alt

opinion » editorial

বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের দুর্বিষহ জীবন

: বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিদেশ গিয়ে ২৩ শতাংশ নারী শ্রমিক এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন। এক বছরের সামান্য বেশি সময় থাকেন ১৮ শতাংশ। তাছাড়া জবরদস্তিমূলকভাবে দেশে ফেরত আসতে হয় ৫৫ শতাংশ নারী শ্রমিককে। এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে ‘দেশে ফিরে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল মঙ্গলবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের সামাজিকভাবেও হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়। নিজ পরিবার ও সমাজে বৈরী ও অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয়। ফেরত আসা ৩৮ শতাংশ প্রবাসী নারী শ্রমিক বলছেন, সমাজে তাদের নিম্ন শ্রেণীর বা চরিত্রহীন নারী বলে গণ্য করা হয়।

ভাগ্যোন্নয়নের আশায় এসব নারী শ্রমিকরা বাড়ি-ঘর, পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমায়। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই তাদের দেশে ফিরে আসতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের জন্য স্বল্পসুদে ঋণ, প্রশিক্ষণসহ সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় নানা সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সাহায্য-সহযোগিতা আশ্বাসের মধ্যেই ঘুরপাক খায়।

বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এখন থেকে যে কোন দেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিকারের ব্যবস্থাসহ দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আমরা, এসব প্রতিশ্রুতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই প্রবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বোচ্চা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিদেশে যেসব শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হন তাদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত নারী গৃহকর্মী। সেসব দেশে গৃহ শ্রমিকদের অধিকার বলতে কিছুই নেই। যৌন নির্যাতনসহ বিভিন্ন নির্যাতনের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদেরও নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করা উচিত।

এখনও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটা সময়ই দেশবাসীকে পীড়া দিয়েছে সৌদি ফেরত নারী শ্রমিকদের দুর্বিষহ জীবনের গল্প। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলো এবং নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীরা সৌদি আরবে নারীকর্মী পাঠানো বন্ধের দাবি তোলে। সংসদ অধিবেশনেও কয়েকজন সংসদ সদস্য সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের দুর্বিষহ জীবন

বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিদেশ গিয়ে ২৩ শতাংশ নারী শ্রমিক এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন। এক বছরের সামান্য বেশি সময় থাকেন ১৮ শতাংশ। তাছাড়া জবরদস্তিমূলকভাবে দেশে ফেরত আসতে হয় ৫৫ শতাংশ নারী শ্রমিককে। এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে ‘দেশে ফিরে আসা অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল মঙ্গলবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জরিপের তথ্য থেকে জানা যায়, বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিকদের সামাজিকভাবেও হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়। নিজ পরিবার ও সমাজে বৈরী ও অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয়। ফেরত আসা ৩৮ শতাংশ প্রবাসী নারী শ্রমিক বলছেন, সমাজে তাদের নিম্ন শ্রেণীর বা চরিত্রহীন নারী বলে গণ্য করা হয়।

ভাগ্যোন্নয়নের আশায় এসব নারী শ্রমিকরা বাড়ি-ঘর, পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমায়। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই তাদের দেশে ফিরে আসতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের জন্য স্বল্পসুদে ঋণ, প্রশিক্ষণসহ সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় নানা সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সাহায্য-সহযোগিতা আশ্বাসের মধ্যেই ঘুরপাক খায়।

বিভিন্ন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এখন থেকে যে কোন দেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিকারের ব্যবস্থাসহ দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আমরা, এসব প্রতিশ্রুতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই প্রবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বোচ্চা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিদেশে যেসব শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হন তাদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত নারী গৃহকর্মী। সেসব দেশে গৃহ শ্রমিকদের অধিকার বলতে কিছুই নেই। যৌন নির্যাতনসহ বিভিন্ন নির্যাতনের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদেরও নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করা উচিত।

এখনও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের প্রায় পুরোটা সময়ই দেশবাসীকে পীড়া দিয়েছে সৌদি ফেরত নারী শ্রমিকদের দুর্বিষহ জীবনের গল্প। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলো এবং নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীরা সৌদি আরবে নারীকর্মী পাঠানো বন্ধের দাবি তোলে। সংসদ অধিবেশনেও কয়েকজন সংসদ সদস্য সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

back to top