alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা কোন সমাধান হতে পারে না

: বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশ্বজুড়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ আত্মহত্যা। তবে যেকোন বয়সের নারী-পুরুষই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটাতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সুইসাইড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বছরে সাত লাখের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কাজের মাঝে জাগাই আশা।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে বছরে প্রায় ৬ জন আত্মহত্যা করে। করোনা মহামারীর সময় এ প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে।

বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঘটনার সঙ্গে মানসিক রোগের সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের বিষণ্নতা রোগ আছে, অন্যদের চেয়ে তারা ২০ গুণ বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকে। তাছাড়া ব্যক্তিত্বের সমস্যা, সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, মাদকাসক্তি ইত্যাদি মানসিক রোগের যথাযথ চিকিৎসা না করলে এবং সম্পর্কজনিত জটিলতা, ব্যর্থতা প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে থাকে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কাছের কিংবা আশপাশের মানুষ লক্ষণগুলো খেয়াল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অনেক আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যার লক্ষণ কারও মধ্যে থাকলে তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দিতে হবে। পাশাপাশি তাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ মৃত্যুর কথা বললে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হয়। অনেকের ধারণা- যারা মৃত্যুর কথা বলে তারা আত্মহত্যা করে না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তাদেরই আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি মৃত্যুর ইচ্ছাকে আত্মহত্যার ইঙ্গিত হিসেবে ধরে নিতে হবে।

আত্মহত্যার মাধ্যমে কোন প্রাণ অকালে ঝড়ে যাক সেটা আমরা চাই না। এটা এমন এক পথ যেখান থেকে ফেরার আর কোন উপায় থাকে না। জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন আত্মহত্যা তার সমাধান দিতে পারে না। মানুষ সচেতন হলে এবং পরিবার ও সমাজ দায়িত্বশীল হলে এমন অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে- রক্ষা পেতে পারে অনেক প্রাণ।

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা কোন সমাধান হতে পারে না

বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশ্বজুড়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ আত্মহত্যা। তবে যেকোন বয়সের নারী-পুরুষই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটাতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সুইসাইড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বছরে সাত লাখের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কাজের মাঝে জাগাই আশা।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে বছরে প্রায় ৬ জন আত্মহত্যা করে। করোনা মহামারীর সময় এ প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছে।

বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঘটনার সঙ্গে মানসিক রোগের সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের বিষণ্নতা রোগ আছে, অন্যদের চেয়ে তারা ২০ গুণ বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকে। তাছাড়া ব্যক্তিত্বের সমস্যা, সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, মাদকাসক্তি ইত্যাদি মানসিক রোগের যথাযথ চিকিৎসা না করলে এবং সম্পর্কজনিত জটিলতা, ব্যর্থতা প্রভৃতি কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে থাকে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে এমন মানুষের মধ্যে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। কাছের কিংবা আশপাশের মানুষ লক্ষণগুলো খেয়াল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অনেক আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আত্মহত্যার লক্ষণ কারও মধ্যে থাকলে তাকে মনঃসামাজিক সহায়তা দিতে হবে। পাশাপাশি তাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ মৃত্যুর কথা বললে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হয়। অনেকের ধারণা- যারা মৃত্যুর কথা বলে তারা আত্মহত্যা করে না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তাদেরই আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি মৃত্যুর ইচ্ছাকে আত্মহত্যার ইঙ্গিত হিসেবে ধরে নিতে হবে।

আত্মহত্যার মাধ্যমে কোন প্রাণ অকালে ঝড়ে যাক সেটা আমরা চাই না। এটা এমন এক পথ যেখান থেকে ফেরার আর কোন উপায় থাকে না। জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন আত্মহত্যা তার সমাধান দিতে পারে না। মানুষ সচেতন হলে এবং পরিবার ও সমাজ দায়িত্বশীল হলে এমন অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে- রক্ষা পেতে পারে অনেক প্রাণ।

back to top