alt

opinion » editorial

খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে

: শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমও শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও দ্রুত খুলবে। সমস্যা হচ্ছে, বন্যার কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীভাঙনের শিকার হয়েছে অনেক স্কুল। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল একটানা ৫৪৪ দিন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যদিও সে সময় কওমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা ছিল। পরে অবশ্য সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

একটানা স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় বলেছিল, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। করোনার প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন দেশের সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে ছিল। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। এখন করোনায় মৃত্যুর হার কমলেও সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া যেত কি না। তাহলে হয়তো শিক্ষা খাতের দীর্ঘ বিরতিজনিত ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।

প্রায় ১৮ মাস শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ শিক্ষণ প্রক্রিয়া থেকে দূরে ছিল। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশেষ করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। এ জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যেন অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘ বিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ গ্রহণে এমনকি স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা দেখা দিতে পারে। তাদের অনীহা দূর করে আবার স্কুলমুখী করা ও পাঠ্য বইয়ের প্রতি আগ্রহী করা চ্যালেঞ্জিং কাজ। স্কুলে আনন্দময় পরিবেশ নিশ্চিত করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে। মহামারীর প্রভাবে শিক্ষার্থীরা যে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে প্রয়াস চালাতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করাও জরুরি। বিশেষ করে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ায় এর প্রয়োজন আরও বেড়েছে। যদিও বলা হচ্ছে, পরিবেশ তৈরি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। তারপরও এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে এটা আমাদের আশা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবাই যেন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মনার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে চরম উদাসীনতা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের দুর্বলতা লক্ষণীয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। তবে নির্দেশনা জারি করাই যথেষ্ট নয় সেগুলো যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা চালু রাখার এই উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে। আমরা চাই না, কারো উদাসীনতায-অবহেলায় শিক্ষা খাত আবার কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হোক। শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার উদ্যোগ সফল হতে পারে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে

শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমও শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও দ্রুত খুলবে। সমস্যা হচ্ছে, বন্যার কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীভাঙনের শিকার হয়েছে অনেক স্কুল। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল একটানা ৫৪৪ দিন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যদিও সে সময় কওমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা ছিল। পরে অবশ্য সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।

একটানা স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় বলেছিল, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। করোনার প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন দেশের সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে ছিল। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। এখন করোনায় মৃত্যুর হার কমলেও সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া যেত কি না। তাহলে হয়তো শিক্ষা খাতের দীর্ঘ বিরতিজনিত ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।

প্রায় ১৮ মাস শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ শিক্ষণ প্রক্রিয়া থেকে দূরে ছিল। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশেষ করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। এ জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যেন অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘ বিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ গ্রহণে এমনকি স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা দেখা দিতে পারে। তাদের অনীহা দূর করে আবার স্কুলমুখী করা ও পাঠ্য বইয়ের প্রতি আগ্রহী করা চ্যালেঞ্জিং কাজ। স্কুলে আনন্দময় পরিবেশ নিশ্চিত করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যেতে পারে। মহামারীর প্রভাবে শিক্ষার্থীরা যে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে প্রয়াস চালাতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করাও জরুরি। বিশেষ করে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ায় এর প্রয়োজন আরও বেড়েছে। যদিও বলা হচ্ছে, পরিবেশ তৈরি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। তারপরও এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে এটা আমাদের আশা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবাই যেন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মনার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে চরম উদাসীনতা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের দুর্বলতা লক্ষণীয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে। তবে নির্দেশনা জারি করাই যথেষ্ট নয় সেগুলো যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা চালু রাখার এই উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে। আমরা চাই না, কারো উদাসীনতায-অবহেলায় শিক্ষা খাত আবার কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হোক। শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার উদ্যোগ সফল হতে পারে।

back to top