alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিউমোনিয়া থেকে শিশুদের বাঁচাতে চাই সচেতনতা

: শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ জেলায় অনেক শিশু নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগেরহাটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। শিশুদের মাঝে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় চাপ বেড়েছে ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে। সেখানেও দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। নিউমোনিয়াকে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখা হয়। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৫ বছরের কম বয়সী ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় এই রোগে। নিউমোনিয়া মূলত শীত মৌসুমের রোগ। তবে বছরের অন্যান্য সময় বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময় এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে।

শুধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণেই নিউমোনিয়া হয় না। অপুষ্টি, বায়ুদূষণ প্রভৃতি কারণেও এ রোগ হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর ফুসফুস সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা না পেলে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও হতে পারে। রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় অনেক অভিভাবকই রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে দেরি করে ফেলেন-যে কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। শুরুতে রোগ শনাক্ত করা গেলে অল্প খরচে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সমস্যা হচ্ছে, দেশের এক বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকেই টিকার আওতায় আনা যায়নি।

নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যু রোধ করতে হলে সব শিশুকে অবশ্যই টিকার আওতায় আনতে হবে। রোগাক্রান্ত শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সহজলভ্য করতে হবে। রোগ সম্পর্কে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্র দেরি না করে শিশুকে যেন দ্রুত কাছের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অপুষ্টি দূর করাও জরুরি।

চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে, বিশেষকরে বাগেরহাট ও ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও জনবল সংকট দূর করা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে-সেটা আমাদের আশা।

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিউমোনিয়া থেকে শিশুদের বাঁচাতে চাই সচেতনতা

শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ জেলায় অনেক শিশু নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগেরহাটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। শিশুদের মাঝে নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় চাপ বেড়েছে ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে। সেখানেও দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। নিউমোনিয়াকে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখা হয়। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৫ বছরের কম বয়সী ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় এই রোগে। নিউমোনিয়া মূলত শীত মৌসুমের রোগ। তবে বছরের অন্যান্য সময় বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময় এর প্রকোপ দেখা দিতে পারে।

শুধু ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণেই নিউমোনিয়া হয় না। অপুষ্টি, বায়ুদূষণ প্রভৃতি কারণেও এ রোগ হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর ফুসফুস সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা না পেলে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এমনকি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও হতে পারে। রোগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় অনেক অভিভাবকই রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে দেরি করে ফেলেন-যে কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। শুরুতে রোগ শনাক্ত করা গেলে অল্প খরচে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। সমস্যা হচ্ছে, দেশের এক বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকেই টিকার আওতায় আনা যায়নি।

নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যু রোধ করতে হলে সব শিশুকে অবশ্যই টিকার আওতায় আনতে হবে। রোগাক্রান্ত শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সহজলভ্য করতে হবে। রোগ সম্পর্কে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্র দেরি না করে শিশুকে যেন দ্রুত কাছের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অপুষ্টি দূর করাও জরুরি।

চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে, বিশেষকরে বাগেরহাট ও ঝিনাইদহের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও জনবল সংকট দূর করা জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে-সেটা আমাদের আশা।

back to top