alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বৃত্তাকার নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকার চারদিকে থাকা নৌপথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে একাধিকবার। নৌপথ প্রথম চালু হয় ২০০৪ সালে। চালু হওয়ার পর মাস পেরোতে না পেরোতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রকল্প। ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় চালু হওয়ার পর সেটা এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আবার সেটা চালু হয় এবং যথারীতি কিছুদিন পর বন্ধ হয়। এর পরের বছরও চালু ও বন্ধ হওয়ার বৃত্ত থেকে বের হওয়া যায়নি।

নৌপথ চালু করা না গেলে কী হবে এর সৌন্দর্যযবর্ধনের কাজ ঠিকই চলছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৌপথের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদের তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও জেটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের সময় বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। মেয়াদ বাড়লে হয়তো ব্যয়ও বাড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ টাকা এবারও কি জলেই যাবে নাকি নৌপথকে কার্যকরভাবে চালু করা যাবে।

নৌপথ চালু করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নদ-নদী দখল ও দূষণ। অবৈধ দখল ও দূষণের কারণে নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর উপরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সড়ক ও রেলপথের একাধিক সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এর নিচ দিয়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলতে পারে না। আশার কথা, নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। একদিকে কম উচ্চতার সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে আরেকদিকে নতুন করে কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। নৌপথ নিয়ে তুঘলকি কান্ডকারখানা চলছে।

বারবার চেষ্টা করেও নৌপথ চালু করতে না পারার দায় কেউ নিতে চায় না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপায়। আমরা বলতে চাই, দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর যানজট কমাতে হলে সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নদ-নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা জরুরি। নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বৃত্তাকার নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে

বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ঢাকার চারদিকে থাকা নৌপথ চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে একাধিকবার। নৌপথ প্রথম চালু হয় ২০০৪ সালে। চালু হওয়ার পর মাস পেরোতে না পেরোতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই প্রকল্প। ২০১০ সালে দ্বিতীয় দফায় চালু হওয়ার পর সেটা এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে আবার সেটা চালু হয় এবং যথারীতি কিছুদিন পর বন্ধ হয়। এর পরের বছরও চালু ও বন্ধ হওয়ার বৃত্ত থেকে বের হওয়া যায়নি।

নৌপথ চালু করা না গেলে কী হবে এর সৌন্দর্যযবর্ধনের কাজ ঠিকই চলছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নৌপথের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা এবং বালু নদের তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক ও জেটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের সময় বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। মেয়াদ বাড়লে হয়তো ব্যয়ও বাড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ টাকা এবারও কি জলেই যাবে নাকি নৌপথকে কার্যকরভাবে চালু করা যাবে।

নৌপথ চালু করতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে, নদ-নদী দখল ও দূষণ। অবৈধ দখল ও দূষণের কারণে নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদ-নদীর উপরে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সড়ক ও রেলপথের একাধিক সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এর নিচ দিয়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলতে পারে না। আশার কথা, নৌপথের বাধা দূর করতে সরকার কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। একদিকে কম উচ্চতার সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে আরেকদিকে নতুন করে কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু তৈরি করা হচ্ছে। নৌপথ নিয়ে তুঘলকি কান্ডকারখানা চলছে।

বারবার চেষ্টা করেও নৌপথ চালু করতে না পারার দায় কেউ নিতে চায় না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপায়। আমরা বলতে চাই, দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর যানজট কমাতে হলে সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি নৌপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেটা হলে মানুষের সময় ও অর্থ দুই-ই বাঁচবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নদ-নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করা জরুরি। নদীর উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতু বানানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করতে হবে।

back to top