alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন

: মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাতীয় শিক্ষাক্রমের খসড়া রূপরেখা অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুমোদন দেন। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। বদলে যাবে পাঠ্যসূচি। বইয়ের সংখ্যা কমবে, কমবে পরীক্ষার সংখ্যা।

নতুন পাঠ্যসূচিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে পড়তে হবে অভিন্ন ১০টি বিষয়। সেখানে থাকবে না কোন বিভাগ বা বিভাজন। বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ মিলবে একাদশ শ্রেণীতে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় কিছু অভিন্ন বই পড়তে হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বেছে নেয়ার সুযোগ মেলে নবম শ্রেণীতে।

তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে শ্রেণীকক্ষে। এরপরের স্তরে শ্রেণীভিত্তিক শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পরীক্ষাভিত্তিক সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। শুধু দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত হবে দুটি পাবলিক পরীক্ষা। যার ভিত্তিতে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ করা হবে। শ্রেণীকক্ষভিত্তিক মূল্যায়নে শিক্ষকদের যোগ্যতা-দক্ষতা ও সততা থাকা অত্যন্ত জরুরি। শিখনকালীন মূল্যায়ন যেন যথাযথভাবে করা হয় সেজন্য কঠোর মনিটরিং দরকার।

সরকার একদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমানোর কথা বলছে, আরেকদিকে পিএসসি-জেএসসির মতো ব্যবস্থা চালু রেখেছে। যদিও নতুন শিক্ষাক্রমে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার কথা বলা হয়নি তবুও এ নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। কারণ এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সুস্পষ্ট কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। শিক্ষা নীতিমালা বা বিদ্যমান শিক্ষাক্রমেও এ দুটি পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়নি। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পরীক্ষা দুটি নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এই পরীক্ষার উপযোগিতা কী সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা বলতে চাই, উক্ত দুই পরীক্ষার প্রশ্নে পদক্ষেপ নিতে হবে শিক্ষানীতির আলোকে। সেখানে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া সঙ্গত নয়।

আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা আনন্দ নিয়ে পাঠ গ্রহণ করুক। তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ যথাযথ হোক। বাস্তবক্ষেত্রে তাদের অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগুক। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমকে আমরা সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানাতে চাই। বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ শুরু হলে এর মূল্যায়ন করা সহজ হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে ২০২৫ সালে। শিক্ষার্থীদের মুখস্ত নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের যে লক্ষ্য সরকার অর্জন করতে চাচ্ছে তা সফল হোক সেটা আমাদের কামনা।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন

মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাতীয় শিক্ষাক্রমের খসড়া রূপরেখা অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুমোদন দেন। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। বদলে যাবে পাঠ্যসূচি। বইয়ের সংখ্যা কমবে, কমবে পরীক্ষার সংখ্যা।

নতুন পাঠ্যসূচিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে পড়তে হবে অভিন্ন ১০টি বিষয়। সেখানে থাকবে না কোন বিভাগ বা বিভাজন। বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ মিলবে একাদশ শ্রেণীতে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় কিছু অভিন্ন বই পড়তে হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে বেছে নেয়ার সুযোগ মেলে নবম শ্রেণীতে।

তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে শ্রেণীকক্ষে। এরপরের স্তরে শ্রেণীভিত্তিক শিখনকালীন মূল্যায়ন ও পরীক্ষাভিত্তিক সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। শুধু দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত হবে দুটি পাবলিক পরীক্ষা। যার ভিত্তিতে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ করা হবে। শ্রেণীকক্ষভিত্তিক মূল্যায়নে শিক্ষকদের যোগ্যতা-দক্ষতা ও সততা থাকা অত্যন্ত জরুরি। শিখনকালীন মূল্যায়ন যেন যথাযথভাবে করা হয় সেজন্য কঠোর মনিটরিং দরকার।

সরকার একদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমানোর কথা বলছে, আরেকদিকে পিএসসি-জেএসসির মতো ব্যবস্থা চালু রেখেছে। যদিও নতুন শিক্ষাক্রমে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার কথা বলা হয়নি তবুও এ নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। কারণ এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সুস্পষ্ট কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। শিক্ষা নীতিমালা বা বিদ্যমান শিক্ষাক্রমেও এ দুটি পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়নি। প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পরীক্ষা দুটি নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এই পরীক্ষার উপযোগিতা কী সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা বলতে চাই, উক্ত দুই পরীক্ষার প্রশ্নে পদক্ষেপ নিতে হবে শিক্ষানীতির আলোকে। সেখানে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া সঙ্গত নয়।

আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা আনন্দ নিয়ে পাঠ গ্রহণ করুক। তাদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ যথাযথ হোক। বাস্তবক্ষেত্রে তাদের অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগুক। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমকে আমরা সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানাতে চাই। বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ শুরু হলে এর মূল্যায়ন করা সহজ হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে ২০২৫ সালে। শিক্ষার্থীদের মুখস্ত নির্ভরতা কমিয়ে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের যে লক্ষ্য সরকার অর্জন করতে চাচ্ছে তা সফল হোক সেটা আমাদের কামনা।

back to top