alt

opinion » editorial

পানি শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করুন

: শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে রাজধানীবাসীকে সরবরাহ করার জন্য মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ‘পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নির্মাণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। শোধনাগারটি দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম। সমস্যা হচ্ছে সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাত্র ২৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে না পারার বড় কারণ হলো সরবরাহ লাইনের সংকট। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে বরাবর ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে শোধনাগারের পানি ঢাকায় আনা হচ্ছে। পরিশোধিত পানি মিটফোর্ড এলাকা দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করার পর পানির পাইপ এখানে এসে সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি সরবরাহের লাইন প্রস্তুত না থাকায় পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হচ্ছে না শোধনাগারটি। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন করে সরবরাহ লাইন তৈরি করতে আরও ৬৩২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে ওয়াসা। শোধনাগার প্রকল্পের অর্ধেকেরও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে পাইপলাইন নির্মাণে। সে হিসাবে অঙ্কটা কম নয়। ওয়াসা এখন যে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে তার চেয়ে ঢের বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, পাইপলাইন যা তৈরি করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত, আবার কোথাও সরু।

পানি শোধনাগার নির্মাণের মান নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। পানি সরবরাহ লাইনই যদি না থাকে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে লাভ হলো কী? প্রকল্প গ্রহণের সময় শুধু পানির চাহিদা নিরুপণ করা হয়েছে, নাকি এর সক্ষমতা অনুযায়ী পানি কীভাবে সরবরাহ করা হবে তা ভাবা হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াসার প্রকল্পটির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা মিলুক বা নাই মিলুক; একটি গোষ্ঠী ঠিকই লাভবান হয়েছে।

শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হলে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকল্প নেয়ার আগে পূর্বের প্রকল্পে কী কাজ হয়েছে সেটা জানতে হবে। ওয়াসার ব্যর্থতার যেমন শেষ নেই, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেরও শেষ নেই। প্রকল্পের অধীনে কেন সরবরাহ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। এত বড় একটি প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকার কতটা শোধনাগার এবং পাইপলাইন স্থাপনের কাজে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব নিতে হবে।

পানি শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার আমরা দেখতে চাই। এর সুফল মানুষ ভোগ করুক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। এটা অবশ্যই ঢাকা ওয়াসাকে সম্পন্ন করতে হবে। কাজটি তারা কীভাবে করবে সেটা তাদেরকেই ঠিক করতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পানি শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করুন

শনিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে রাজধানীবাসীকে সরবরাহ করার জন্য মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ‘পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নির্মাণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। শোধনাগারটি দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম। সমস্যা হচ্ছে সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাত্র ২৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে না পারার বড় কারণ হলো সরবরাহ লাইনের সংকট। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে বরাবর ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে শোধনাগারের পানি ঢাকায় আনা হচ্ছে। পরিশোধিত পানি মিটফোর্ড এলাকা দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করার পর পানির পাইপ এখানে এসে সরু হয়ে গেছে। ফলে পানি সরবরাহের লাইন প্রস্তুত না থাকায় পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হচ্ছে না শোধনাগারটি। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন করে সরবরাহ লাইন তৈরি করতে আরও ৬৩২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে ওয়াসা। শোধনাগার প্রকল্পের অর্ধেকেরও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে পাইপলাইন নির্মাণে। সে হিসাবে অঙ্কটা কম নয়। ওয়াসা এখন যে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে তার চেয়ে ঢের বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, পাইপলাইন যা তৈরি করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত, আবার কোথাও সরু।

পানি শোধনাগার নির্মাণের মান নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। পানি সরবরাহ লাইনই যদি না থাকে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে লাভ হলো কী? প্রকল্প গ্রহণের সময় শুধু পানির চাহিদা নিরুপণ করা হয়েছে, নাকি এর সক্ষমতা অনুযায়ী পানি কীভাবে সরবরাহ করা হবে তা ভাবা হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াসার প্রকল্পটির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা মিলুক বা নাই মিলুক; একটি গোষ্ঠী ঠিকই লাভবান হয়েছে।

শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হলে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন কোন প্রকল্প নেয়ার আগে পূর্বের প্রকল্পে কী কাজ হয়েছে সেটা জানতে হবে। ওয়াসার ব্যর্থতার যেমন শেষ নেই, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগেরও শেষ নেই। প্রকল্পের অধীনে কেন সরবরাহ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের জবাবদিহি আদায় করতে হবে। এত বড় একটি প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকার কতটা শোধনাগার এবং পাইপলাইন স্থাপনের কাজে ব্যয় হয়েছে তার হিসাব নিতে হবে।

পানি শোধনাগারের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার আমরা দেখতে চাই। এর সুফল মানুষ ভোগ করুক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। এটা অবশ্যই ঢাকা ওয়াসাকে সম্পন্ন করতে হবে। কাজটি তারা কীভাবে করবে সেটা তাদেরকেই ঠিক করতে হবে।

back to top