alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে উদ্যোগ নিন

: সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

শ্রম আইনের (২০০৬) শিশু কক্ষ সংক্রান্ত ৯৪ (৭) ধারায় শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৭০ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারই নেই। দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরতদের ৩৮ শতাংশই নারী। বুকের দুধ পান করে এমন শিশু রয়েছে যেসব কর্মজীবী নারীর তারা কর্মস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের অভাবে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

প্রধানমন্ত্রী দেশের সব কর্মক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন ২০০৯ সালে। বলাবাহুল্য সেই নির্দেশনা এক যুগেও বাস্তবায়িত হয়নি। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক আজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কেবল কর্মক্ষেত্রেই নয়, এর বাইরেও জনসমাগম হয় এমন অনেক স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ২০১৯ সালে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বাস ও রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, শপিংমল প্রভৃতি স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের কথা বলে। সেই সময় এ নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়, কোন কোন জায়গায় স্থাপন করা হয় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। কিন্তু এরপর আর বিষয়টি বেশিদূর এগোয়নি।

সিংহভাগ কর্মক্ষেত্রেই শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর সুবিধা নেই। বিশেষ করে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর অবস্থা নাজুক। দেশের কর্মজীবী নারীদের বড় একটি অংশই কাজ করেন পোশাক খাতে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছর। এসব নারীর বেশির ভাগেরই বুকের দুধ পান করে এমন শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুর দুধ পানের প্রয়োজন হলেও স্থানাভাবে অনেক মা তাকে দুধ পান করাতে পারেন না বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দুধ পান করাতে বাধ্য হন।

মায়ের দুধ সন্তানের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এর বিকল্প নেই। সুস্থ ও সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। কর্মক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির প্রশ্নেও এর প্রয়োজন রয়েছে। কর্মক্ষেত্রগুলোতে যেন আইন মেনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি মনিটর করতে হবে। পাশাপাশি জনসমাগম হয় এমন স্থানেও এ সুবিধা থাকতে হবে।

মায়ের বুকের দুধ পান করা প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। আমরা চাই না, কারো উদাসীনতা ও অবহেলায় শিশু তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক।

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে উদ্যোগ নিন

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

শ্রম আইনের (২০০৬) শিশু কক্ষ সংক্রান্ত ৯৪ (৭) ধারায় শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৭০ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারই নেই। দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরতদের ৩৮ শতাংশই নারী। বুকের দুধ পান করে এমন শিশু রয়েছে যেসব কর্মজীবী নারীর তারা কর্মস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের অভাবে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

প্রধানমন্ত্রী দেশের সব কর্মক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন ২০০৯ সালে। বলাবাহুল্য সেই নির্দেশনা এক যুগেও বাস্তবায়িত হয়নি। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক আজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

কেবল কর্মক্ষেত্রেই নয়, এর বাইরেও জনসমাগম হয় এমন অনেক স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ২০১৯ সালে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বাস ও রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, শপিংমল প্রভৃতি স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের কথা বলে। সেই সময় এ নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়, কোন কোন জায়গায় স্থাপন করা হয় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। কিন্তু এরপর আর বিষয়টি বেশিদূর এগোয়নি।

সিংহভাগ কর্মক্ষেত্রেই শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর সুবিধা নেই। বিশেষ করে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর অবস্থা নাজুক। দেশের কর্মজীবী নারীদের বড় একটি অংশই কাজ করেন পোশাক খাতে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছর। এসব নারীর বেশির ভাগেরই বুকের দুধ পান করে এমন শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুর দুধ পানের প্রয়োজন হলেও স্থানাভাবে অনেক মা তাকে দুধ পান করাতে পারেন না বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দুধ পান করাতে বাধ্য হন।

মায়ের দুধ সন্তানের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এর বিকল্প নেই। সুস্থ ও সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। কর্মক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির প্রশ্নেও এর প্রয়োজন রয়েছে। কর্মক্ষেত্রগুলোতে যেন আইন মেনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি মনিটর করতে হবে। পাশাপাশি জনসমাগম হয় এমন স্থানেও এ সুবিধা থাকতে হবে।

মায়ের বুকের দুধ পান করা প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। আমরা চাই না, কারো উদাসীনতা ও অবহেলায় শিশু তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক।

back to top