alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের মৃত্যু প্রসঙ্গে

: সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে গত শনিবার দুপরে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে লাশটি ভেসে আসে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এর আগের দিনও দুজনের লাশ ভেসে এসেছিল। এ নিয়ে কক্সবাজারে দু’দিনে পাঁচ পর্যটকের মৃত্যু হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডকর্মীদের তথ্যমতে, গত দুই মাসে পৃথক কয়েকটি দুর্ঘটনায় চোরাবালিতে আটকা পড়ে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৫৫ জনকে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী। কক্সবাজার সৈকতে প্রায়ই পর্যটকদের এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক পর্যটক মারা যায় সৈকতে গোসল করতে নেমে। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, সংরক্ষিত এলাকার বাইরে গিয়ে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গোসল করেন। ভাটার সময় লাল নিশানা উড়ানো হলেও অনেকে সৈকত ত্যাগ করেন না।

পর্যটকদের অসচেতনতার পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতা ও নজরদারির ঘাটতি আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পর্যটকরা জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নিয়ে স্নানে নামছে কিনা সেটা কঠোভাবে নজরদারি করা হয় না।

পর্যটকরা যে শুধু সৈকতেই বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনার শিকার হন তা নয়। সৈকতের বাইরেও পর্যটন এলাকা বা এর আশপাশে নানা অপরাধের শিকার হন। চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা দুই বন্ধু কলাতলী এলাকায় একটি হোটেলে ওঠেন। গত শুক্রবার তাদের মধ্যে একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। অপরজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার সকালে তিনি মারা যান। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কী কারণে এই দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে হয়তো এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ভ্রমণকালে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদে না পড়ে বা পড়লেও যাতে সাহায্য চাইতে পারে সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে কি না- সেটা একটা প্রশ্ন।

দেশে আন্তর্জাতিক মানের যে কয়টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। সেখানে যদি পর্যটকরা অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাইফগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের মৃত্যু প্রসঙ্গে

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে গত শনিবার দুপরে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে লাশটি ভেসে আসে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এর আগের দিনও দুজনের লাশ ভেসে এসেছিল। এ নিয়ে কক্সবাজারে দু’দিনে পাঁচ পর্যটকের মৃত্যু হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডকর্মীদের তথ্যমতে, গত দুই মাসে পৃথক কয়েকটি দুর্ঘটনায় চোরাবালিতে আটকা পড়ে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৫৫ জনকে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী। কক্সবাজার সৈকতে প্রায়ই পর্যটকদের এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক পর্যটক মারা যায় সৈকতে গোসল করতে নেমে। ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, সংরক্ষিত এলাকার বাইরে গিয়ে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গোসল করেন। ভাটার সময় লাল নিশানা উড়ানো হলেও অনেকে সৈকত ত্যাগ করেন না।

পর্যটকদের অসচেতনতার পাশাপাশি উদ্ধার তৎপরতা ও নজরদারির ঘাটতি আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পর্যটকরা জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নিয়ে স্নানে নামছে কিনা সেটা কঠোভাবে নজরদারি করা হয় না।

পর্যটকরা যে শুধু সৈকতেই বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনার শিকার হন তা নয়। সৈকতের বাইরেও পর্যটন এলাকা বা এর আশপাশে নানা অপরাধের শিকার হন। চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা দুই বন্ধু কলাতলী এলাকায় একটি হোটেলে ওঠেন। গত শুক্রবার তাদের মধ্যে একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। অপরজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার সকালে তিনি মারা যান। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কী কারণে এই দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে হয়তো এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ভ্রমণকালে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদে না পড়ে বা পড়লেও যাতে সাহায্য চাইতে পারে সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে কি না- সেটা একটা প্রশ্ন।

দেশে আন্তর্জাতিক মানের যে কয়টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। সেখানে যদি পর্যটকরা অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাইফগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে।

back to top