alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিকার চাই

: শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন সাংবাদিক, একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোনভাবে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ মিলেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মত প্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মত প্রকাশের জন্য সাংবাদিক হত্যার মন্দ নজিরও দেশে রয়েছে।

সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। সাংবাদিক নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী। আসকের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির জামিনও মিলছে না।

সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়। কখনও বা প্রশাসন এসবের পেছনে থাকে। কিন্তু এগুলোর বিচার না হওয়ায় দেশে এমন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতেই থাকে।

তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম কর্তব্য।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিকার চাই

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন সাংবাদিক, একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোন না কোনভাবে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ মিলেছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তথ্য বা মত প্রকাশের জন্য তাদের নানা হুমকি, হামলা ও মামলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মত প্রকাশের জন্য সাংবাদিক হত্যার মন্দ নজিরও দেশে রয়েছে।

সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। সাংবাদিক নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী। আসকের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নির্যাতন-নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও কোন মত পছন্দ না হলেই এই আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ বিনা পরোয়ানায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির জামিনও মিলছে না।

সাংবাদিক নির্যাতনের বেশিরভাগ অভিযোগের কোন প্রতিকার করা হয় না। দেশে সাংবাদিক হত্যার অনেক ঘটনারই বিচার হয়নি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় না বলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীও সাংবাদিক নির্যাতনে অন্যায় উৎসাহ পায়। কখনও বা প্রশাসন এসবের পেছনে থাকে। কিন্তু এগুলোর বিচার না হওয়ায় দেশে এমন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতেই থাকে।

তথ্য বা মত প্রকাশ করাই সাংবাদিকের কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক নিপীড়ন কাম্য নয়। মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে সাংবাদিকতা করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার বিচার করা গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম কর্তব্য।

back to top