alt

মতামত » সম্পাদকীয়

করোনার টিকা প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য অর্জন

: বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত মঙ্গলবার সারা দেশে একদিনে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি টিকা দেয়া হয়েছে নিয়মিত কর্মসূচির আওতায়।

একদিনে দেশজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার টিকা দেয়া বড় একটি অর্জন। এর আগে একদিনে করোনার এত টিকা দেয়া হয়নি। গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় গত ৭ আগস্ট ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল। এবার একদিনে টিকা দেয়া হলো দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে। এরফলে হার্ড ইমিউনিটির লক্ষ্য অর্জনের পথে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দেশে করোনার টিকা দেয়া যখন শুরু হয় তখন নানা কারণে মানুষের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল। এখন মানুষ টিকা নেয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। টিকা পেলে হাসিমুখে ঘরে ফিরছেন, না পেলে হতাশ হচ্ছেন। টিকার প্রতি মানুষর এ মনোভাব ইতিবাচক।

সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া গেলে এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। দেশে দ্রুত হারে টিকা প্রয়োগের সক্ষমতায় ঘাটতি নেই। সমস্যা হচ্ছে, টিকার অপর্যাপ্ত জোগান। দেশে টিকা উৎপাদন হলে পাশাপাশি আমদানি বাড়ানো গেলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। লক্ষ্যটি অবশ্য একদিনে পূরণ করা যায়নি। এ কারণে বিশেষ কর্মসূচি চলে পরের দিনও। মূলত কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে একদিনে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেগ পেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিপুলসংখ্যক টিকা দেয়ার ঘোষণাটাই ছিল আকস্মিক। বিশেষ ক্যাম্পেইন নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া ও প্রচার চালানো হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।

শহর এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কোন কোন কেন্দ্রে টিকাদানের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মানুষ টিকা নিতে গেছেন সকালে, কর্মসূচি শুরু হয়েছে দুপুরে। ফলে কর্মজীবী অনেক মানুষ টিকা নিতে পারেননি। গ্রামে অনেক কেন্দ্রে টিকার মজুদ ফুরিয়ে গেছে। আবার অনেক কেন্দ্রে মজুদ থাকলেও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকলে প্রয়োজনের সময় এক কেন্দ্র আরেক কেন্দ্রকে টিকা দিতে পারত অথবা টিকাগ্রহীতারা কেন্দ্র বদল করতে পারতেন। আগামীতে গণটিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা কমবে এটা আমাদের আশা।

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

করোনার টিকা প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য অর্জন

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত মঙ্গলবার সারা দেশে একদিনে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯২২ ডোজ। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বাকি টিকা দেয়া হয়েছে নিয়মিত কর্মসূচির আওতায়।

একদিনে দেশজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার টিকা দেয়া বড় একটি অর্জন। এর আগে একদিনে করোনার এত টিকা দেয়া হয়নি। গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় গত ৭ আগস্ট ৩০ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল। এবার একদিনে টিকা দেয়া হলো দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে। এরফলে হার্ড ইমিউনিটির লক্ষ্য অর্জনের পথে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দেশে করোনার টিকা দেয়া যখন শুরু হয় তখন নানা কারণে মানুষের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল। এখন মানুষ টিকা নেয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। টিকা পেলে হাসিমুখে ঘরে ফিরছেন, না পেলে হতাশ হচ্ছেন। টিকার প্রতি মানুষর এ মনোভাব ইতিবাচক।

সরকার আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত সময়ের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া গেলে এই লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। দেশে দ্রুত হারে টিকা প্রয়োগের সক্ষমতায় ঘাটতি নেই। সমস্যা হচ্ছে, টিকার অপর্যাপ্ত জোগান। দেশে টিকা উৎপাদন হলে পাশাপাশি আমদানি বাড়ানো গেলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। লক্ষ্যটি অবশ্য একদিনে পূরণ করা যায়নি। এ কারণে বিশেষ কর্মসূচি চলে পরের দিনও। মূলত কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে একদিনে কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেগ পেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিপুলসংখ্যক টিকা দেয়ার ঘোষণাটাই ছিল আকস্মিক। বিশেষ ক্যাম্পেইন নিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া ও প্রচার চালানো হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে।

শহর এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। কোন কোন কেন্দ্রে টিকাদানের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। মানুষ টিকা নিতে গেছেন সকালে, কর্মসূচি শুরু হয়েছে দুপুরে। ফলে কর্মজীবী অনেক মানুষ টিকা নিতে পারেননি। গ্রামে অনেক কেন্দ্রে টিকার মজুদ ফুরিয়ে গেছে। আবার অনেক কেন্দ্রে মজুদ থাকলেও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা কম ছিল। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকলে প্রয়োজনের সময় এক কেন্দ্র আরেক কেন্দ্রকে টিকা দিতে পারত অথবা টিকাগ্রহীতারা কেন্দ্র বদল করতে পারতেন। আগামীতে গণটিকা দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা কমবে এটা আমাদের আশা।

back to top