alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করুন

: রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

আরও পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের আওতায় এসেছে দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। জানা গেছে, দেশে এখন ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ১১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যেগুলো সম্মিলিতভাবে ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দেশে বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। গত এক যুগে এক্ষেত্রে তাদের অর্জন লক্ষ্যযোগ্য। যদিও রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। ভোল্টেজ ও ফ্রিকোয়েন্সির সমস্যাও ভোগাচ্ছে। সমস্যাগুলো সরকারও জানে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সরকারকে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। আশার কথা হচ্ছে, বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। আমরা বলতে চাই, শুধু বরাদ্দ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করাও জরুরি। সঞ্চালন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত দূর করে সব স্তরের গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দেয়া হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন উন্নয়নের কাজ ত্বরান্বিত করুন

রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

আরও পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের আওতায় এসেছে দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। জানা গেছে, দেশে এখন ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ১১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে যেগুলো সম্মিলিতভাবে ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দেশে বিদ্যুৎ সংকট চরম আকার ধারণ করেছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। গত এক যুগে এক্ষেত্রে তাদের অর্জন লক্ষ্যযোগ্য। যদিও রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লেও বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষকে। ভোল্টেজ ও ফ্রিকোয়েন্সির সমস্যাও ভোগাচ্ছে। সমস্যাগুলো সরকারও জানে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

সরকারকে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। আশার কথা হচ্ছে, বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ। আমরা বলতে চাই, শুধু বরাদ্দ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করাও জরুরি। সঞ্চালন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা দ্রুত দূর করে সব স্তরের গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দেয়া হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

back to top