alt

opinion » editorial

বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে হবে

: রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি যোগ হয়েছে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি।

রাজধানীর অধিকাংশ বিদ্যালয়েই এডিস মশার লার্ভা আছে বলে জানা গেছে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ, ছাদ, টয়লেট ও আশপাশে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ও নির্মাণাধীন ভবনেও পানি জমে আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেড় বছর স্কুল বন্ধ ছিল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ এখনও চলছে, দ্রুতই এ কাজ সম্পন্ন হবে।

অনেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে, অনেকে এখনও করছে। তারপরও ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আসলে এক-দুদিনের বিষয় নয়। একদিন পরিষ্কার করলেই যে বিদ্যালয় ঝুঁকিমুক্ত হয়ে যাবে, এডিস মশা বংশবিস্তার করবে না- এমনটা বলা যায় না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায়ও এডিস মশা বংশবিস্তার করতে পারে। এখনও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা আছেই।

বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে বা হতে পারে। শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি বলে জানা গেছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালেই ১০টি শিশু মারা গেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ শিশু আইসিইউতে আছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৬৭ জন। অতীতে কখনও এত শিশু ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

আমরা বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন এডিশ মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত না হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নগর কর্তৃপক্ষও যেন বিদ্যালয়ভিত্তিক মশক নিধন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালায় সেটা আমরা দেখতে চাই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুরা যাতে করোনায় আক্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও শিক্ষক-অভিভাবকদের সচেতন হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিশুদের জন্য নিরাপদ করা সম্ভব হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে হবে

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি যোগ হয়েছে ডেঙ্গু রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি।

রাজধানীর অধিকাংশ বিদ্যালয়েই এডিস মশার লার্ভা আছে বলে জানা গেছে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ, ছাদ, টয়লেট ও আশপাশে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে ও নির্মাণাধীন ভবনেও পানি জমে আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেড় বছর স্কুল বন্ধ ছিল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ এখনও চলছে, দ্রুতই এ কাজ সম্পন্ন হবে।

অনেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে, অনেকে এখনও করছে। তারপরও ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আসলে এক-দুদিনের বিষয় নয়। একদিন পরিষ্কার করলেই যে বিদ্যালয় ঝুঁকিমুক্ত হয়ে যাবে, এডিস মশা বংশবিস্তার করবে না- এমনটা বলা যায় না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায়ও এডিস মশা বংশবিস্তার করতে পারে। এখনও মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা আছেই।

বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, এখন ডেঙ্গু রোগের নির্দিষ্ট কোন মৌসুম নেই। সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে বা হতে পারে। শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি বলে জানা গেছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালেই ১০টি শিশু মারা গেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ শিশু আইসিইউতে আছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৬৭ জন। অতীতে কখনও এত শিশু ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

আমরা বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন এডিশ মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত না হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নগর কর্তৃপক্ষও যেন বিদ্যালয়ভিত্তিক মশক নিধন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালায় সেটা আমরা দেখতে চাই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুরা যাতে করোনায় আক্রান্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধেও শিক্ষক-অভিভাবকদের সচেতন হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিশুদের জন্য নিরাপদ করা সম্ভব হবে।

back to top