alt

opinion » editorial

এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে কেন

: মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ফি বিজ্ঞান শাখার জন্য ১১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ১০৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, খুলনা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কিছু কলেজে বোর্ডের নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। টেস্ট পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও ফরম পূরণের নামে প্রতিষ্ঠান ভেদে ১ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নিয়েছে। এ নিয়ে সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায় করার ঘটনা নতুন নয়। প্রতি বছরই দেশের কোন না কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। করোনা মহামারীর মধ্যেও এসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নৈতিকতা ও মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবকিছু বিবেচনা করেই বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়। এর বাইরে নানান অজুহাতে বেশি টাকা আদায় করা অনৈতিক।

করোনা মহামারীর মধ্যে অনেক অভিভাবকই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর সামর্থ্য হারিয়েছেন। এ অবস্থায় বোর্ড ফি দেয়াই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর অতিরিক্ত ফি আদায় করার ঘটনা অমানবিক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয় জাতি গঠনের কারখানা, আর শিক্ষকরা হচ্ছেন তার কারিগর। সেখানে অমানবিকতা ও অনৈতিকতার চর্চা কাম্য নয়। যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে, তারা অনিয়ম-দুর্নীতির মন্দ নজির স্থাপন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুকরণীয় আদর্শের চর্চা হবে সেটাই কাম্য।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাড়তি টাকা আদায়ের অনৈতিক চর্চা বন্ধ হওয়া উচিত। শিক্ষা বোর্ড বিভিন্ন সময় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যে কারণে বাড়তি ফি আদায় বন্ধ করা যাচ্ছে না। শুধু মুখে হুশিয়ারি উচ্চারণ করাই যথেষ্ট নয়। বাড়তি ফি নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এমনটা আমরা দেখতে চাই। তাহলে হয়তো তাদের বাড়তি ফি নেয়া বন্ধ হবে। যেসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি ফি নেয়া হয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে হবে। আর কোথাও যাতে বাড়তি ফি নেয়া না হয় সেটা মনিটরিং করতে হবে। দেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিণত হোক- সেটা আমরা চাই না।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে কেন

মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ফি বিজ্ঞান শাখার জন্য ১১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য ১০৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, খুলনা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কিছু কলেজে বোর্ডের নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। টেস্ট পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট ও ফরম পূরণের নামে প্রতিষ্ঠান ভেদে ১ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নিয়েছে। এ নিয়ে সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায় করার ঘটনা নতুন নয়। প্রতি বছরই দেশের কোন না কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। করোনা মহামারীর মধ্যেও এসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নৈতিকতা ও মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবকিছু বিবেচনা করেই বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়। এর বাইরে নানান অজুহাতে বেশি টাকা আদায় করা অনৈতিক।

করোনা মহামারীর মধ্যে অনেক অভিভাবকই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর সামর্থ্য হারিয়েছেন। এ অবস্থায় বোর্ড ফি দেয়াই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর অতিরিক্ত ফি আদায় করার ঘটনা অমানবিক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয় জাতি গঠনের কারখানা, আর শিক্ষকরা হচ্ছেন তার কারিগর। সেখানে অমানবিকতা ও অনৈতিকতার চর্চা কাম্য নয়। যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে, তারা অনিয়ম-দুর্নীতির মন্দ নজির স্থাপন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুকরণীয় আদর্শের চর্চা হবে সেটাই কাম্য।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বাড়তি টাকা আদায়ের অনৈতিক চর্চা বন্ধ হওয়া উচিত। শিক্ষা বোর্ড বিভিন্ন সময় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যে কারণে বাড়তি ফি আদায় বন্ধ করা যাচ্ছে না। শুধু মুখে হুশিয়ারি উচ্চারণ করাই যথেষ্ট নয়। বাড়তি ফি নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এমনটা আমরা দেখতে চাই। তাহলে হয়তো তাদের বাড়তি ফি নেয়া বন্ধ হবে। যেসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাড়তি ফি নেয়া হয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে হবে। আর কোথাও যাতে বাড়তি ফি নেয়া না হয় সেটা মনিটরিং করতে হবে। দেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিয়ম-দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে পরিণত হোক- সেটা আমরা চাই না।

back to top