রুত নেমে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশে এবার দীর্ঘমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা নেই বলে সরকার অভয় দিয়েছে। বন্যাকবলিত সব মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম ও ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। অতীতের মতো এবারও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। তাহলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। কৃষক ও খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যেন সরকারি সহায়তা পান সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার্ত মানুষকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সুপেয় পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদিপশু হারিয়েছে অনেকে। পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাজনিত অসুখে ভুগছেন অনেকে।

সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, এমনও অনেক পরিবার আছে যারা সপ্তাহাধিককাল ধরে ত্রাণের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু তাদের কাছে কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। দিন এনে দিন খান এমন মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেককে চেয়েচিন্তে বা ধারকর্জ করে চলতে হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আশা করছে পানি দ্রুত নেমে যাবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশে এবার দীর্ঘমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা নেই বলে সরকার অভয় দিয়েছে। বন্যাকবলিত সব মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়। পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র সরিয়ে নিতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম ও ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। অতীতের মতো এবারও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। তাহলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। যেসব মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। কৃষক ও খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যেন সরকারি সহায়তা পান সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top