alt

opinion » editorial

মাধ্যমিক শিক্ষায় দুর্নীতি

: শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১

মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বদলি, এমপিওভুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে পদে পদে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, পরিচালনা কমিটিকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। আর শিক্ষক বদলিতে জনপ্রতি এক থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মধ্যস্বত্বভোগীরা এর সঙ্গে জড়িত। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার দুর্নীতি নিয়ে এমন তথ্য উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে। ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বদলি প্রভৃতি নিয়ে দুর্নীতির কথা বিভিন্নভাবে আগেও জানা গেছে। জরিপের মাধ্যমে দুর্নীতরি তথ্য-উপাত্ত বিশদভাবে জানা যাচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে টিআইবির করা জরিপে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী রূপ প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, এমপিওভুক্তি, নতুন প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা- মাধ্যমিকে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে অবৈধ লেনদেন হয় না। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতগুলো পদ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব ক্ষেত্রে ঘুষের অঘোষিত প্রচলন হয়ে গেছে। দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্ঠে সব জায়গায় জড়িয়ে গেছে। জাতির মেরুদন্ড হিসেবে গণ্য করা হয় যে শিক্ষাকে সেই খাতটিও দুর্নীতিমুক্ত নয়। টিআিইবি শুধু মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা করেছে। আমাদের আশঙ্কা শিক্ষার অন্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে গবেষণা বা জরিপ করা হলেও সুখকর কোন চিত্র মিলবে না।

ভূমি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েছে বলে ২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। সে সময় শিক্ষা খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জরুরি কর্মসূচিও নিতে বলেছে সংস্থাটি। সমস্যা হলো কোথাও দুর্নীতির কোন অভিযোগ থাকলে সরকার সেটাকে একবাক্যে নাকচ করে দেয়। যাচাই-বাছাই করারও প্রয়োজনবোধ করে না।

অস্বীকার করে, উপেক্ষা করে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতিকে কার্যকভাবে বন্ধ করতে হলে খোলামনে অভিযোগগুলো শুনতে হবে। সেগুলো আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার যদি দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে তাহলে দুর্নীতিবাজরা অন্যায় উৎস পায়। তারা এমন একটি ভুল বার্তাও পেতে পারে যে, যত খুশি তত দুর্নীতি করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কাজেই মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির যে তথ্য মিলেছে সেগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

মাধ্যমিক শিক্ষায় দুর্নীতি

শুক্রবার, ০১ অক্টোবর ২০২১

মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বদলি, এমপিওভুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে পদে পদে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, পরিচালনা কমিটিকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। আর শিক্ষক বদলিতে জনপ্রতি এক থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মধ্যস্বত্বভোগীরা এর সঙ্গে জড়িত। দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার দুর্নীতি নিয়ে এমন তথ্য উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে। ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বদলি প্রভৃতি নিয়ে দুর্নীতির কথা বিভিন্নভাবে আগেও জানা গেছে। জরিপের মাধ্যমে দুর্নীতরি তথ্য-উপাত্ত বিশদভাবে জানা যাচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে টিআইবির করা জরিপে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী রূপ প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ, বদলি, এমপিওভুক্তি, নতুন প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতি প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা- মাধ্যমিকে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে অবৈধ লেনদেন হয় না। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যতগুলো পদ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব ক্ষেত্রে ঘুষের অঘোষিত প্রচলন হয়ে গেছে। দুর্নীতি আষ্টেপৃষ্ঠে সব জায়গায় জড়িয়ে গেছে। জাতির মেরুদন্ড হিসেবে গণ্য করা হয় যে শিক্ষাকে সেই খাতটিও দুর্নীতিমুক্ত নয়। টিআিইবি শুধু মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা করেছে। আমাদের আশঙ্কা শিক্ষার অন্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে গবেষণা বা জরিপ করা হলেও সুখকর কোন চিত্র মিলবে না।

ভূমি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েছে বলে ২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। সে সময় শিক্ষা খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জরুরি কর্মসূচিও নিতে বলেছে সংস্থাটি। সমস্যা হলো কোথাও দুর্নীতির কোন অভিযোগ থাকলে সরকার সেটাকে একবাক্যে নাকচ করে দেয়। যাচাই-বাছাই করারও প্রয়োজনবোধ করে না।

অস্বীকার করে, উপেক্ষা করে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতিকে কার্যকভাবে বন্ধ করতে হলে খোলামনে অভিযোগগুলো শুনতে হবে। সেগুলো আমলে নিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার যদি দুর্নীতিকে উপেক্ষা করে তাহলে দুর্নীতিবাজরা অন্যায় উৎস পায়। তারা এমন একটি ভুল বার্তাও পেতে পারে যে, যত খুশি তত দুর্নীতি করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কাজেই মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির যে তথ্য মিলেছে সেগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top