alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বাক্সবন্দী রোগ নির্ণয় যন্ত্র

: মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

এক্স-রে, ভেন্টিলেটর, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, ল্যাপারোস্কপি, কালচার ইনকিউবেটর, হট এয়ার ওভেন এবং অটোক্লেভের মতো ২৮টি রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর। এগুলোর হদিস মিলেছে দেশের ১৬ সরকারি হাসপাতালে। ৪ মাস থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত এসব সরঞ্জাম বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে।

রোগ নির্ণয়ের এসব সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। পরে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষের অবহেলা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোগাক্রান্ত মানুষের রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম কেনা হয়। রোগ নির্ণয়ের কাজ ব্যাহত হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাই ব্যাহত হয়। যেসব হাসপাতালে সরঞ্জামগুলো পড়ে আছে সেগুলো ব্যবহার হলে নিঃসন্দেহে অনেক রোগীর রোগ নির্ণয় করা যেত, যেটা তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগত। সরঞ্জামগুলো ব্যবহার না করায় সংশ্লিষ্ট রোগীরা যেমন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রের সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে।

হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো এত বছর ফেলে রাখার পেছনে এখন অনেক কারণ জানা যাচ্ছে। এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকা, কারিগরি সহায়তার অভাব, রাসায়নিকের সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের সুযোগ-সুবিধা না থাকা এর মধ্যে অন্যতম কারণ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া কিছু যন্ত্রপাতির সফটওয়্যারসহ অন্যান্য জিনিস নষ্ট হয়ে অচল হয়ে গেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই কারণগুলো কী আগে জানা ছিল না। এসব সমস্যা সমাধানে তাদের কি কিছু করণীয় ছিল না। টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এত বছরেও কেন করা হয়নি। কারিগরি সহায়তা, রাসায়নিক সরবরাহ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার।

আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কোনভাবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন না করার দায় এড়াতে পারে না। তাদের জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। কারিগরি সহায়তাসহ এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন করার সুযোগ-সুবিধার যে সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার সমাধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পাক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হোক।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বাক্সবন্দী রোগ নির্ণয় যন্ত্র

মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

এক্স-রে, ভেন্টিলেটর, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, ল্যাপারোস্কপি, কালচার ইনকিউবেটর, হট এয়ার ওভেন এবং অটোক্লেভের মতো ২৮টি রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর। এগুলোর হদিস মিলেছে দেশের ১৬ সরকারি হাসপাতালে। ৪ মাস থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত এসব সরঞ্জাম বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে।

রোগ নির্ণয়ের এসব সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন এক আইনজীবী। পরে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষের অবহেলা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পরিচালকসহ ২১ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোগাক্রান্ত মানুষের রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম কেনা হয়। রোগ নির্ণয়ের কাজ ব্যাহত হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাই ব্যাহত হয়। যেসব হাসপাতালে সরঞ্জামগুলো পড়ে আছে সেগুলো ব্যবহার হলে নিঃসন্দেহে অনেক রোগীর রোগ নির্ণয় করা যেত, যেটা তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগত। সরঞ্জামগুলো ব্যবহার না করায় সংশ্লিষ্ট রোগীরা যেমন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রাষ্ট্রের সম্পদেরও অপচয় হচ্ছে।

হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো এত বছর ফেলে রাখার পেছনে এখন অনেক কারণ জানা যাচ্ছে। এক্স-রে টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকা, কারিগরি সহায়তার অভাব, রাসায়নিকের সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের সুযোগ-সুবিধা না থাকা এর মধ্যে অন্যতম কারণ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া কিছু যন্ত্রপাতির সফটওয়্যারসহ অন্যান্য জিনিস নষ্ট হয়ে অচল হয়ে গেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই কারণগুলো কী আগে জানা ছিল না। এসব সমস্যা সমাধানে তাদের কি কিছু করণীয় ছিল না। টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এত বছরেও কেন করা হয়নি। কারিগরি সহায়তা, রাসায়নিক সরবরাহ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার।

আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কোনভাবেই চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন না করার দায় এড়াতে পারে না। তাদের জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে। চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত টেকনোলজিস্ট, সনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। কারিগরি সহায়তাসহ এসব যন্ত্রপাতি স্থাপন করার সুযোগ-সুবিধার যে সমস্যার কথা বলা হয়েছে তার সমাধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এসব কাজ সম্পন্ন করবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পাক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হোক।

back to top