alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দশমিনা-পটুয়াখালী সড়কটি দ্রুত সংস্কার করুন

: শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১

দশমিনা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সড়কের ২১ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়কটি সংস্কার করা হলেও বর্ষায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েন দশমিনা ও বাউফল উপজেলার প্রায় ছয় লাখ বাসিন্দা। যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা বেশি লাগে বলে জানা যায়। এ নিয়ে আজ শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাউফলের ভাঙা ব্রিজ থেকে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কিমি সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রসূতি নারীসহ বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, এলজিইডি প্রতিবছরই সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু যেনতেনভাবে সংস্কার করায় তা টেকসই হয় না।

দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণ করার পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। সংস্কারের পর সংস্কার হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। অভিযোগ আছে, নির্মাণ বা সংস্কারের সময় মানসম্মত উপকরণ দেয়া হয় না। উপকরণের পরিমাণ নিয়েও নয়ছয় করা হয়।

দেশের সড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নির্মাণ উপকরণে রডের পরিবর্তে বাঁশ দেয়ার ঘটনাও ঘটে। পটুয়াখালী-দশমিনা সড়ক বারবার সংস্কার করার পরও টেকসই না হওয়ার কারণ কী? সেখানে সড়ক সংস্কারে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।

এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দশমিনা অংশের সাড়ে চার কিমি টেন্ডার হয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে লাখো মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যাবে না। কারণ সড়কটির ২১ কিলোমিটারই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। এই অবস্থায় সড়কের আংশিক সংস্কার করা হলে বরং রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে বলে আমরা মনে করি। সড়কের ক্ষুদ্র একটি অংশ সংস্কার করে বড় একটি অংশকে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় রেখে দিলে, সেটা টেকসই হওয়ার কোন কারণ নাই। তাই সড়কটি সংস্কার করতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। আর সেটা যেন টেকসই হয়। যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারের নামে লুটপাটের নতুন কোন প্রকল্প খোলা হোক সেটা আমরা চাই না।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দশমিনা-পটুয়াখালী সড়কটি দ্রুত সংস্কার করুন

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১

দশমিনা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সড়কের ২১ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়কটি সংস্কার করা হলেও বর্ষায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েন দশমিনা ও বাউফল উপজেলার প্রায় ছয় লাখ বাসিন্দা। যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা বেশি লাগে বলে জানা যায়। এ নিয়ে আজ শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাউফলের ভাঙা ব্রিজ থেকে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কিমি সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রসূতি নারীসহ বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, এলজিইডি প্রতিবছরই সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু যেনতেনভাবে সংস্কার করায় তা টেকসই হয় না।

দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণ করার পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। সংস্কারের পর সংস্কার হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। অভিযোগ আছে, নির্মাণ বা সংস্কারের সময় মানসম্মত উপকরণ দেয়া হয় না। উপকরণের পরিমাণ নিয়েও নয়ছয় করা হয়।

দেশের সড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নির্মাণ উপকরণে রডের পরিবর্তে বাঁশ দেয়ার ঘটনাও ঘটে। পটুয়াখালী-দশমিনা সড়ক বারবার সংস্কার করার পরও টেকসই না হওয়ার কারণ কী? সেখানে সড়ক সংস্কারে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।

এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দশমিনা অংশের সাড়ে চার কিমি টেন্ডার হয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে লাখো মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যাবে না। কারণ সড়কটির ২১ কিলোমিটারই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। এই অবস্থায় সড়কের আংশিক সংস্কার করা হলে বরং রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে বলে আমরা মনে করি। সড়কের ক্ষুদ্র একটি অংশ সংস্কার করে বড় একটি অংশকে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় রেখে দিলে, সেটা টেকসই হওয়ার কোন কারণ নাই। তাই সড়কটি সংস্কার করতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। আর সেটা যেন টেকসই হয়। যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারের নামে লুটপাটের নতুন কোন প্রকল্প খোলা হোক সেটা আমরা চাই না।

back to top